সংবিধান ও বিচার বিভাগের সংস্কার ছাড়া ন্যায়বিচার সম্ভব নয় : মাও. কাইয়ুম
Published: 14th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফতুল্লা থানার উদ্যোগে গণ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে পঞ্চবটি থানা কার্যালয়ে আয়োজিত এই মাহফিলে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিচারব্যবস্থা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
প্রধান অতিথি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, দেশের সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুদক ও বিচার বিভাগের সংস্কার এখন সময়ের অপরিহার্য দাবি।
এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার না হলে, বাংলাদেশ আবারও আগের তিমিরে ফিরে যাবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলতে থাকলে অন্যায় ও দুর্নীতি বন্ধ হবে না। তিনি আরও বলেন, অসংখ্য আলেম-ওলামার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।
ছাত্র গণহত্যার পরিকল্পনাকারী, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতেই নিশ্চিত করতে হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম বলেন, আমরা আর কোনো ধর্ষণের ঘটনা দেখতে চাই না।
ধর্ষণের শাস্তি কোরআনের আইনের ভিত্তিতে কার্যকর করতে হবে। নিহত আছিয়ার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলাম বলেন, রমজান আমাদের আত্মশুদ্ধির শিক্ষা দেয়। বাকি ১১ মাসও যেন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলাম, দেশ ও মানবতার জন্য কাজ করতে পারি। ধর্ষণ, খুন, চাঁদাবাজির মতো অপরাধ থেকে মুক্ত থাকতে পারি, এটাই রমজানের শিক্ষা হওয়া উচিত।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফতুল্লা থানার সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের সমাজকে পরিবর্তন করতে হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে হবে এবং ন্যায়ের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যে সংগঠনই হোক না কেন, যারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফতুল্লা থানার নেতৃবৃন্দ তাদের প্রতিহত করবে।
সেক্রেটারি আলহাজ্ব মুহাম্মাদ আমান উল্লাহ বলেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার নির্মম স্মৃতি আমাদের এখনো তাড়া করে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সংগ্রামী আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই) ঘোষণা দিয়েছেন, এই সরকারকে বিদায় না দেওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
গণ ইফতার মাহফিলে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, ইসলামী যুব আন্দোলন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদ, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম, মুজাহিদ কমিটিসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
‘ইসরায়েলের পণ্য বর্জনের জিহাদ শুরু করতে হবে’
স্বাধীন ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি দাবি করে গাজায় গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েলের পণ্য বর্জনের মাধ্যমে জিহাদ শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নেতারা।
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এ আহ্বান জানান।
ইসলামী ফ্রন্ট ঢাকা মহানগর আয়োজিত, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল হাকিমের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আইন সচিব অ্যাডভোকেট ইকবাল হাছান।
আরো পড়ুন:
গাজায় আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলা, নিহত ৩৫
গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদ করায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর ৯৭০ কর্মীকে বহিষ্কারের হুমকি
তিনি বলেন, “এই বর্বরতা পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ট উদহারণ। ফিলিস্তিনের গাজার মুসলমানদের ওপর ইহুদিদের পরিকল্পিত বর্বরোচিত হামলায় নারী-শিশুসহ মুসলিম নিধন করছে। ইহুদিরা ফিলিস্তিনকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। এখনও মুসলিম বিশ্ব নীরব। নীরব জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক সংস্থা।”
তিনি বলেন, “ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে আমাদের সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। অন্তত পণ্য বর্জনের মাধ্যমে জিহাদ শুরু করতে হবে।”
এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনার সিনিয়র সহসভাপতি ক্যানসার গবেষক অধ্যক্ষ ডাক্তার এম সরওয়ার।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর ইসলামী ফ্রন্ট নেতা কাজী শাহেদ আলম চৌধুরী, কাজী মোহাম্মদ তৈয়ব আলী, অ্যাডভোকেট লিংকন, বুলবুল আহমদ মোমেনশাহীসহ যুবসেনা ও ছাত্রসেনা নেতারা।
সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলে ‘লাখো শহীদের রক্তের ঋণ’, ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন? জবাব চাই দিতে হবে,’ ‘বিশ্ব মুসলিম এক হও, ফিলিস্তিন রক্ষা করো’ স্লোগানে স্লোগানে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রকম্পিত হয়ে উঠে।
এ সময় নেতারা ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা, ফিলিস্তিনের নাগরিকদের ওপর চালানো গণহত্যার প্রতিবাদ ও স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবি তুলেন। বিক্ষোভকারীরা গাজাবাসীর নিরাপত্তা, আল আকসা পুনরুদ্ধার, মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জিহাদের আহ্বান জানান।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি