২০২১ সালের মে-জুনের দিকে শরীয়তপুরে আটক হন ভারতের নাগরিক বিজলি রায়। অনুপ্রবেশের দায়ে জাজিরা থানায় মামলা হয়। বিচারে দেওয়া হয় ছয় মাসের জেল। সাজা খাটতে তাঁকে পাঠানো হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারে। সাজা শেষে তাঁকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছিল বিজিবি; কিন্তু বৈধ অভিভাবকের খোঁজ না পাওয়ায় সে উদ্যোগ ভেস্তে যায়।

নানা ঘটনার পর যখন মানসিক ভারসাম্যহীন বিজলি রায়ের (৪০) বাড়ি ফেরার সব ব্যবস্থা সম্পন্ন হলো, ততক্ষণে তিনি আর বেঁচে নেই। দুই মাস রাজশাহী মেডিকেল কলেজের হিমঘরে থাকার পর অবশেষে তাঁর প্রাণহীন দেহ দেশে পাঠানো হলো। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাঁর মরদেহ হস্তান্তর করা হয় বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন রাজশাহীর সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায়।

বিজলিদের বাড়ি ভারতের বিহার রাজ্যের মোজাফফরপুর জেলার মিনাপুর থানার চক জামাল গ্রামে। তাঁর এই ঠিকানা খুঁজে বের করে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা করেছিলেন বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলের জ্যেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক শামসুল হুদা। তাঁর প্রচেষ্টাতেই মৃত্যুর পর হলেও বাড়ি ফিরছেন বিজলি রায়।

বিজলি রায়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন বছরকে বরণ করে নিল পিরোজপুর বিশ্ববিদ্যালয়

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে (১৪৩২ বঙ্গাব্দ) বরণ করে নিয়েছে পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিবিপ্রবি)। 

বর্ষবরণ উপলক্ষে সোমরাব (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টায় আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন। 

ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, “এ দিনটি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি ভালোবাসার দিন। আজ একটি নতুন দিনের, নতুন বছরের আগমন। এদিন আমরা নতুন করে স্বপ্ন দেখি, নতুন করে পথচলার প্রতিজ্ঞা করি। পুরনো দিনের সকল গ্লানি, মলিনতা ধুয়ে যাক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

তিনি বলেন, “নতুন বছর বয়ে আনুক সবার জন্য অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। আসুন আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে একটি উন্নত, সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করি- নতুন বছরে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।”

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণ থেকে উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের সিও অফিস মোড় প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। তারা নাচ, গান, আবৃত্তি, একক অভিনয়সহ বিভিন্ন পরিবেশনায় দিনভর সবাইকে মাতিয়ে রাখেন।

ঢাকা/তাওহিদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ