ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে প্রাণ গেল রোহিঙ্গার
Published: 14th, March 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের অংশগ্রহণে লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম নেয়ামত উল্লাহ (৫০)। তিনি ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত সবি মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে অনুষ্ঠানস্থল ডামি হিল (হ্যালিপ্যাড) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-১৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো.
এ সময় আরও দুজন আহত হয়েছেন বলেও জানান সিরাজ আমীন। তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জাহেদুল হাসান আহতদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আহতরা বলছেন গরম ছিল অনেক, তার ওপর রোজা, অনেক হুড়োহুড়িতে পড়ে যান তারা।’
আহতরা হলেন, ৪ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক-ই/০৫ আসাদ উল্লাহর ছেলে আসমত উল্লাহ (১৬) ও একই ক্যাম্পের বশির আহমেদের ছেলে কলিম উল্লাহ (৬২)।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইফত র র হ ঙ গ ন হত উল ল হ
এছাড়াও পড়ুন:
নাটোরে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহত ৫
নাটোরের গুরুদাসপুরে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে উপজেলার নাজিরপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা নাটোর ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহতরা হলেন-নাজিরপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সালেহ আহমেদ বিপুল (৪০), বিএনপি কর্মী হারুন (৩৬) ও জামাল হোসেন (৪৫) এবং জামায়াত কর্মী সোহাগ আহমেদ (৩০) ও কামাল হোসেন (৩২)।
এ ঘটনায় জামায়াত কর্মী সোহাগের বাবা বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। যুবদল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, তারা হামলার ভয়ে চিকিৎসাও নিতে পারছেন না।
আরো পড়ুন:
জামায়াতের ইফতার মাহফিলে বিএনপির বাধা, মামলা
গাজীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বহিষ্কার
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, “এক পক্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে খবর পাওয়ার পর পুলিশ পাঠিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।”
নাজিরপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির হামিদুর রহমান সবুজ বলেন, “নাজিরপুর ইউনিয়ন জামায়াতের ইফতার মাহফিল উপলক্ষ্যে গণসংযোগ করছিলেন জামায়াতকর্মী চিকিৎসক আব্দুর রহিম, সোহাগ আহমেদ ও কামাল হোসেন। এ সময় নাজিরপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সালেহ আহমেদ বিপুলের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি সমাধান করা হলেও কিছু সময় পরে বিপুল তার জনবল নিয়ে সোহাগ ও কামালের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এরপরেই দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। জামায়াতের দুই কর্মী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”
নাজিরপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সালেহ আহমেদ বিপুল বলেন, “নাজিরপুর বাজারে আমার বিপুল খেলাঘর নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমি রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা করি। জামায়াতের নেতাকর্মীরা যেটা দাবি করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
সালেহ আহমেদ বিপুল বলেন, “আমার প্রতিবেশী চিকিৎসক আব্দুর রহিম আমার দোকানের কর্মচারীকে প্রায় সময় মারধর করে। আমি সেই বিষয়ে আব্দুর রহিমের সঙ্গে কথা বলছিলাম। হঠাৎ করেই আমার শার্টের কলার চেপে ধরে মারধর করতে থাকে। ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলে স্থানীয় লোকজন এসে বিষয়টি সমাধান করে দেয়। কিন্তু আব্দুর রহিম তার আক্রোশ মেটানোর জন্য জামায়াতের নেতাকর্মীদের মোবাইল ফোনে ইফতার পার্টির গণসংযোগে বাধা দেওয়ার মিথ্যা কথা বলে ডেকে আনে। তারা প্রায় ২৫০-৩০০ লোক হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে আমার এবং আমার সঙ্গে থাকা আরও দুই বিএনপি কর্মীর ওপর হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই আমরা ৩ জন রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা আমাদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়।”
নাটোর/আরিফুল/এসবি