চুয়াডাঙ্গার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামে ডিম কিনতে গিয়ে ১০ বছর বয়সী এক কন্যা শিশু শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের লোকজন অভিযুক্ত ডিম বিক্রেতা জিল্লুর রহমান জিল্লুকে (৩১) আটক করে পুলিশে দিয়েছে। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার জিল্লুর রহমান জিল্লু পাবনার ঈশ্বরদী থানার চরকুড়ুলিয়া গ্রামের মল্লিক পাড়ার খালেক মল্লিকের ছেলে। 

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতেই ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ডিম বিক্রেতার বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। 

থানা পুলিশ ও বাদীর এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় দিকে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার চরকুড়ুলিয়া গ্রামের মল্লিক পাড়ার আব্দুল খালেক মল্লিকের ছেলে জিল্লুর রহমান জিল্লু ফেরি করে দামুড়হুদার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামে ডিম বিক্রি করতে যান। এসময় একই গ্রামের চান্দু মিয়ার ১০ বছর বয়সী কন্যা শিশু ডিম কিনতে গেলে ডিম বিক্রেতা জিল্লু শিশুটিকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে। শিশুটি ভয়ে পালিয়ে এসে ঘটনাটি পরিবারের সদস্যদের জানায়।

শিশুটির পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা ডিম বিক্রেতাকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এদিন রাতেই শিশুটির পিতা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ডিম বিক্রেতার বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফেরিওয়ালা ডিম বিক্রেতা পুরাতন বাস্তপুর গ্রামে ডিম বিক্রি করতে গেলে শিশুটি অভিযুক্ত ডিম বিক্রেতার নিকট ডিম কিনতে যায়। এসময় ডিম বিক্রেতা শিশুটিকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। শিশুটি পালিয়ে বাড়িতে গিয়ে ঘটনার বিষয়ে বাবা-মাকে অবগত করেন। এরপর শিশুটির পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা ডিম বিক্রেতা জিল্লুর রহমান জিল্লুকে আটক করে পুলিশে খবর দেন।

তিনি বলেন, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত ডিম বিক্রেতাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। পরে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ল ল র রহম ন জ ল ল পর ব র র

এছাড়াও পড়ুন:

বাবাকে হাত-পা বেঁধে মাথায় গরম পানি ঢালার অভিযোগ সন্তানদের বিরুদ্ধে

লাকসামে বাবার সম্পত্তি সন্তানদের নামে লিখে না দেওয়ার জন্য বাবাকে হাত-পা বেঁধে গরম পানি মাথায় ঢেলে দিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে সন্তানদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে লাকসাম পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের গোপালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার এ ঘটনার ১ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায়, গোপালপুর গ্রামের বাড়ির উঠানে বৃদ্ধ বাবার হাত ধরে করছে টানাহেঁচড়া করছেন তার সন্তানরা। এসময় তারা বাবার গায়ের গেঞ্জিটাও টানতে টানতে ছিঁড়ে ফেলেন। বাবাকে টেনেহিঁচড়ে জবরদস্তি করে তাকে হাত পা বাঁধা হয়, এরপর গরম পানি বাবার মাথা ও মুখে ঢালেন তারই সন্তানেরা। এসময় ওই বৃদ্ধ বাবার আত্নচিৎকার করে বলেন ‌‘ও আল্লাহ রে, ও আল্লাহ, ও মা গো মা, ও ভাইরে ভাই, ও জসিমের মারে..., জসিমের মা আমারে বাঁচান, কে কোথায় আছেন- আমাকে বাঁচান, আমাকে মাইরা ফেলছে তারা...’। ওই নির্যাতন দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা বৃদ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার ওই বাবার নাম আবদুল জলিল (৬০)। আর নির্যাতনকারীরা তার ছেলে, মেয়ে ও তার স্ত্রী। তারা হলেন- ছেলে শান্ত (২৮), নোমান (২০), রকি (১৬), মেয়ে নাজমিন (২৬), নুপুর (১৩) ও জলিলের স্ত্রী রিনা আক্তার (৪৫)।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী আবদুল জলিল বাদী হয়ে সন্তান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, গোপালপুর গ্রামের মৃত হাজী ওয়ালীউল্লার ছেলে আবদুল জলিলের নামে বসতবাড়ি ও মাঠে ১২০ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে। জলিলের স্ত্রীসহ তিন ছেলে ২ মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে শান্ত প্রবাসে থাকেন, সে প্রবাস থেকে ওই সম্পত্তি তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় আবদুল জলিলকে হুমকি দেয় এবং বাড়িতে থাকা জলিলের অন্য সন্তানরা তাকে মারধর করেন। এছাড়া বাবাকে ভরণপোষণও দিচ্ছিলেন না তারা। এ নিয়েই সন্তান ও স্ত্রী সঙ্গে জলিলের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় অনেক বার সামজিকভাবে শালিসও হয়েছে।

প্রতিবেশিরা বলছেন, বৃহস্পতিবার জলিলের সঙ্গে তার স্ত্রী-সন্তানদের কথা-কাটাকাটি হয়। এসময় জলিল ঘরের দরজা জানালা ভাঙচুরের চেষ্টা চালাতে গেলে তার ছেলে মেয়েরা বাবার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে এ কাণ্ড চালায়। 

নির্যাতনের শিকার আবদুল জলিল জানান, অনেক দিন ধরে আমার সন্তানরা সম্পত্তি নেওয়ার জন্য আমাকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিচ্ছে। আমার স্ত্রী রিনা আক্তার এর প্রতিবাদও করে না। আমাকে তারা ভরণপোষণও দেয় না। ছোটখাটো ঘটনা নিয়ে ঝামেলা করে। ওই দিন আমার সন্তানরা বাড়ির উঠানের মধ্যে আমাকে হাত-পা বেঁধে অনেক মেরেছে। হাত-পায়ে শরীরে এখনও দাগ আছে।

লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা শুক্রবার রাতে সমকালকে বলেন, নির্যাতনের ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। পারিবারিক কলহ থেকে এ ঘটনা। এ ঘটনায় নির্যাতিত আবদুল জলিল থানায় স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তবে পারিবারিক শান্তি বজায় রাখতে অভিযোগটি আবার প্রত্যাহার করেছেন।

ওসি বলেন, এলাকায় বিষয়টি সামাজিকভাবে বিরোধ নিরসন ছাড়াও পরিবার নিয়ে থানায় এসেছেন। স্ত্রী ও সন্তানরাও বিষয়টি নিয়ে অনুতপ্ত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিদ্ধিরগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কিশোরগ্যাংয়ের হামলা, আহত ৪
  • শরীয়তপুরে আবারো ককটেল বিস্ফোরণ, সংঘর্ষ
  • বাজি ফাটানো নিয়ে দ্বিতীয় দিনের সংঘর্ষে এএসপিসহ অর্ধশত আহত
  • দেলপাড়া গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ
  • ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের দাবিতে গাজীপুরে গার্মেন্টস-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা
  • শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের ঐতিহ্যবাহী ফাগুয়া উৎসব
  • গাজীপুরে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের ভাঙচুর
  • ৪ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে
  • ফতুল্লার সমাবেশে মিছিল নিয়ে কাউসারের যোগদান
  • বাবাকে হাত-পা বেঁধে মাথায় গরম পানি ঢালার অভিযোগ সন্তানদের বিরুদ্ধে