বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি কোনে প্রত্যেক মা, বোন ও কন্যার নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে শিগগির ব্যবস্থা নিতে হবে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।

তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে আট বছর বয়সী এক শিশুর ধর্ষণের পর মর্মান্তিক মৃত্যু আমাদের সবাইকে দুঃখ, লজ্জা ও শোকার্ত করেছে। দেশের শিশু ও নারীদের কখনোই সহিংসতা, নিপীড়ন ও হয়রানির মুখোমুখি হওয়া উচিত না।

তিনি আরও বলেছেন, জাতি হিসেবে মানুষ হিসেবে আমাদের নিজেদের দিকে তাকানো দরকার, যেন দেশে এ ধরনের অন্যায় না হয়, তা নিশ্চিত করা যায় এবং যেখানে সবার স্বাধীনতা ও অধিকারের প্রতি সম্মান রাখা যায়। এ ধরনের ভয়াবহ অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারের জন্য তাদের পাশে থাকার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমাদের দল বিএনপি দুটি সেল গঠন করেছে - একটি চিকিৎসা সহায়তার জন্য ও অপরটি আইনি সহায়তার জন্য। এই সেলগুলোতে বেশ কিছুসংখ্যক নারী চিকিৎসক ও আইনজীবী আছেন যারা ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারকে বিনামূল্যে, পেশাদারিত্বের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন।

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের পথিকৃৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি আবারও দায়িত্ব পালনের নেতৃত্ব দিতে এবং লিঙ্গ, ধর্ম বা রাজনৈতিক মতামত নির্বিশেষে সবার জন্য নিরাপদ, সমান ও ন্যায্য সমাজ গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন ব এনপ ত র ক রহম ন র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

আদালতের ভেতরে পুলিশকে মারধর, বিএনপির ৬ নেতাকর্মী আটক

পাবনায় আদালতের ভেতরে শুনানি চলাকালে ভিডিও ধারণ করতে বাধা দেওয়ায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের ফতে মোহাম্মদপুর নিউ কলোনী এলাকার মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে আওয়াল কবির (৩৮), হাবিবুর রহমানের ছেলে সরোয়ার জাহান শিশির (৩৩), দাশুড়িয়া গ্রামের মৃত আমজাদ খানের ছেলে কালাম খান (৪০), এম এস কলোনী এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে রুবেল হোসেন (৩৩), লোকোসেড গাউছিয়া মসজিদ এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে সবুজ হোসেন (৩৫) এবং ভাঁড়ইমারী বাঁশেরবাদা গ্রামের মৃত আব্দুল গাফফার সরদারের জহুরুল ইসলাম (৩৫)।

তাদের মধ্যে আওয়াল কবির ঈশ্বরদী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক, সরোয়ার জাহান শিশির পৌর ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রত্যাশী, কালাম খান দাশুড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, রুবেল হোসেন পৌর ৪নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এবং জহুরুল ইসলাম ডালিম সলিমপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর ঈশ্বরদীতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সময় নাশকতা একটি মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলায় আটককৃতরা হাজিরা দিতে এসেছিলেন। হাজিরা চলা অবস্থায় তারা এজলাসে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে থাকেন। এসময় সেখানে থাকা পুলিশ সদস্য শাহ আলম তাদের ছবি তুলতে বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পুলিশ‌ সদস্যকে মারধর করেন ওইসব নেতাকর্মীরা। 

এসময় আদালতের আইনজীবী ও উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করেন এবং হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে আদালতের শুনানি শেষে তাদের আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিদর্শক ( কোর্ট ইন্সপেক্টর) রাশেদুল ইসলাম জানান, সঙ্গে সঙ্গে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে পাবনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আইনজীবী মাসুদ খন্দকার বলেন, “আদালতের এসলাসে এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়ার মত নয়। বিএনপির কেউ যদি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/শাহীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ