ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা ও চাচাকে পিটিয়ে জখম
Published: 14th, March 2025 GMT
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা ও চাচাকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের জোড়খালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার রাতে ছাত্রীর বাবা তিন বখাটের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করে কাঁঠালিয়া থানায় মামলা করেছেন। তারা হলেন জোড়খালী এলাকার রাজ মল্লিক, সিফাত মল্লিক ও আরিফ মল্লিক। মামলার পর থেকে তারা পলাতক।
এজাহার থেকে জানা গেছে, জোড়খালী এলাকার এসএসসি পরীক্ষার্থীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে রাজ মল্লিক প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বাড়িতে এসে সবাইকে জানায়। ছাত্রীর বাবাসহ পরিবারের লোকজন রাজ মল্লিককে এমন কর্মকাণ্ড করতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজ মল্লিক ওই ছাত্রীকে অপহরণ করার হুমকি দেয়। ১০ মার্চ দুপুরে ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। ওই সময় আসামিরা তার পথরোধ করে পরনের কাপড় ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করে। এক পর্যায়ে ওড়না ছিঁড়ে ফেলে। ছাত্রী দৌড়ে বাড়িতে এসে ঘটনা তার বাবাকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এসে আসামিদের শাসান। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। বাবাকে রক্ষায় ছাত্রী এগিয়ে এলে আসামিরা তাকেও মারধর করে। বাবা-মেয়ে চিৎকার করলে ছাত্রীর চাচা মো.
রাজ মল্লিকসহ আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মং চেনলা বলেন, এ ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ প্রয়োজনে ভুক্তভোগী পরিবারকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে পাহাড়ি এলাকায় দিনমজুর অপহৃত
কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি এলাকায় লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়েছেন এক দিনমজুর।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবনিয়া এলাকায় তাকে অপহরণ করা হয়। এ সময় দুজন দিনমজুর অপহরণকারীদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। অপহৃত দেলোয়ার হোসেন (২৫) মারিশবনিয়া মৃত আব্দুল মালেক মিস্ত্রির ছেলে।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ ফরিদ উল্লাহ জানিয়েছেন, সকালে তিন জন দিনমজুর লাকড়ি আনতে পাহাড়ে গেলে একদল অপহরণকারী তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় এক জনকে অপহরণ করা হয় এবং বাকি দুই জন দৌড়ে পালিয়ে আসে।
তিনি বলেন, “এ ঘটনা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ভুক্তভোগীর পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবগত করেছি।”
মোহাম্মদ ফরিদ উল্লাহ জানান, মারিশবনিয়া পাহাড়-সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় এখানে প্রায়ই অপহরণ হয়। তাই, পাহাড়ি এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বক্ষণিক টহল নিশ্চিত করা জরুরি।
ঢাকা/তারেকুর/রফিক