ঝিনাইদহের শৈলকূপায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার (১৪ মার্চ) শৈলকূপা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৩ মার্চ দেবতলা গ্রামের আহতাফ কাজীর ছেলে রিপন কাজী ওই স্কুলছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গলায় ছুরি ধরে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এতে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে সে ঘটনাটি তার পরিবারকে জানায়। 

এর আগেও রিপন কাজী ওই স্কুলছাত্রীকে একইভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে কয়েকবার ধর্ষণ করেছে। ঘটনা কাউকে না জানাতে গলায় ছুরি ধরে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

ভুক্তভোগীর অভিভাবকরা বলেন, “লোকলজ্জার ভয়ে ভিকটিমকে কুষ্টিয়ায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়েছে। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে আজ থানা-পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।”

এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার এসআই শাকিল আহমেদ বলেন, “অভিযুক্তকে আটকের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

শৈলকূপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অমিত কুমার বর্মন বলেন, “এটি একটি সেনসিটিভ অভিযোগ। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। এ ধরনের অভিযোগ পেলে পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।”

ঢাকা/শাহরিয়ার/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে শ্রমিকদের জিম্মি করে লুট

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একটি ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ২০-২২ দুর্বৃত্ত আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে ১৮ শ্রমিককে মারধর পরে জিম্মি করে ব্যাটারি তৈরির সিসা, প্লেট, কানেক্টরসহ অন্তত ৫৫ লাখ টাকার সামগ্রী লুট করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এসব সামগ্রী ট্রাকে করে নিয়ে গেছে তারা।

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তাড়াশ-বারুহাঁস সড়কের পশ্চিম দিকে হেদার খালে ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তদের মারধরে কারখানার শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক হোসেন, শামীম হোসেনসহ অনন্ত আটজন আহত হয়েছেন। তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় কারখানার মালিক মো. শয়নুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

শয়নুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি বড় ট্রাকে ২০ থেকে ২২ জন কারখানায় আসে। তারা টিনের বেড়া ভেঙে কারখানায় ঢুকে আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক, শামীমসহ ছয়জনকে জিম্মি করে। তারা বাধা দিলে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। বিশ্রামাগারে ঘুমিয়ে থাকা আরও ১০-১২ শ্রমিককে জিম্মি করে লুটপাট শুরু করে।

প্রায় চার ঘণ্টায় তারা কারখানা থেকে তিন টন ব্যাটারি তৈরির সিসা, ৩৪০ টাকা কেজি মূল্যের ১ হাজার ২০০ কেজি কানেক্টর, ২৫০ টাকা কেজির ১৬ টন প্লেট, ৬৩ হাজার টাকার ৯টি পুরোনো ব্যাটারিসহ প্রায় ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের মালপত্র লুট করে ট্রাকে করে চলে যায়। তারা চলে গেলে শ্রমিকরা একে অপরের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে পুলিশে খবর দেন।

তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে দুই দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির সত্যতা পাওয়া গেছে। ডাকাতি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ