মা-বাবার কবর জিয়ারত শেষে বাড়ি ফেরার সময় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র জাহাঙ্গীর হোসেন গ্রেপ্তার হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে তাঁকে উপজেলার কৃষ্ণপুরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর ও নাশকতার অভিযোগে মামলা রয়েছে। 

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত জাহাঙ্গীর হোসেন কৃষ্ণপুরা এলাকার মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে। তিনি আড়াইহাজার পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। পাশাপাশি প্যানেল মেয়রের দায়িত্বও পালন করেছেন। 

এলাকাবাসী জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্যান্য কাউন্সিলরসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন বিএনপির একাংশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে নিজ ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে স্থানীয় সামাজিক কবরস্থানে মা-বাবার কবর জিয়ারতে যান জাহাঙ্গীর হোসেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে কৃষ্ণপুরা এলাকা থেকে পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপনে খবর পেয়ে জাহাঙ্গীর হোসেনকে নিজ এলাকা থেকে আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর ও নাশকতার মামলা রয়েছে। এতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সফটওয়্যার প্রকৌশলী এআই এজেন্ট আনতে যাচ্ছে ওপেনএআই

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত সফটওয়্যার প্রকৌশলী এজেন্ট আনতে যাচ্ছে চ্যাটজিপিটির নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, এআই এজেন্টটি মানুষের সহায়তা ছাড়াই কোড লিখে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার তৈরি করতে পারবে। শুধু তাই নয়, নিজ থেকে সফটওয়্যারে থাকা ত্রুটি শনাক্ত করে সমাধানও করবে।

ওপেনএআইয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) সারাহ ফ্রাইয়ার জানিয়েছেন, নতুন এআই এজেন্টের নাম ‘এ-এসডব্লিউই’ বা ‘এজেন্টিক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার’। এটি ওপেনএআইয়ের তৈরি তৃতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এজেন্ট। এর আগে ‘অপারেটর’ ও ‘ডিপ রিসার্চ’ নামে দুটি এআই এজেন্ট চালু করেছে ওপেনএআই। এগুলো এখন শুধু চ্যাটজিপিটির প্রিমিয়াম গ্রাহকেরা ব্যবহার করতে পারেন।

নিজেদের তৈরি সফটওয়্যার প্রকৌশলী এআই এজেন্টের বিষয়ে সারাহ ফ্রাইয়ার জানান, এ-এসডব্লিউই একজন সফটওয়্যার প্রকৌশলীর মতোই কাজ করবে। কাজ বুঝিয়ে দিলে নিজ থেকে কোড লেখার পাশাপাশি সফটওয়্যারের মাননিয়ন্ত্রণ, ত্রুটি শনাক্তসহ প্রকল্প-সম্পর্কিত নথিপত্র তৈরি করে দেবে এআই এজেন্টটি।

ওপেনএআইয়ের তৈরি এআই এজেন্ট প্রকৃতপক্ষে একটি ‘ফোর্স মাল্টিপ্লায়ার’ বা কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিকারী উপাদান হিসেবে কাজ করবে। এটি সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের দলকে অনেক বেশি উৎপাদনশীল করে তুলতে পারে। তবে চলতি বছরের শুরুতে ওপেনএআইয়ের চালু করা ‘ডিপ রিসার্চ’ এজেন্টকে গবেষণা সহকারীর বিকল্প হিসেবে পরিচয় করানো হলেও এখনো তা পুরোপুরি সেই ভূমিকা পালন করতে পারছে না।

সূত্র: লাইভমিন্ট

সম্পর্কিত নিবন্ধ