র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) যেসব সদস্য গত ১৬ বছরে গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিচারের দাবিতে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রাজধানীর উত্তরায় র‍্যাব সদর দপ্তরের সামনে জুলাই মঞ্চ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম আজ শুক্রবার বিকেলে এই কর্মসূচি পালন করে।

এই কর্মসূচি থেকে জুলাই গণহত্যার বিচার, এই গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা, গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও জানানো হয়েছে।

‘শহীদি মার্চ’ শীর্ষক এই কর্মসূচিতে জুলাই মঞ্চের প্রতিনিধি সাকিব হোসাইন বলেন, র‍্যাব বাংলাদেশে এমন সব কাজ করেছে, যার ফলাফল হিসেবে জাতিসংঘ ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো র‍্যাবকে নিষিদ্ধের পরামর্শ দিয়েছে। র‍্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক নিজে স্বীকার করেছেন, বিগত সময়ে র‍্যাব গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের সঙ্গে জড়িত ছিল। অথচ সাত মাস পার হলেও এখনো র‍্যাবের যে সদস্যরা গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের তালিকা প্রকাশ করেনি র‍্যাব। পাশাপাশি চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে র‍্যাবের যাঁরা গণহত্যায় জড়িত, তাঁদের শাস্তির আওতায় আনা হয়নি।

জুলাই মঞ্চের আরেক প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বর্তমানে প্রশাসন কোনো সহযোগিতা করছে না। যারা স্বৈরাচারের আমলে নিয়োগ পেয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত জুলাই মঞ্চের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

শহীদি মার্চে সংহতি জানিয়ে গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, বিগত সরকার র‍্যাবকে দলীয় বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্য খারাপ নন। যাঁরা আওয়ামী লীগের দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ কিংবা পদোন্নতি পেয়েছিলেন, তাঁরাই হাসিনাকে রক্ষা করতে ছাত্র–জনতার ওপর গুলি চালিয়েছেন। তাঁদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। পুরো বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না।

জুলাই মঞ্চের প্রতিনিধি অর্নব হুসেইনের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে মুতাছিরুল ইসলাম, মুন্তাজুল ইসলাম, সুরাইয়া আন্তা, আব্দুল নুর তালুকদার, ফুহাদ হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গণহত য সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

‘মার্চ ফর গাজা’ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঐক্য: সারজিস

জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‍“বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ফিলিস্তিনের মজলুমদের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়াসে সবচেয়ে বড় ঐক্য সেটা আমরা দেখেছি গতকাল (১২ এপ্রিল)। বিগত ৫৩-৫৪ বছরের বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ দলমত নির্বিশেষে, কোনো ব্যানার না রেখে শুধুমাত্র গাজার মজলুম ভাইদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি পালন করেছেন।”

রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের নায়েক পাড়ায় গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সাগর ইসলামের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

সারজিস আলম বলেন, “আমরা পুরো বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশ্বকে একটি বার্তাই দিতে চাই যে, ফিলিস্তিনের গাজায় যেটা হচ্ছে- এটা একটা গণহত্যা। এই গণহত্যার রক্তের দাগ নেতানিয়াহুর হাতে আছে। এই রক্তের দাগ নেতানিয়াহুকে যারা বিভিন্নভাবে আর্থিক সহযোগিতা করছেন তাদের প্রত্যেকের গায়ে আছে।” 

আরো পড়ুন:

গাজা সিটির একমাত্র সচল হাসপাতালে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অসুস্থ হওয়া ১৪ জন ঢাকা মেডিকেলে

তিনি বলেন, “আমি বাংলাদেশের একজন মানুষ হিসেবে স্পষ্ট করে পৃথিবীর কাছে এই আহ্বানটুকু জানাই- আপনারা আপনাদের জায়গা থেকে গাজার মজলুম ভাইদের পক্ষে কথা বলা শুরু করুন।” 

তিনি আরো বলেন, “গাজায় যে বর্বরতা আর গণহত্যা চলছে, এগুলো যদি ঘটতে দেওয়া হয়, তাহলে তা আর গাজায় সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটা একদিন পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে যাবে। গণহত্যার বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে। আমরা গাজার ভাইদের বলতে চাই, পুরো বাংলাদেশ আপনাদের সঙ্গে আছে, পুরো পৃথিবী আপনাদের সঙ্গে আছে।” 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চাকলাহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, শহীদ সাগরের বাবা রবিউল ইসলাম, নাগরিক পার্টির পঞ্চগড়ের সংগঠক তানবীরুল বারী নয়ন।

ঢাকা/নাঈম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিরাজগঞ্জে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে পুরোহিত গ্রেপ্তার
  • আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা হতাশাজনক
  • জুলাই আন্দোলনে গুলির নির্দেশ: সহকারী কমিশনার ও অতিরিক্ত এসপি গ্রেপ্তার
  • নোবিপ্রবির উপাসনালয় ভাঙচুর 
  • ট্রাইব্যুনালের মামলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  • হুমকি না থাকলেও বর্ষবরণে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
  • জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত
  • ‘মার্চ ফর গাজা’ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঐক্য: সারজিস
  • কার্যালয়ের ভেতর আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা, বাইরে খুনের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
  • জেলা জুড়ে দুই দিনে ৬ লাশ, জনমনে আতংক