খাটে ঘুমাচ্ছিল দুই বছরের মেয়ে, পাশেই পড়ে ছিল মায়ের লাশ
Published: 14th, March 2025 GMT
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে সুমাইয়া আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পূর্ব জামালপাড়া এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার পর স্বামী রমজান আলী পলাতক।
গৃহবধূর স্বজন মোহাম্মদ ছৈয়দ কবির বলেন, সকাল সাতটার দিকে সুমাইয়ার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম বোনের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে খাটের ওপর লাশটি দেখতে পায়। এ সময় সুমাইয়ার দুই বছরের মেয়ে পাশে ঘুমাচ্ছিল। সাত বছরের সাইফুল পাশের একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। সে মাদ্রাসা থেকে প্রতিদিন সকালে বোনের বাড়িতে আসত।
খবর পেয়ে সুমাইয়ার আত্মীয়স্বজনেরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি দাবি করেন, আজ ভোররাতে স্বামী সুমাইয়াকে নির্যাতনের পর হত্যা করে পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে দুপুরে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কাইছার হামিদের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। পরে সুরতহাল শেষে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জানতে চাইলে ওসি মোহাম্মদ কাইছার হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এতে স্বামী নির্যাতনের পর ওই গৃহবধূকে গলা টিপে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপরও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য উদঘাটন করা সহজ হবে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক। তাঁকে ধরার জন্য পুলিশ নানাভাবে চেষ্টা করছে।
গৃহবধূর পারিবারিক সূত্র জানায়, তিন বছর আগে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পানিরছড়া এলাকার বাসিন্দা হারুন রশিদের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে একই ইউনিয়নের পূর্ব জামালপাড়ার বাসিন্দা আজিজুল হকের ছেলে লবণচাষি রমজান আলীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী সুমাইয়ার ওপর নির্যাতন করে আসছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ হবধ
এছাড়াও পড়ুন:
এই ৭ বদভ্যাস ধীরে ধীরে আপনাকে অলস বানাচ্ছে
ইশপের সেই গল্প তো আমাদের প্রায় সবারই জানা। খরগোশ আর কচ্ছপ একদিন দৌড় প্রতিযোগিতায় নামল। খরগোশ এক নিমেষেই অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখল কচ্ছপ অনেক পেছনে। তখন খরগোশ ভাবল, একটু বিশ্রাম নিই। এই বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল খরগোশ। ওদিকে ধীরে ধীরে কচ্ছপ পৌঁছে গেল শেষ দাগে। দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেকেই খরগোশের মতো আয়েশ করতে গিয়ে অনেক কিছু থেকে পিছিয়ে পড়ি। অলসতা এক দিনে তৈরি হয় না, বরং দিন দিন কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাসের মাধ্যমে অলসতা আমাদের পেয়ে বসে। একসময় জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়ায়। যা আমাদের শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় করার পাশাপাশি মানসিক শক্তিও কমিয়ে দেয়। চলুন দেখে নিই বিষয়গুলো।
ঘুম থেকে দেরিতে ওঠাঘুম থেকে দেরি করে উঠলে অলসতার সঙ্গেই আসলে দিনের শুরুটা হয়। এতে দেহঘড়িরও ছন্দপতন হয়। এ ছাড়া দেরিতে ঘুম থেকে উঠলে কাজ করার সময় কমে যায়, দিনভর বিষণ্ন লাগে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একবার স্ক্রল করতে শুরু করলে অবচেতনেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়