উষ্কখুষ্ক দাড়ি, লম্বা চুল, চোখে সানগ্লাস। এক যুবক হেঁটে যাচ্ছে। ভয়েস ওভারে শোনা যায়, ‘বারুদ, আগুন আর হাওয়া; এক হইলেই ধোঁয়া।’ হাঁটতে হাঁটতে যুবক হাজির হয় এমন এক জায়গায়, যেখানে উৎসবের আমেজ; বিয়ে বাড়ির প্যান্ডেল কি! এরপরেই বিস্ফোরণ। ধীরে ধীরে চেহারা মালুম হয়, সিয়াম আহমেদই বটে। বাংলা নাটক আর সিনেমায় সিয়ামকে বেশির ভাগ সময়ই দেখা গেছে রোমান্টিক চরিত্রে। তবে আগে মুক্তি পাওয়া পোস্টার আর প্রাক্-টিজার দেখে বোঝা গিয়েছিল, এবার ভিন্ন সিয়ামকে পাওয়া যাবে। গত বৃহস্পতিবার রাতে মুক্তি পাওয়া টিজারে সেটা আরও স্পষ্ট হয়েছে। ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা এম রাহিমের ‘জংলি’ সিনেমার টিজারে সিয়ামকে দেখে চমকে গেছেন ভক্তরা। অনেকে টিজারের নিচে মন্তব্য করেছেন, ‘বরবাদ’, ‘দাগি’র পর ‘জংলি’র ধামাকা টিজার; এবারের ঈদ উৎসব জমে যাবে।
মুক্তির পর থেকে ‘জংলি’র টিজারের প্রশংসা করেছেন ভক্ত–অনুসারী আর ইউটিউবাররা। অনেকে ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের টিজার দেখে গল্প নিয়ে ‘ফ্যান থিওরি’ দিয়েছেন। বহুল চর্চিত একটা থিওরি এমন, সিয়াম হয়তো উঠতি ক্রিকেটার ছিলেন, কোনো কারণে প্রেমিকার সঙ্গে পরিণয় হয়নি। সেই প্রেমিকা হয়তো মারা গেছেন।
‘জংলি’তে বুবলী। ভিডিও থেকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কলকাতায় দোল উৎসবে ডেকে এনে তৃণমূলের ছাত্রনেতাকে হত্যা
পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার উপকণ্ঠ উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে আজ শুক্রবার দোল উৎসবে ডেকে এনে তৃণমূলের এক ছাত্রনেতাকে ক্ষুরের আঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ছাত্রনেতার নাম অমর চৌধুরী। তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পবন রাজভর নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আজ দুপুরে যখন দোল উৎসবের আনন্দে রং নিয়ে খড়দহে জয়শ্রী কেমিক্যালসের সামনে সবাই হোলি উৎসবে মেতে উঠেছিলেন, তখনই খুন হন অমর চৌধুরী ওরফে আকাশ চৌধুরী। দোল খেলতে তাঁকে ডেকে আনা হয়েছিল। একপর্যায়ে তাঁকে মারধর করা হয়। পরে ক্ষুরের আঘাতে তাঁকে মারা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
রক্তাক্ত অবস্থায় অমর চৌধুরীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে বিকেলেই তাঁকে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্মরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের ঘাড়ের কাছে গভীর ক্ষত রয়েছে। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
জানা গেছে, হত্যাকারীরা মোটরসাইকেলে চড়ে ঘটনাস্থলে আসে। এর মধ্যে পবন রাজভর নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কানাইয়া নামের অপর এক যুবককে ধরতে চেষ্টা করছে পুলিশ। পবন রাজভর সম্প্রতি কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
অমর চৌধুরীর পরিবারের দাবি, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিন ব্যক্তি জড়িত। পুলিশ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশের ধারণা, পূর্বশত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহত অমর চৌধুরী স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বিকাশ সিংহের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।