গণিতে যে কয়টা ধ্রুবক মান রয়েছে, তার মধ্যে বহুল ব্যবহৃত ও উল্লেখযোগ্য হলো পাই–এর মান। এই মান ৩.১৪১৫৯২৬৫৩৫৮৯৭৯...। আর এভাবেই চলতে থাকে রহস্যময় সংখ্যাটি। এর শেষ কোথায়, তা কেউ বলতে পারে না। অদ্ভুত সুন্দর ও অমীমাংসিত রহস্যময় পাই নিয়ে আজও গবেষণা চলছেই। আর তাই প্রতিবছর ১৪ মার্চ সারা বিশ্বের গণিত ও বিজ্ঞানে উত্সাহী ব্যক্তিরা বিশ্বব্যাপী পাই দিবস উদ্যাপন করে থাকেন।
পাই–এর মান ৩.
পাইয়ের প্রথম নির্ভুল গণনা করা হয় ২৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে। বিখ্যাত গণিতবিদ আর্কিমিডিস এই মান গণনা করেন। আর্কিমিডিস পিথাগোরাসের উপপাদ্য ব্যবহারে করে সংখ্যাটি ৩.১৪২৮৫৭ ও ৩.১৪০৮৪৫-এর মধ্যে বলেছিলেন। ১৭০৬ সালে গণিতবিদ উইলিয়াম জোনস বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাত বোঝানোর জন্য গ্রিক অক্ষরের পাইয়ের চিহ্ন (π) ব্যবহার করেন। সিনোপসিস পালমারিওরাম ম্যাথেসিওসে নামের থিসিসে এই চিহ্ন ব্যবহার করেন তিনি।
পাই একটি বৃত্তের পরিধি ও তার ব্যাসের অনুপাত উপস্থাপন করে থাকে। বিভিন্ন গাণিতিক ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পাইয়ের বহুমাত্রিক প্রয়োগ দেখা যায়। পাইয়ের মান পুনরাবৃত্তিহীন ও অসীম প্রকৃতির। আর তাই কয়েক শতাব্দী ধরে পাইয়ের চমক বিজ্ঞানীদের মুগ্ধ করেছে। ব্যাবিলন ও মিসরীয় সভ্যতায় পাইকে বিভিন্ন মাত্রার নির্ভুলতার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে। নির্ভুলতার সঙ্গে পাইয়ের মান অনুসন্ধানের ধারা এখনো চলছে।
সূত্র: গ্রিক রিপোর্টার ডটকম
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলা একাডেমিতে চলছে সাত দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ও বাংলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে বাংলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী ‘বৈশাখী মেলা-১৪৩২’।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম।
বৈশাখী মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “পাহাড় থেকে সমতল, সারা দেশে আজ নববর্ষের আমেজ। বাংলাদেশের মানুষ আজ এক হয়ে পালন করছে নববর্ষ। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা চলছে সারা দেশে। আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে ফ্যাসিবাদোত্তর বাংলাদেশে দাঁড়িয়েছি। আমরা এই উৎসব ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাই।”
উপদেষ্টা আরো বলেন, “বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, হস্তশিল্প, খাদ্যজাত পণ্যের বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। উদ্যোক্তারা এই মেলার মাধ্যমে এসকল পণ্য বিদেশে রপ্তানিযোগ্য করে তুলবে। উদ্যোক্তারা যেভাবে ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাতে আরেকটি শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাবে দেশ।”
বাংলা একাডেমি আয়োজিত এই মেলা উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “আমরা ৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি। আজকের র্যালিতে সব জাতিগোষ্ঠী একসাথে অংশগ্রহণ করেছে এবং একসাথে আনন্দ করছে। এটা একটা অন্তর্ভূক্তিমূলক ও রঙিন উৎসব। মেলা এমন একটা জায়গা যেখানে দুইপক্ষ খুশি থাকে। একজন ক্রয় করে এবং অন্যজন বিক্রি করে। মেলার সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে।”
বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, “বৈশাখী মেলার আয়োজন আমাদের জন্য একটা ভালো উদ্যোগ। বাংলা নববর্ষ আমরা উদ্যাপন করবো জাতীয় সংস্কৃতির অংশ হিসেবে। আমাদের উজ্জ্বল অতীত ছিল, সমৃদ্ধ আগামী গড়ার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন করতে হবে।”
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান।
ঢাকা/এএএম/টিপু