নারী বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের ম্যাচ কবে, কোথায়
Published: 14th, March 2025 GMT
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টের জন্য বাংলাদেশকে খেলতে হবে বাছাইপর্ব। গত বছর শেষ দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে হারের পর ওয়ানডে সুপার লিগে সেরা সাতে থাকার সুযোগ হারানোয় বাছাইপর্ব খেলতে হবে নিগার সুলতানাদের।
আরও পড়ুনদুই বছরের কন্যাকে হারালেন হজরতউল্লাহ জাজাই২ ঘণ্টা আগেছয় দল ও ১৫ ম্যাচের এই বাছাইপর্ব ৯ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল হবে পাকিস্তানের লাহোরে। আজ এই টুর্নামেন্টের সূচি ঘোষণা করেছে আইসিসি। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতির এই টুর্নামেন্টে সেরা দুই দল জায়গা করে নেবে নারী বিশ্বকাপে।
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের মেয়েরা মুখোমুখি হবে আয়ারল্যান্ডে। একই দিনে লাহোর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লড়বে স্কটল্যান্ড। এই দুই ভেন্যুতেই হবে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোও।
১০ এপ্রিল নারী বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ নারী দল। ১৩ এপ্রিল আয়াল্যান্ড, ১৫ এপ্রিল স্কটল্যান্ড, ১৭ এপ্রিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ১৯ এপ্রিল স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
স্বাগতিক ভারতের সঙ্গে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে। বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড ও পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাছাইপর্বে খেলছে উইমেনস চ্যাম্পিয়নশিপে ৭-১০ নম্বরে শেষ করায়। থাইল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড এই টুর্নামেন্টে জায়গা পেয়েছে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকায়।
দিনের ম্যাচগুলো সকাল ১০টায় ও দিবারাত্রির ম্যাচগুলো শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটায়।
নারী বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সূচি:
৯ এপ্রিল, বুধবার
পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ড, গাদ্দাফি স্টেডিয়াম
ওয়েস্ট ইন্ডিজ-স্কটল্যান্ড, লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠ
১০ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার
থাইল্যান্ড-বাংলাদেশ, লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ড
১১ এপ্রিল, শুক্রবার
পাকিস্তান-স্কটল্যান্ড, লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ড
আয়ারল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, গাদ্দাফি স্টেডিয়াম
১৩ এপ্রিল, রোববার
স্কটল্যান্ড-থাইল্যান্ড, লাহোর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ড
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড, গাদ্দাফি স্টেডিয়াম (দিবারাত্রি)
১৪ এপ্রিল, সোমবার
পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, গাদ্দাফি স্টেডিয়াম (দিবারাত্রি))
১৫ এপ্রিল, মঙ্গলবার
আয়ারল্যান্ড-থাইল্যান্ড, লাহোর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ড
স্কটল্যান্ড-বাংলাদেশ, গাদ্দাফি স্টেডিয়াম (দিবারাত্রি)
১৭ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, লাহোর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ড
পাকিস্তান-থাইল্যান্ড, গাদ্দাফি স্টেডিয়াম (দিবারাত্রি)
১৮ এপ্রিল, শুক্রবার
আয়ারল্যান্ড-স্কটল্যান্ড, গাদ্দাফি স্টেডিয়াম (দিবারাত্রি)
১৯ এপ্রিল, শনিবার
পাকিস্তান-বাংলাদেশ, লাহোর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ড
ওয়েস্ট ইন্ডিজ-থাইল্যান্ড, গাদ্দাফি স্টেডিয়াম
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এই ট র ন ম ন ট য় স ট ইন ড জ স কটল য ন ড ব ছ ইপর ব
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক বা রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ আরোপ নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিকের সঙ্গে বৈঠকের পর লুৎফে সিদ্দিকী মঙ্গলবার রাতে তার ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান।
মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক চার দিনের সফরে মঙ্গলবার ভোরে ঢাকায় আসেন। তাঁর সহকর্মী যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হেরাপের বুধবার ভোরে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। বাংলাদেশে অ্যান্ড্রু হেরাপের সফরসঙ্গী হিসেবে মিয়ানমারে ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসনের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম প্রতিনিধিদলের এ সফরে বাংলাদেশে সংস্কার ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপ, রোহিঙ্গা সংকটে সহায়তা ও মিয়ানমার পরিস্থিতিসহ ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের নানা বিষয়ে আলোচনা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা লুৎফে সিদ্দিকী তার ফেসবুকে আরো লিখেছেন, আজ আমার দপ্তরে উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক এবং তাঁর প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানাই। তিনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের বাণিজ্য এজেন্ডায় দ্রুত ও গঠনমূলক সাড়া দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আগামী সপ্তাহে (ওয়াশিংটন) ডিসিতে অবস্থিত ইউএসটিআর, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমার আরও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সূচি ঠিক করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ এপ্রিল বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশ ও অঞ্চলের পণ্যের ওপর রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ আরোপ করেছিলেন। অনেক দেশের ওপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। পাশাপাশি ন্যূনতম শুল্ক ছিল ১০ শতাংশ। বাংলাদেশের ওপর আরোপ করা হয়েছিল ৩৭ শতাংশ।
তবে এই শুল্ক কার্যকর হওয়ার দিন ৯ এপ্রিল ট্রাম্প ন্যূনতম ১০ শতাংশ রেখে বাকি শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। এর আগে বিভিন্ন দেশ ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আলোচনা ও মার্কিন পণ্য আমদানি বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলে। ট্রাম্প যেসব দেশে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের রপ্তানি কম ও আমদানি বেশি, সেসব দেশের ওপর বেশি শুল্ক আরোপ করেছিলেন।
নতুন শুল্ক তিন মাস স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ৭ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্টকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) জেমিসন গ্রিয়ারের কাছে চিঠি পাঠান। চিঠি দুটি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস ওই দিনই হোয়াইট হাউস ও ইউএসটিআরের দপ্তরে পৌঁছে দেয়।
বাংলাদেশের চিঠি দুটি পাঠানোর দুই দিন পর (৯ এপ্রিল) ইউএসটিআরের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে মার্কিন পণ্য আমদানিতে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করা এবং বাণিজ্যঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ কী কী পদক্ষেপ নিতে চায়, তা জানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
ঢাকা/হাসান/ইভা