Samakal:
2025-03-14@22:32:44 GMT

যেখানে প্রাণীর রাজত্ব চলে...

Published: 14th, March 2025 GMT

যেখানে প্রাণীর রাজত্ব চলে...

মানুষের কারণে পশুপাখির জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়া পৃথিবীতে এখনও অনেক শহর-গ্রাম আছে, যেখানে প্রাণীরা নির্বিঘ্নে বসবাস করছে। সেসব এলাকায় তারাই প্রধান প্রাণী। তেমনই কিছু শহর-গ্রাম কিংবা দ্বীপ নিয়ে জানাব আজ।
ঘোড়ার দ্বীপ: যুক্তরাষ্ট্রে ঘোড়াদের এক দ্বীপ আছে, যেখানে ঘোড়া নির্বিঘ্নে চলাফেরা করে। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া এবং মেরিল্যান্ড রাজ্যের এই দ্বীপের নাম অ্যাসাটেগ দ্বীপ; যাকে হর্সল্যান্ডও বলা হয়। এই দ্বীপ মূলত বিখ্যাত ঘোড়ার জন্য। এখানে এরা সৈকত থেকে শুরু করে সব জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। তাই মানুষের বসবাস নেই বললেই চলে। তবে পর্যটকরা এখানে ঘুরতে আসতে পারেন। এখানে বন্যঘোড়া ছাড়াও আরও ৩২০টির বেশি প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। তাই এ দ্বীপকে প্রাণীদের অভয়ারণ্যও বলা যায়। পর্যটকরা এখানে বন্যঘোড়ার সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন কিংবা নির্মল সৈকতে সাইকেল চালাতে পারেন। এ দ্বীপে ৩৭ মাইলের মতো দীর্ঘ সৈকত আছে।
শিয়ালদের গ্রাম: আমাদের গ্রামে শিয়াল এলে আমরা আতঙ্কিত হই; তবে জাপানের এ শিয়ালদের গ্রামে মানুষ এলে শিয়ালরা আতঙ্কিত হয় না। জাপানের শিরোইশির কাছে পাহাড়ে অবস্থিত একটি ‘গ্রাম’ আছে; যা ১০০টিরও বেশি প্রাণী এবং ৬টি বিভিন্ন জাতের শিয়াল দিয়ে পরিপূর্ণ। জাও ফক্স ভিলেজ নামে এই গ্রাম জাপানের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। শিয়ালরা অবাধে এই গ্রামে ঘুরে বেড়ায়, যেখানে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারেন। শিয়াল জাপানি লোককাহিনি এবং লোককাহিনিতে জনপ্রিয় প্রাণী। পাহাড়ের কোলে গ্রামটিতে শিয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু প্রাণী আছে। তবে শিয়ালই এখানকার মূল আকর্ষণ। দর্শনার্থীরা এখানে ফি দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। শিয়ালকে খাবার দিতে পারবেন। তবে তাদের বেশ সতর্ক থাকতে হয়।
সিল দ্বীপ: দক্ষিণ আফ্রিকার সমুদ্রের মাঝখানে এক অদ্ভুত দ্বীপ। যেখানে আছে অসংখ্য সামুদ্রিক সিল। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের কাছেই আছে এমন এক দ্বীপ। সিল দ্বীপের বেশির ভাগ বাসিন্দা সিল প্রাণী। দ্বীপটিতে প্রতিবছর ১২ থেকে ১৮ হাজার সিলের বাচ্চা জন্ম নেয়। মূলত সিল শিকার এবং এদের জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে এই দ্বীপ সিলদের জন্য সংরক্ষিত। তবে প্রায়ই এই দ্বীপে সিল শিকারের জন্য হাঙর আক্রমণ করে। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে হাঙর বেশি আক্রমণ করে। তাছাড়া অন্য সময় সিলগুলো মাছ ধরে শান্তিতে বসবাস করে দ্বীপে।
হরিণের শহর: এশিয়ার মধ্যে প্রাণীদের জন্য অন্যতম অভয়ারণ্য এই শহর। জাপানের নারা শহরে মানুষের সঙ্গে ঘুরে বেড়ায় হরিণ। রাস্তাঘাটে হরিণ সেখানে স্বাভাবিক ব্যাপার। এ শহরে প্রায় ১ হাজার ২০০টি হরিণ ঘুরে বেড়ায়। কথিত আছে, প্রাচীনকালে এই শহরে হরিণ শিকার নিষিদ্ধ ছিল। হরিণকে এখানে পবিত্র প্রাণী মনে করা হয়। তাই এখানে হরিণ নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়ায়। নারা শহরে একটি পার্কও আছে। যেখানে দর্শনার্থীরা ঘুরে বেড়াতে পারেন।
কাঠবিড়ালির দ্বীপ: যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ উপকূলের এই মনোরম দ্বীপটিতে বিরল লাল কাঠবিড়ালির আবাসস্থল। ব্রাউনসি দ্বীপ নামে এই দ্বীপ যুক্তরাজ্যের বিশেষ দ্বীপ। কেননা, এখানে কাঠবিড়ালি ছাড়াও ২৫০ ধরনের প্রাণী আছে। পরিযায়ী পাখিও দেখা যায়। বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন প্রাণী দেখা যায়। তবে কাঠবিড়ালি এখানকার প্রধান প্রাণী। প্রায়ই এদের গাছে গাছে ঝুলতে দেখা যায় এবং বাদাম কুড়াতে দেখা যায়। ১৯৬২ সালে ব্রাউনসি দ্বীপটি বন্যপ্রাণী এবং মানুষের উপভোগের জন্য সংরক্ষিত করা হয়। বর্তমানে সেখানে পর্যটকরাও যেতে পারেন। v
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এই দ ব প র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা, ডানা মেলেছে প্রকৃতি

পটুয়াখালীর পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার কাউয়ার চর এবং মিরা বাড়ি পয়েন্ট বেড়েছে অতিথি পাখির বিচরণ। এসব পাখির কলকাকলিতে মুখরিত থাকছে সৈকতের এ দুই স্পট। এছাড়া চর গঙ্গামতি সৈকতে রয়েছে ঝিনুকের ছড়াছড়ি। 

এ সৈকতের যতদূর চোখ যায় ধুধু বালুচরের উপর বিশাল এলাকা জুড়ে সাদা ঝিনুকের খোলসের আস্তরণ। ছোট বড় হাজার হাজার ঝিনুক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় এ অবস্থা বিরাজ করছে এ সৈকতে।

 

চর গঙ্গামতির পূর্বপাশে ক্র্যাব আইল্যান্ডে বেড়েছে লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণ। লাল কাঁকড়ার নিপুণ আঁকিবুকি আর নাচানাচি যে কারও মন কাড়বে। এছাড়াও সৈকতের সংরক্ষিত বনাঞ্চল সংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে ঔষধি গাছ আকন্দসহ বিভিন্ন গাছ গাছালি। এসব গাছে ফোটা ফুল শোভা ছড়াচ্ছে সৈকত এলাকায়। 

এদিকে বর্ষা মৌসুম ঘনিয়ে আসায় সাগরের বিশালতায় বেড়েছে ছোট বড় ঢেউয়ের মোহনীয় গর্জন। মোটকথা রমজানের শুরু থেকে কুয়াকাটা সৈকত পর্যটক শূন্য থাকায় প্রকৃতি সেজেছে অপরুপ সাজে। মনজুড়ানো এসব সৌন্দর্য কেবল ঈদের পরে আসা পর্যটকরাই উপভোগ করতে পারবেন।

কুয়াকাটা সৈকতের মোটরসাইকেল চালক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, “পর্যটক না থাকায় সৈকতে আমাদের বিচরণ খুব কম। তবে গতকাল খুলনা থেকে এক পর্যটক এসেছিল। তাকে নিয়ে পুরো সৈকত ঘুরেছি। দেখে মনে হয়েছে প্রকৃতি সেজেছে তার নিজস্ব রূপে। বেড়েছে অতিথি পাখি, লাল কাঁকড়া এবং ঝিনুকের সংখ্যা।” 

গঙ্গামতি সৈকত এলাকার জেলে রহমান মিয়া বলেন, “এ সৈকতে প্রচুর পরিমাণে ঝিনুকের খোলস ভেসে এসেছে। যেটা দেখতে বেশ দারুণ সুন্দর লাগে।” 

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোশিয়েসন অব কুয়াকাটার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন রাজু বলেন, “রমজানের শুরু থেকে কুয়াকাটা সৈকতের পর্যটকের বিচরণ না থাকায় সৈকতের প্রকৃতির সেজেছে নতুন রূপে। লাল কাঁকড়া এবং অতিথি পাখির বিচরণ বেড়ছে। এছাড়া সৈকত সংলগ্ন সংরক্ষিত বনের বিভিন্ন গাছে নতুন নতুন ফুল ফুটেছে। দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। কেবল ঈদের পরে কুয়াকাটা আসা পর্যটকরাই নৈসর্গিক এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।”

কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের পুলিশ পরিদর্শক আহাদুজ্জামান বলেন, “ঈদের পরে কুয়াকাটায় লাখ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটবে। সৈকতের নতুন প্রকৃতি এ সকল পর্যটকরাই উপভোগ করতে পারবেন। আগত পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।”

ঢাকা/ইমরান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা, ডানা মেলেছে প্রকৃতি