রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের একটি বাসা থেকে আজ শুক্রবার ভোরে ফরিদা বেগম (৫০) নামে এক গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বেসরকারি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আকরাম উদ্দিনের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।  

এ ঘটনায় গুলশান থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে আজ দুপুরে গুলশান থানার কর্তব্যরত উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আজ ভোরে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ গুলশান-২ নম্বরের ৪৭ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাট থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। তাঁর নাম ফরিদা বেগম। পেশায় গৃহকর্মী।

পুলিশের ধারণা, ফরিদা বেগম গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে একটা থেকে রাত পৌনে চারটার মধ্যে তার শোবার ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়েছিলেন।

যে পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেন, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাই মরদেহটি দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে, নাকি দরজা খোলা ছিল, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উদ্ধারের পর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।  

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘ফরিদা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে গুলশান থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ হকর ম

এছাড়াও পড়ুন:

এই ৭ বদভ্যাস ধীরে ধীরে আপনাকে অলস বানাচ্ছে

ইশপের সেই গল্প তো আমাদের প্রায় সবারই জানা। খরগোশ আর কচ্ছপ একদিন দৌড় প্রতিযোগিতায় নামল। খরগোশ এক নিমেষেই অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখল কচ্ছপ অনেক পেছনে। তখন খরগোশ ভাবল, একটু বিশ্রাম নিই। এই বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল খরগোশ। ওদিকে ধীরে ধীরে কচ্ছপ পৌঁছে গেল শেষ দাগে। দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেকেই খরগোশের মতো আয়েশ করতে গিয়ে অনেক কিছু থেকে পিছিয়ে পড়ি। অলসতা এক দিনে তৈরি হয় না, বরং দিন দিন কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাসের মাধ্যমে অলসতা আমাদের পেয়ে বসে। একসময় জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়ায়। যা আমাদের শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় করার পাশাপাশি মানসিক শক্তিও কমিয়ে দেয়। চলুন দেখে নিই বিষয়গুলো।

ঘুম থেকে দেরিতে ওঠা

ঘুম থেকে দেরি করে উঠলে অলসতার সঙ্গেই আসলে দিনের শুরুটা হয়। এতে দেহঘড়িরও ছন্দপতন হয়। এ ছাড়া দেরিতে ঘুম থেকে উঠলে কাজ করার সময় কমে যায়, দিনভর বিষণ্ন লাগে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একবার স্ক্রল করতে শুরু করলে অবচেতনেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ