চলে গেলেন ‘চা বিক্রির টাকায়’ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা আব্দুল খালেক
Published: 14th, March 2025 GMT
চা বিক্রির টাকায় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার সেই আব্দুল খালেক (৯৮) মারা গেছেন। শুক্রবার বেলা ১টা ১৫ মিনিটে তার নিজ বাড়ি বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নলুয়া চাঁদপুর (ডেবপুর) গ্রামে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান তিনি।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার প্রতিষ্ঠিত নলুয়া চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো.
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল খালেক বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নলুয়া চাঁদপুর গ্রামের মাক্কু মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। শুক্রবার অবস্থার অবনতি হয়ে মারা যান।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারি চা বিক্রির টাকায় কেনা ৫২ শতক জমি দান করে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন আব্দুল খালেক। নলুয়া চাঁদপুর উচ্চবিদ্যালয় নামের ওই স্কুলটি ২০১৯ সালে এমপিওভুক্ত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টির জায়গার পরিমাণ ৯৩ দশমিক ৫০ শতক। বিয়ের কয়েক বছর পর তার স্ত্রী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। আব্দুল খালেকের কোনো সন্তান ছিল না।
জীবিত থাকতে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ও নানান বক্তব্যে আব্দুল খালেক বলতেন, এই এলাকায় স্কুল ছিল না। অন্ধকার ছিল। আলো ছড়ানোর জন্যই স্কুল দিয়েছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মরহুম আবদুল খালেক সমাজের জন্য অনুকরণীয়। তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক ছিলেন না। চা দোকানের মালিক থেকে বিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করা সত্যি আমাদের বিমোহিত করেছে। আবদুল খালেকের করা এ স্কুল প্রত্যন্ত এলাকায় আলো ছড়াচ্ছে। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এই ৭ বদভ্যাস ধীরে ধীরে আপনাকে অলস বানাচ্ছে
ইশপের সেই গল্প তো আমাদের প্রায় সবারই জানা। খরগোশ আর কচ্ছপ একদিন দৌড় প্রতিযোগিতায় নামল। খরগোশ এক নিমেষেই অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখল কচ্ছপ অনেক পেছনে। তখন খরগোশ ভাবল, একটু বিশ্রাম নিই। এই বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল খরগোশ। ওদিকে ধীরে ধীরে কচ্ছপ পৌঁছে গেল শেষ দাগে। দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেকেই খরগোশের মতো আয়েশ করতে গিয়ে অনেক কিছু থেকে পিছিয়ে পড়ি। অলসতা এক দিনে তৈরি হয় না, বরং দিন দিন কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাসের মাধ্যমে অলসতা আমাদের পেয়ে বসে। একসময় জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়ায়। যা আমাদের শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় করার পাশাপাশি মানসিক শক্তিও কমিয়ে দেয়। চলুন দেখে নিই বিষয়গুলো।
ঘুম থেকে দেরিতে ওঠাঘুম থেকে দেরি করে উঠলে অলসতার সঙ্গেই আসলে দিনের শুরুটা হয়। এতে দেহঘড়িরও ছন্দপতন হয়। এ ছাড়া দেরিতে ঘুম থেকে উঠলে কাজ করার সময় কমে যায়, দিনভর বিষণ্ন লাগে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একবার স্ক্রল করতে শুরু করলে অবচেতনেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়