সিরাজগঞ্জে শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত কিশোরের বিচারের দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ
Published: 14th, March 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন উপজেলার ছাত্র-জনতা। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের ধানগড়া পুরোনো চৌরাস্তা মোড়ে সমাবেশের ডাক দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সমাবেশে অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন অংশগ্রহণকারী ছাত্র–জনতা। এতে নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে অনেকেই ধর্ষণবিরোধী ও অভিযুক্তের শাস্তি দাবিসংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করেন। পরে মিছিলটি ধানগড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুনসিরাজগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা৫ ঘণ্টা আগেবক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি সাইমুজ্জামান শ্রাবণ, শেখ রিয়াদ, আশিক আহমেদ প্রমুখ। তাঁরা দ্রুত অভিযুক্ত ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।
ওই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে রায়গঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। এতে ১৪ বছরের এক কিশোরকে আসামি করা হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, মামলা হওয়ার পর আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে শ্রমিকদের জিম্মি করে লুট
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একটি ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ২০-২২ দুর্বৃত্ত আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে ১৮ শ্রমিককে মারধর পরে জিম্মি করে ব্যাটারি তৈরির সিসা, প্লেট, কানেক্টরসহ অন্তত ৫৫ লাখ টাকার সামগ্রী লুট করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এসব সামগ্রী ট্রাকে করে নিয়ে গেছে তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তাড়াশ-বারুহাঁস সড়কের পশ্চিম দিকে হেদার খালে ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তদের মারধরে কারখানার শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক হোসেন, শামীম হোসেনসহ অনন্ত আটজন আহত হয়েছেন। তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় কারখানার মালিক মো. শয়নুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শয়নুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি বড় ট্রাকে ২০ থেকে ২২ জন কারখানায় আসে। তারা টিনের বেড়া ভেঙে কারখানায় ঢুকে আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক, শামীমসহ ছয়জনকে জিম্মি করে। তারা বাধা দিলে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। বিশ্রামাগারে ঘুমিয়ে থাকা আরও ১০-১২ শ্রমিককে জিম্মি করে লুটপাট শুরু করে।
প্রায় চার ঘণ্টায় তারা কারখানা থেকে তিন টন ব্যাটারি তৈরির সিসা, ৩৪০ টাকা কেজি মূল্যের ১ হাজার ২০০ কেজি কানেক্টর, ২৫০ টাকা কেজির ১৬ টন প্লেট, ৬৩ হাজার টাকার ৯টি পুরোনো ব্যাটারিসহ প্রায় ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের মালপত্র লুট করে ট্রাকে করে চলে যায়। তারা চলে গেলে শ্রমিকরা একে অপরের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে পুলিশে খবর দেন।
তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে দুই দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির সত্যতা পাওয়া গেছে। ডাকাতি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান আছে।