মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পেটানোর ভিডিও দেখে জড়িতদের শনাক্ত করল পুলিশ
Published: 14th, March 2025 GMT
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছিলেন দুজন। আশপাশের কিছু লোক তা দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। কিছুক্ষণ পর অপর একজন এসে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তিকে পেটাতে থাকেন।
শুক্রবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন ভিডিও দেখে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করেছে পুলিশ। তবে তাঁরা পলাতক থাকায় কাউকে আটক করা যায়নি।
ঘটনাটি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আসামপাড়া বাজারের। পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের শনাক্ত করতে পারলেও ভারসাম্যহীন ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫০ বছর বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি চুনারুঘাটের আসামপাড়া বাজারে ঘুরে বেড়াতেন। বৃহস্পতিবার সকালে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ওই ব্যক্তির সঙ্গে বাজার এলাকার বাসিন্দা আবদুল মোতালেব মিয়ার ধাক্কা লাগে। তখন মোতালেব মিয়া গালি দেন। ভারসাম্যহীন ব্যক্তি মোতালেব মিয়াকে লাথি দেন। এ খবর পেয়ে আবদুল মোতালেব মিয়ার তিন ছেলে বকুল, মুকুল ও শেকুল এসে লাঠি দিয়ে ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পেটাতে থাকেন। এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ এন এম সাজেদুর রহমান চুনারুঘাট থানা-পুলিশকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী পুলিশ ঘটনাস্থলে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পেরেছে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক থাকায় এ বিষয়ে কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
ওসি নূর আলম আরও বলেন, যে ব্যক্তিকে পেটানো হয়েছে, তিনি ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীন। এ ধরনের মানুষের সঙ্গে কারও শত্রুতা থাকতে পারে না; কিন্তু কেন এমনটি তাঁরা করলেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এখন এলাকায় নেই। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এই ৭ বদভ্যাস ধীরে ধীরে আপনাকে অলস বানাচ্ছে
ইশপের সেই গল্প তো আমাদের প্রায় সবারই জানা। খরগোশ আর কচ্ছপ একদিন দৌড় প্রতিযোগিতায় নামল। খরগোশ এক নিমেষেই অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখল কচ্ছপ অনেক পেছনে। তখন খরগোশ ভাবল, একটু বিশ্রাম নিই। এই বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল খরগোশ। ওদিকে ধীরে ধীরে কচ্ছপ পৌঁছে গেল শেষ দাগে। দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেকেই খরগোশের মতো আয়েশ করতে গিয়ে অনেক কিছু থেকে পিছিয়ে পড়ি। অলসতা এক দিনে তৈরি হয় না, বরং দিন দিন কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাসের মাধ্যমে অলসতা আমাদের পেয়ে বসে। একসময় জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়ায়। যা আমাদের শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় করার পাশাপাশি মানসিক শক্তিও কমিয়ে দেয়। চলুন দেখে নিই বিষয়গুলো।
ঘুম থেকে দেরিতে ওঠাঘুম থেকে দেরি করে উঠলে অলসতার সঙ্গেই আসলে দিনের শুরুটা হয়। এতে দেহঘড়িরও ছন্দপতন হয়। এ ছাড়া দেরিতে ঘুম থেকে উঠলে কাজ করার সময় কমে যায়, দিনভর বিষণ্ন লাগে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একবার স্ক্রল করতে শুরু করলে অবচেতনেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়