পানামা খাল দখলে সামরিক বিকল্প বিবেচনার নির্দেশ ট্রাম্প প্রশাসনের
Published: 14th, March 2025 GMT
পানামা খালে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সামরিক বিকল্পগুলি বিবেচনা করার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলেছেন যে তিনি পানামা খাল ‘পুনরায় দখল’ করতে চান। কারণ এই খালটি উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে সবচেয়ে সংকীর্ণ অংশে অবস্থিত এবং বিশ্বের সবচেয়ে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ জলপথগুলোর মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে তিনি কীভাবে এটি করবেন বা সামরিক পদক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নতুন প্রশাসনের অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় নিরাপত্তা নির্দেশিকা হিসেবে বর্ণনা করা একটি নথিতে পানামা খালে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সামরিক বিকল্পগুলো বিবেচনা করার জন্য সেনাবাহিনীকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরেকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মার্কিন সামরিক বাহিনীর কাছে প্রবেশাধিকার রক্ষার জন্য বিস্তৃত সম্ভাব্য বিকল্প রয়েছে, যার মধ্যে পানামার সামরিক বাহিনীর সাথে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করাও অন্তর্ভুক্ত।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে পেন্টাগন তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।
বৃহস্পতিবার এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউস পেন্টাগনকে পানামা খালের জন্য বিকল্প তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে।
ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই খালটি ফিরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ চীন এটি নিয়ন্ত্রণ করছে এবং বেইজিং আমেরিকান স্বার্থ ক্ষুণ্ন করার জন্য জলপথ ব্যবহার করতে পারে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এই ৭ বদভ্যাস ধীরে ধীরে আপনাকে অলস বানাচ্ছে
ইশপের সেই গল্প তো আমাদের প্রায় সবারই জানা। খরগোশ আর কচ্ছপ একদিন দৌড় প্রতিযোগিতায় নামল। খরগোশ এক নিমেষেই অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখল কচ্ছপ অনেক পেছনে। তখন খরগোশ ভাবল, একটু বিশ্রাম নিই। এই বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল খরগোশ। ওদিকে ধীরে ধীরে কচ্ছপ পৌঁছে গেল শেষ দাগে। দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেকেই খরগোশের মতো আয়েশ করতে গিয়ে অনেক কিছু থেকে পিছিয়ে পড়ি। অলসতা এক দিনে তৈরি হয় না, বরং দিন দিন কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাসের মাধ্যমে অলসতা আমাদের পেয়ে বসে। একসময় জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়ায়। যা আমাদের শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় করার পাশাপাশি মানসিক শক্তিও কমিয়ে দেয়। চলুন দেখে নিই বিষয়গুলো।
ঘুম থেকে দেরিতে ওঠাঘুম থেকে দেরি করে উঠলে অলসতার সঙ্গেই আসলে দিনের শুরুটা হয়। এতে দেহঘড়িরও ছন্দপতন হয়। এ ছাড়া দেরিতে ঘুম থেকে উঠলে কাজ করার সময় কমে যায়, দিনভর বিষণ্ন লাগে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একবার স্ক্রল করতে শুরু করলে অবচেতনেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়