স্বাস্থ্যখাতে দেশের মানুষের পকেট ব্যয় আফগানিস্তানের চেয়েও খারাপ: আমীর খসরু
Published: 14th, March 2025 GMT
বাংলাদেশের মতো স্বাস্থ্য খাতে এত কম বাজেট বিশ্বে আরও কোথাও নেই, এমনকি স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের মানুষের পকেট ব্যয় আফগানিস্তানের চেয়েও খারাপ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘মেডিকেল ও স্বাস্থ্যখাতে আফগানিস্তানের চেয়েও বাংলাদেশের মানুষের পকেট ব্যয়ের অবস্থা বেশি খারাপ। এজন্য বিএনপি যুক্তরাজ্যের এনএইচএস (ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস) মডেলের মতো সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত আমরা পরিপূর্ণভাবে পালন করব। এজন্য ডাক্তারদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর পাঁচলাইশের কিং অব চিটাগং কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত চিকিৎসক সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব), চট্টগ্রাম শাখা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘একটি বড় ধরনের পরিবর্তন সবাই প্রত্যাশা করছে। সে পরিবর্তন ডাক্তারদের কাছ থেকেও আসতে হবে। যারা প্র্যাক্টিস করেন, হাসপাতালে আছেন বা যেখানেই আছেন সবাই সহযোগিতা করেন, এ পরিবর্তন সম্ভব। বাজেটে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির এক শতাংশের আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এত কম বাজেট বিশ্বের আর কোথাও নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি, স্বাস্থ্যখাতে জিডিপি ১ শতাংশ থেকে ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করব। কিন্তু আপনাদের ডাক্তার-রাজনীতিবিদদের সংস্কৃতি পরিবর্তন না করলে কোনোকিছু কাজ করবে না। আমাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে যাতে পরিবর্তনের সঙ্গে আমরা তাল মিলিয়ে চলতে পারি। আমাদের পেশাজীবী, রাজনীতিবিদদের যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করতে হবে।’
প্রসঙ্গক্রমে চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আপনাদের ভূমিকার মাধ্যেমে আমরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসব। এ ব্যাপারে নিঃসন্দেহে থাকতে পারেন। বাজেট আসবে, আইনগত পরিবর্তন আসবে। সকলকে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ৫ আগস্ট ও শেখ হাসিনার পলায়নের পর মানুষের মনোজগতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। সে পরিবর্তন বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের প্রত্যাশা কিন্তু অনেক বেশি। এজন্য রাজনীতিবিদ, ডাক্তার, পেশাজীবী সকলের প্রতি এত প্রত্যাশা মানুষের। এটা অনুধাবন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে সেসব মানুষের মনোজগতের কথা ধারণ করতে হবে। সেভাবে আমাদের রাজনীতিতে যদি ডাক্তার-পেশাজীবীদের কার্যক্রম গুণগত পরিবর্তন আমরা করতে না পারি, তাহলে আমরাও কিন্তু বেশিদিন টিকে থাকতে পারব না।’ এ সময় তিনি বাংলাদেশের বর্তমান যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সেখান থেকে যদি ঘুরে দাঁড়াতে হয় তাহলে চিকিৎসকদের সার্বিক সহযোগিতা দরকার বলেও মন্তব্য করেন।
ড্যাব, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজুর রহমান, জেলা সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন ঢালী, নগর সাধারণ সম্পাদক ইফতেখারুল ইসলাম লিটনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সিটি মেয়র ডা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
এই ৭ বদভ্যাস ধীরে ধীরে আপনাকে অলস বানাচ্ছে
ইশপের সেই গল্প তো আমাদের প্রায় সবারই জানা। খরগোশ আর কচ্ছপ একদিন দৌড় প্রতিযোগিতায় নামল। খরগোশ এক নিমেষেই অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখল কচ্ছপ অনেক পেছনে। তখন খরগোশ ভাবল, একটু বিশ্রাম নিই। এই বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল খরগোশ। ওদিকে ধীরে ধীরে কচ্ছপ পৌঁছে গেল শেষ দাগে। দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেকেই খরগোশের মতো আয়েশ করতে গিয়ে অনেক কিছু থেকে পিছিয়ে পড়ি। অলসতা এক দিনে তৈরি হয় না, বরং দিন দিন কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাসের মাধ্যমে অলসতা আমাদের পেয়ে বসে। একসময় জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়ায়। যা আমাদের শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় করার পাশাপাশি মানসিক শক্তিও কমিয়ে দেয়। চলুন দেখে নিই বিষয়গুলো।
ঘুম থেকে দেরিতে ওঠাঘুম থেকে দেরি করে উঠলে অলসতার সঙ্গেই আসলে দিনের শুরুটা হয়। এতে দেহঘড়িরও ছন্দপতন হয়। এ ছাড়া দেরিতে ঘুম থেকে উঠলে কাজ করার সময় কমে যায়, দিনভর বিষণ্ন লাগে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একবার স্ক্রল করতে শুরু করলে অবচেতনেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়