ধর্ষণের বিচার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কাফনমিছিল
Published: 14th, March 2025 GMT
মাগুরায় শিশুকে ধর্ষণ–হত্যাসহ সব ধর্ষণের বিচার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ ও ছাত্রনেতাদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন কাফনমিছিল করেছে। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে এই মিছিল শুরু হয়।
কাফনমিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন মামলায় অভিযুক্ত বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘ ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ধারাবাহিকতায় জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হয়েছে। হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের জনগণ সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকার হারিয়ে প্রজায় পরিণত হয়েছিল, জনগণের কোনো নায্য দাবি তারা মেনে নেয়নি। সে সময় দেখা যেত শত ব্যর্থতার পরও জনদাবিকে অগ্রাহ্য করত।
সৈকত আরিফ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের মাঝেও আমরা সে ধরনের চরিত্র দেখতে পাচ্ছি। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সাত মাস পরও যখন ধর্ষণ-খুন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারছে না, তখন এই ব্যর্থতার দায় নিয়ে জনগণ যখন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছে, তখন সরকার সেই জনদাবিকে অগ্রাহ্য করছে। এমনকি বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষকে নিজেদের গোষ্ঠীস্বার্থে ব্যবহার করে ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করতে দেখছি।’
ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ব্যর্থতা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্রসংগঠন এমনকি উপদেষ্টাদের কেউ কেউ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ প্রসঙ্গে সকল রাজনৈতিক দল, ছাত্রসংগঠন ও উপদেষ্টাদের স্পষ্ট অবস্থান জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে। তাঁরা পদত্যাগ চান কি না; না চাইলে কেন চান না, তা জনগণের জানার অধিকার আছে। আমরা আশা করব, তাঁরা সেই অবস্থান পরিষ্কার করবেন।’
পরে কাফনমিছিলটি রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর ঘুরে আবার রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।
কাফনমিছিলে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ফেডারেশনের আহ্বায়ক আরমানুল হক, অর্থ সম্পাদক ফারহানা মানিক মুনা, কেন্দ্রীয় সদস্য সাইদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক সীমা আক্তারসহ অন্য নেতারা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের জন্য অর্থ সহায়তা ঘোষণা করেছে কানাডা
বাংলাদেশের পাশাপাশি বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নতুনভাবে ২৭২.১ মিলিয়ন ডলার সহায়তা ঘোষণা করেছে।
রোববার (৯ মার্চ) কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী আহমেদ হুসেন এই সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দেন।
কানাডার প্রভাবশালী গণমাধ্যম গ্লোবাল নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে। তারা এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে।
এক বিবৃতিতে আহমেদ হুসেন জানান, বাংলাদেশ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক আরো দৃঢ় হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আমরা বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলছি।
এই সহায়তার মধ্যে ১৪টি আলাদা প্রকল্পে অর্থ ব্যয় করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে লিঙ্গ সমতা, নারীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা, দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধির মতো প্রকল্প। কানাডার সরকার জানিয়েছে, নার্সিং খাতে নারীর ক্ষমতায়ন নামে একটি প্রকল্পের জন্য তিন বছরে ৬৩ লাখ ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এই সহায়তার ঘোষণা তখনই এসেছে, যখন কানাডার লিবারেল সরকার বসন্তকালে নতুন নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে।
কানাডার সরকারের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে কয়েক লাখ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিক কানাডায় বসবাস করছেন, যারা এই ঘোষণার পর একটি নতুন আশার আলো দেখছেন।