চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় তারবারি নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হয়েছে প্রতিবন্ধী এক কিশোরী। 

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের কাগমারি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনা জানাজানি হলেই অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে। 

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভুক্তভোগী পরিবারও থানায় এজহার দাখিল করেছেন। এরমধ্যে ওই এলাকারই নজরুল ইসলামের ছেলে মো.

সাখাওয়াতসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তবে বাকি দুজনের বয়স ১৮ না হওয়ায় তাদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ১২ বছর বয়সী ওই বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী কাগমারি জামে মসজিদে তার চাচীর সঙ্গে তারাবির নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। এসময় তার চাচী মসজিদে ঢুকে গেলে সে বাহিরে থেকে যায়। এই সুযোগে সাখাওয়াতসহ তার তিন জন সহযোগী ওই কিশোরীকে বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। 

ভুক্তভোগী কিশোরী বাড়ি ফিরে তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। তার পরিবার এলাকার কিছু ব্যক্তিদের জানালে এই খবর জানাজানি হয়। পরে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে তাদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া বলেন, “ওই মেয়েকে মসজিদের সামনে থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের সকালেই আটক করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এজহার দাখিল করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/শিয়াম/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরের জাজিরায় আবারও সংঘর্ষ, মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শতাধিক ককটেল (হাতবোমা) বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

গতকাল রোববার দুপুরে জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে এক তরুণের হাতের কব্জিতে গুরুতর ক্ষত হয় এবং আরও একজন আহত হন।

জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিঠুন ঢালী ও জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হালিম তালুকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই দুই নেতা আত্মগোপনে গেলে স্থানীয় পর্যায়ে তাদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জসিম তালুকদার ও নুর আলম সরদার।

রোববার দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। এ সময় নুর আলম সরদারের অনুসারীরা প্রতিপক্ষের ওপর ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। এরপর উভয় পক্ষ ঘণ্টা-ব্যাপী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারামারি। পরে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সংঘর্ষের কিছু দৃশ্য স্থানীয় এক ব্যক্তির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হয়, যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ৪ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, এক পক্ষের সমর্থকরা বালতিতে করে ককটেল নিয়ে প্রতিপক্ষের দিকে নিক্ষেপ করছেন। তাদের হাতে ছিল টেঁটা, রামদা, ছেনদা, বল্লম, ডাল-সুরকি ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র।

সম্প্রতি জাজিরার বিলাশপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় খইয়ের মতো ককটেল বিস্ফোরণ দেশজুড়ে আলোচিত হয়। গত ৫ এপ্রিল সেখানে দুই শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যা এখনও আলোচনায় রয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো ছাব্বিশপারা এলাকায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, গতকাল দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কিছু হাতবোমা বিস্ফোরিত হয় বলে জানতে পেরেছি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ