নাটোরের গুরুদাসপুরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন এবং জামায়াতের নেতাকর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলার নাজিরপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত নেতাকর্মীরা নাটোর ও রাজশাহীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টহল জোরদার করেছে। এ ঘটনায় জামায়াতের কর্মী সোহাগের বাবা গুরুদাসপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আহত নেতাকর্মীরা হলেন, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সালেহ আহমেদ বিপুল (৪০), বিএনপি কর্মী হারুন (৩৬) ও জামাল হোসেন (৪৫), জামায়াত কর্মী সোহাগ আহমেদ (৩০) এবং কামাল হোসেন (৩২)।

নাজিরপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির হামিদুর রহমান সবুজের ভাষ্য, শুক্রবার ইউনিয়ন জামায়াতের আয়োজনে ইফতার মাহফিলের জন্য গণসংযোগ করছিলেন দলের কর্মী আব্দুর রহিম, সোহাগ আহমেদ ও কামাল হোসেন। একপর্যায়ে ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সালেহ আহমেদ বিপুলের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়।

বিষয়টি সমাধান করা হলেও কিছুক্ষণ পর বিপুল জনবল নিয়ে সোহাগ ও কামালের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযোগ করে হামিদুর রহমান বলেন, এ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। জামায়াতের দুই কর্মী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সালেহ আহমেদ বিপুল বলেন, জামায়াতের নেতাকর্মীর দাবি মিথ্যা। ২৫০-৩০০ লোক অস্ত্র নিয়ে এসে তাঁর ও সঙ্গে থাকা দুই বিএনপি কর্মীর ওপর হামলা চালায়। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে নাটোরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আগে বাড়ি থেকে বের হতে পারছিলেন না। কোনো স্বজন বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় থানায় অভিযোগ দিতে পারেননি।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, এক পক্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে খবর পাওয়ার পর পুলিশ পাঠিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। তদন্তসাপেক্ষে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন ত কর ম র ব এনপ আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

এই ৭ বদভ্যাস ধীরে ধীরে আপনাকে অলস বানাচ্ছে

ইশপের সেই গল্প তো আমাদের প্রায় সবারই জানা। খরগোশ আর কচ্ছপ একদিন দৌড় প্রতিযোগিতায় নামল। খরগোশ এক নিমেষেই অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখল কচ্ছপ অনেক পেছনে। তখন খরগোশ ভাবল, একটু বিশ্রাম নিই। এই বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল খরগোশ। ওদিকে ধীরে ধীরে কচ্ছপ পৌঁছে গেল শেষ দাগে। দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেকেই খরগোশের মতো আয়েশ করতে গিয়ে অনেক কিছু থেকে পিছিয়ে পড়ি। অলসতা এক দিনে তৈরি হয় না, বরং দিন দিন কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাসের মাধ্যমে অলসতা আমাদের পেয়ে বসে। একসময় জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়ায়। যা আমাদের শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় করার পাশাপাশি মানসিক শক্তিও কমিয়ে দেয়। চলুন দেখে নিই বিষয়গুলো।

ঘুম থেকে দেরিতে ওঠা

ঘুম থেকে দেরি করে উঠলে অলসতার সঙ্গেই আসলে দিনের শুরুটা হয়। এতে দেহঘড়িরও ছন্দপতন হয়। এ ছাড়া দেরিতে ঘুম থেকে উঠলে কাজ করার সময় কমে যায়, দিনভর বিষণ্ন লাগে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একবার স্ক্রল করতে শুরু করলে অবচেতনেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ