সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্মানজনক গোল্ডেন রেসিডেন্সি ভিসা পেয়েছেন সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্টস ফোরামের মহাসচিব সাংবাদিক কেরামত উল্লাহ বিপ্লব।

আমিরাত সরকারের মিডিয়া কাউন্সিলের তালিকা অনুসারে ‘এক্সপার্ট জার্নালিস্ট’ ক্যাটাগরিতে এই সম্মাননা তাকে দেওয়া হয়েছে। এই সম্মাননা অর্জনকারী তিনিই প্রথম বাংলাদেশি সাংবাদিক।

সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান পেশাজীবীদের বিশেষ ক্যাটাগরিতে এই সুবিধা দিয়ে থাকে। গোল্ডেন রেসিডেন্সি প্রাপ্তরা আমিরাতের নাগরিক না হয়েও শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা, সরকারি অনুষ্ঠানে যোগদান, বিমানবন্দরে প্রিভিলেজসহ নানা সুবিধা পান।

আরো পড়ুন:

ডিআরইউর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রবীণ সাংবাদিকদের জন্য মাসিক ভাতার ব্যবস্থা হচ্ছে: এম আব্দুল্লাহ

অভিবাসী কর্মীদের জীবন এবং জলবায়ু বিষয়ে তার সাংবাদিকতার বিষয়টিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের মিডিয়া কাউন্সিল অনন্য বিবেচনা করেছে। মানবিক সাংবাদিকতার ক্ষেত্র তৈরির জন্য  সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের এই উদ্যোগ। এজন্য দেশটির সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কেরামত উল্লাহ বিপ্লব।

এ বিষয়ে শুক্রবার কেরামত উল্লাহ বিপ্লব বলেন, “বিদেশে যত সম্মান সেটা হলো কর্মক্ষেত্র। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি, ভালোবাসা এবং ঠিকানা। সবার আগে আমি বাংলাদেশি, এটাই আমার গর্বের।”

এর আগে ভারত থেকে বলিউড সুপারস্টার রজনীকান্ত, শাহরুখ খান, সঞ্জয় দত্ত, টেনিস তারকা সানিয়া মির্জাসহ বেশ কিছু বিদেশি নাগরিক আরব আমিরাতের গোল্ডেন রেসিডেন্সি ভিসা পান। এছাড়া বিনিয়োগ, ব্যবসাসহ নানা ক্ষেত্রে বহু প্রবাসী ভারতীয়ও বাংলাদেশি গোল্ডেন রেসিডেন্সি পেয়েছেন।

সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্টস ফোরামের মহাসচিব কেরামত উল্লাহ বিপ্লবের এ অর্জনে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

ঢাকা/এএএম/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব স

এছাড়াও পড়ুন:

জিনদের আহার্য

মহানবী (সা.) একবার তার সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বললেন কিছু পাথর নিয়ে আসতে। তবে হাড় বা গোবর আনতে নিষেধ করলেন। আবু হুরায়রা (রা.) কাপড়ে করে কিছু পাথর এনে সেগুলো নবীজি (সা.)-এর পাশে রেখে চলে গেলেন। নবীজি (সা.) কাজ সেরে ফিরে আসার পর আবু হুরাইরা জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর রাসুল, হাড় ও গোবরে সমস্যা কী? তিনি উত্তরে বললেন, সেগুলো জিনদের খাবার। নাসিবিন শহরে (সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যে আলজাযিরার একটি নগরী) জিনদের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা সবাই খুব ভালো জিন। আমার কাছে খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। আমি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করি। তাই তারা যে হাড় বা গোবরের পাশ দিয়ে যাবে, তাতেই নিজেদের জন্য খাবার খুঁজে পাবে। (বুখারি, হাদিস: ৩,৫৭৮)

আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫

তাই কেউ যদি বিসমিল্লাহ বলে খাবার খায় এবং হাড় থেকে মাংস খাওয়ার পর নাপাক স্থানে না ফেলে, মুমিন জিনেরা সেই হাড় হাতে নিলে তাতে গোশত ফিরে আসবে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩,২৫৮)

আর দুষ্ট জিন ও শয়তানরা খায় এমন খাবার, যাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয় না। যেসব খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয়, সেগুলো তারা ছুঁয়েও দেখে না।

গোবরে জিনদের পশুদের জন্য খাবার জমা হয়। তার মানে জিনদের পোষা প্রাণী আছে এবং তারা তাতে আরোহণ করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘গোবর বা হাড় নাপাকি পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করো না। কারণ এগুলো তোমাদের ভাই জিনদের খাবার।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৮)

আরও পড়ুনকোরআন শুনে একদল জিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন০৬ আগস্ট ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ