শিবচরে নার্সকে ধর্ষণের মামলায় ক্লিনিকের মালিক গ্রেপ্তার
Published: 14th, March 2025 GMT
মাদারীপুরের শিবচরে এক নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ক্লিনিকের মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আপেল মাহমুদ (৪০)। তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাঁর বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পশ্চিম সেনেরচর এলাকায়। তাঁর বিরুদ্ধে আগেও শিশু ধর্ষণের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে। সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারি ওই নার্স তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী আপেল মাহমুদের মালিকানাধীন হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আপেল মাহমুদ তাঁকে বিয়ের প্রলোভনে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। রাজি না হওয়ায় গত ২০ ডিসেম্বর হাসপাতালের কাজ শেষে বাড়িতে ফেরার পথে তাঁকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে কক্সবাজারে নিয়ে যান। সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে তাঁকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। পরে ২৫ ডিসেম্বর তাঁকে শিবচর এনে একটি নন–জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ভুয়া বিয়ের নথি বানিয়ে ছেড়ে দেন।
এ ঘটনার পর গত ৩০ ডিসেম্বর নার্সের পরিবার থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। এরপর আদালতের দ্বারস্ত হয় ভুক্তভোগী পরিবার। পরে আদালতের নির্দেশে গত ৭ জানুয়ারি থানায় আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়। এর পর থেকে আপেল মাহমুদ পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতে শিবচরের পাঁচ্চর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ বচর
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে শ্রমিকদের জিম্মি করে লুট
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একটি ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ২০-২২ দুর্বৃত্ত আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে ১৮ শ্রমিককে মারধর পরে জিম্মি করে ব্যাটারি তৈরির সিসা, প্লেট, কানেক্টরসহ অন্তত ৫৫ লাখ টাকার সামগ্রী লুট করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এসব সামগ্রী ট্রাকে করে নিয়ে গেছে তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তাড়াশ-বারুহাঁস সড়কের পশ্চিম দিকে হেদার খালে ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তদের মারধরে কারখানার শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক হোসেন, শামীম হোসেনসহ অনন্ত আটজন আহত হয়েছেন। তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় কারখানার মালিক মো. শয়নুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শয়নুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি বড় ট্রাকে ২০ থেকে ২২ জন কারখানায় আসে। তারা টিনের বেড়া ভেঙে কারখানায় ঢুকে আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক, শামীমসহ ছয়জনকে জিম্মি করে। তারা বাধা দিলে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। বিশ্রামাগারে ঘুমিয়ে থাকা আরও ১০-১২ শ্রমিককে জিম্মি করে লুটপাট শুরু করে।
প্রায় চার ঘণ্টায় তারা কারখানা থেকে তিন টন ব্যাটারি তৈরির সিসা, ৩৪০ টাকা কেজি মূল্যের ১ হাজার ২০০ কেজি কানেক্টর, ২৫০ টাকা কেজির ১৬ টন প্লেট, ৬৩ হাজার টাকার ৯টি পুরোনো ব্যাটারিসহ প্রায় ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের মালপত্র লুট করে ট্রাকে করে চলে যায়। তারা চলে গেলে শ্রমিকরা একে অপরের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে পুলিশে খবর দেন।
তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে দুই দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির সত্যতা পাওয়া গেছে। ডাকাতি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান আছে।