ক্রিকেট মাঠে যশপ্রীত বুমরার সবচেয়ে বড় শত্রু চোট। ব্যাটসম্যানরা তাঁর ডেলিভারিতে মুখ থুবড়ে পড়েন, তবে তিনি নিজে মার খান চোটের কাছে। এই চোটের কারণেই সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে পারেননি। এবার আইপিএলেও শুরুর দিকে থাকছেন না মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের পেসার।

ক্রিকেট–বিষয়ক খবরের ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, বুমরা মুম্বাইয়ে যোগ দেবেন এপ্রিলের শুরুর দিকে। মুম্বাই এবারের আইপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলবে ২৩ মার্চ।

তারপর মার্চে আরও দুটি ম্যাচ খেলবে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। অর্থাৎ এপ্রিলের শুরুর দিকে দলে যোগ দেওয়ার আগে বুমরাকে অন্তত তিন ম্যাচে পাবে না মুম্বাই। তবে সংখ্যাটা আরও বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি।

বুমরাকে সর্বশেষ মাঠে দেখা গেছে গত জানুয়ারির সিডনি টেস্টে। সেই টেস্টের দ্বিতীয় দিনে স্ক্যানের জন্য মাঠ ছাড়ার পর থেকে তিনি আর কোনো ম্যাচ খেলেননি। প্রথমে এটি ‘ব্যাক স্প্যাজম’ বলে জানানো হলেও পরে নিশ্চিত হওয়া যায় যে এটি স্ট্রেস-জনিত চোট। শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল, পাঁচ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকবেন বুমরা। জানুয়ারিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করার সময় ভারতের প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার এমনটাই বলেছিলেন।

বুমরাকে সর্বশেষ মাঠে দেখা গেছে গত জানুয়ারির সিডনি টেস্টে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠক আজ

দেড় দশক পর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। এতে অবিভক্ত পাকিস্তানের সম্পদ থেকে ন্যায্য হিস্যা হিসেবে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করবে বাংলাদেশ।

তহবিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন খাতের হিস্যা হিসেবে এই অর্থ বাংলাদেশ পাবে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বাংলাদেশ এবং আমনা বালুচ পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দু’দেশের সম্পর্কের নানা বিষয়সহ ঐতিহাসিক অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে। 

সর্বশেষ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল ২০১০ সালে।

বৈঠক উপলক্ষে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ গতকাল বুধবার ঢাকায় আসেন। আজ সকালে তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন। মধ্যাহ্নভোজের পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং এর পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। গতকাল আমনা বালুচ ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত দেশটির ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে ১৯৭১ পূর্ববর্তী সময়ের হিস্যা অনুসারে  ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার পাবে। এর একটি বড় অংশ ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পাঠানো হয়েছিল। জানা গেছে, ২০ কোটি ডলারের বৈদেশিক সহায়তা এসেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঢাকা শাখা থেকে এই অর্থ লাহোর শাখায় সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া পাকিস্তান ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসা সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সঞ্চয়পত্রের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। 

পরিকল্পনা কমিশনের মতে, সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা ৯০ লাখ টাকা আটকে রেখেছিল পাকিস্তান সরকার। যুদ্ধকালে রূপালী ব্যাংকের করাচি শাখায় রাখা ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকাও ফেরত আসেনি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থের অর্ধেক ৪৩৫ কোটি রুপির দাবিদার বাংলাদেশ। পাকিস্তানের ব্যাংকিং বিভাগ থেকেই বাংলাদেশ পাবে প্রায় ৬০ কোটি রুপি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ