Prothomalo:
2025-04-14@06:13:17 GMT

সিয়াম চমক, বুবলীর ঝলক

Published: 14th, March 2025 GMT

উষ্কখুষ্ক দাড়ি, লম্বা চুল, চোখে সানগ্লাস। এক যুবক হেঁটে যাচ্ছে। ভয়েস ওভারে শোনা যায়, ‘বারুদ, আগুন আর হাওয়া; এক হইলেই ধোঁয়া।’ হাঁটতে হাঁটতে যুবক হাজির হয় এমন এক জায়গায়, যেখানে উৎসবের আমেজ; বিয়ে বাড়ির প্যান্ডেল কি! এরপরেই বিস্ফোরণ। ধীরে ধীরে চেহারা মালুম হয়, সিয়াম আহমেদই বটে। বাংলা নাটক আর সিনেমায় সিয়ামকে বেশির ভাগ সময়ই দেখা গেছে রোমান্টিক চরিত্রে। তবে আগে মুক্তি পাওয়া পোস্টার আর প্রাক্‌-টিজার দেখে বোঝা গিয়েছিল, এবার ভিন্ন সিয়ামকে পাওয়া যাবে। গত বৃহস্পতিবার রাতে মুক্তি পাওয়া টিজারে সেটা আরও স্পষ্ট হয়েছে। ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা এম রাহিমের ‘জংলি’ সিনেমার টিজারে সিয়ামকে দেখে চমকে গেছেন ভক্তরা। অনেকে টিজারের নিচে মন্তব্য করেছেন, ‘বরবাদ’, ‘দাগি’র পর ‘জংলি’র ধামাকা টিজার; এবারের ঈদ উৎসব জমে যাবে।

মুক্তির পর থেকে ‘জংলি’র টিজারের প্রশংসা করেছেন ভক্ত–অনুসারী আর ইউটিউবাররা। অনেকে ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের টিজার দেখে গল্প নিয়ে ‘ফ্যান থিওরি’ দিয়েছেন। বহুল চর্চিত একটা থিওরি এমন, সিয়াম হয়তো উঠতি ক্রিকেটার ছিলেন, কোনো কারণে প্রেমিকার সঙ্গে পরিণয় হয়নি। সেই প্রেমিকা হয়তো মারা গেছেন।

‘জংলি’তে বুবলী। ভিডিও থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শাল-গজারি বনে রং ছড়িয়ে বিদায় নিচ্ছে বসন্ত

প্রকৃতি থেকে বসন্ত বিদায় নিচ্ছে। আসছে গ্রীষ্ম। বসন্তের বিদায়বেলায় বিস্তৃত সবুজ শাল-গজারি বনে বাসন্তী রং ছড়াচ্ছে হলদে শাল-গজারি ফুল। গাজীপুরের অধিকাংশ এলাকাজুড়ে এখন বসন্তের এই রং উৎসব চলছে। বিশেষ করে শ্রীপুর, গাজীপুর সদরের একাংশ, কাপাসিয়ার একাংশ ও কালিয়াকৈর উপজেলার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে চলছে এই রঙের উৎসব।

শ্রীপুরের কর্ণপুর থেকে বরমী কিংবা হায়াতখার চালা থেকে গোসিংগা আঞ্চলিক সড়কের মতো অনেকগুলো সড়ক ভ্রমণ এখন যে কাউকে এক ব্যতিক্রমী বসন্তের অভিজ্ঞতা দেবে। বিশেষ করে এ সময় মাওনা থেকে কালিয়াকৈর উপজেলায় যাতায়াতের সড়কপথের পুরোটাই ফুলে ছেয়ে থাকে। এসব সড়কে ভ্রমণ করলে দেখা যায়, দুই পাশে শুকনা পাতার ওপর ছড়িয়ে আছে কাঁচা হলুদ রঙের শাল-গজারি ফুল। সঙ্গে আছে মোহনীয় গন্ধ।

শাল-গজারি বনের কোনো একটি গাছের মাথায় উঠে চারদিকে তাকালে মনে হবে, বনের গাছপালার ওপর কেউ যেন হলুদ রঙের মাদুর বিছিয়ে রেখেছে। ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে মৌমাছিসহ নানা কীটপতঙ্গ। পাখিদের ওড়াউড়িতে বনজুড়ে যেন এক মহোৎসব চলছে। পাখির ডানা ঝাপটানো কিংবা হঠাৎ একটু দমকা বাতাসে গাছ থেকে নিচে ঝরে পড়ে হলুদ শাল-গজারি ফুল। বসন্তে গাছের সব পাতা ঝরে যাওয়ার পর গাছে থাকা হলুদ ফুলগুলো এক অনন্য সৌন্দর্য ছড়ায়।

প্রতিবছর বসন্তের মাঝামাঝি থেকে শাল-গজারিগাছে ফুল ফুটতে শুরু করে। এরপর গাছ থেকে অপরিণত অবস্থায় বেশির ভাগ ফুল নিচে ঝরে পড়ে। থেকে যাওয়া ফুলগুলো বড় হয়। বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এসব ফুল পরিণত হয়ে যায়। তখন এর রং হয় কিছুটা বাদামি।

পরিণত ফুলের আবার অন্য রকম সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্য আছে। এসব ফুলের এক পাশে থাকে বীজ। আর অন্য পাশে ফুলের পাপড়ির মতো ছড়ানো বড় বড় পাতলা পাপড়ি। একসময় গাছ থেকে বীজসহ এসব ফুল ঝরে পড়ে। তখন বীজের এক পাশে থাকা পাপড়ির মতো অংশ বাতাসে ঘুরতে ঘুরতে এলোমেলোভাবে দূরদূরান্তে বীজগুলোকে ছড়িয়ে দেয়।

বসন্তের এ সময় শাল-গজারি বনে বিভিন্ন ফুল ফোটে। এগুলোর মধ্যে আছে কনকচাঁপা, জারুল, শিমুল, শেফালি, শিরীষ, মান্দার, কামিনী, অতসী, দাঁতরাঙা, কাঞ্চন, বেলি, শটি, রঙ্গনসহ নানা ফুল।

শাল-গজারি বনের বর্ণিল বিভা বসন্তের সৌন্দর্যে যোগ করে নতুন মাত্রা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আদিবাসীদের সঙ্গে নিয়েই পথ চলতে হবে
  • জাতির আসল পরিচয় তার সংস্কৃতি
  • দেশজুড়ে মেলার উৎসব-উদ্দীপনা
  • সংগীতের আবহে উৎসব
  • চৈত্র সংক্রান্তিতে বেরোবিতে ঘুড়ি উৎসব আয়োজিত
  • খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব, শিকড়ে ফেরা, রঙে রাঙানো একদিন
  • নতুন প্রেমিকার হাত ধরে ম্যাকাও উৎসবে আমির খান
  • সেইলরের বৈশাখ আয়োজন
  • বান্দরবানে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে সাংগ্রাই শুরু
  • শাল-গজারি বনে রং ছড়িয়ে বিদায় নিচ্ছে বসন্ত