মহাসচিবের ইফতারে অংশ নিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে নিহত ১, আহত ২
Published: 14th, March 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের উপস্থিতিতে লাখো রোহিঙ্গার সাথে আয়োজিত ইফতারের স্থানে প্রবেশ করতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে এক রোহিঙ্গা বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই জন।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হ্যালিপ্যাড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নেয়ামত উল্লাহ (৫০), ৪ নম্বর ক্যাম্পের মৃত সবি মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন- আসমত উল্লাহ (১৬) এবং কলিম উল্লাহ (৬২)।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আরিফ হোছাইন বলেন, “ইফতার পার্টিতে যোগ দেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে পাহাড়ের ঢাল থেকে পড়ে তারা পদপিষ্ট হন। উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক নেয়ামত উল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত আসমত উল্লাহকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/তারেকুর/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নিজের মেয়েকে (১৫) ধর্ষণের দায়ে বাবাকে (৪৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ড পাওয়া বাবা রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। রায়ের পর পুলিশি পাহারায় প্রিজন ভ্যানে আদালত থেকে তাঁকে জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি এম এম শাহজাহান প্রথম আলোকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কিশোরী ধর্ষণ মামলায় তার বাবাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। সমাজে এ ধরনের ঘৃণিত অপরাধ আর যেন না হয়, এটা তাঁর আশা।
২০২৪ সালের ৭ মার্চ ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অবিযোগে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার পর ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে ওই কিশোরীর বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েক দিন পর স্বামীর বাড়িতে তার পেটে ব্যথা ও বমি বমি অনুভূত হয়। এরপর তাঁর স্বামী ওষুধ এনে খাওয়ালেও কোনো উপকার হয়নি। পরে পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারেন যে তিনি ২-৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী তার মাকে জানায় যে ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর বাড়িতে গেলে বাবা তাঁকে ধর্ষণ করেন।