ব্রাদার্স ফার্নিচার: গুণমান, নকশা এবং উদ্ভাবনের মেলবন্ধন
Published: 14th, March 2025 GMT
বাংলাদেশে আসবাবশিল্পকে এগিয়ে নিতে যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মুখ্য ভূমিকা রেখেছে তাদের মধ্যে অন্যতম ব্রাদার্স ফার্নিচার লিমিটেড। বর্তমানে ব্রাদার্স ফার্নিচার একটি সুপরিচিত এবং বিশ্বাসযোগ্য নাম। ১৯৭০–এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে মো. হাবিবুর রহমান সরকারের হাত ধরে ঢাকার গুলশানের কেন্দ্রস্থলে একটি সাধারণ আসবাবপত্রের দোকান দিয়ে শুরু হয় তাদের যাত্রা। ‘ভাই ভাই ফার্নিচার’ নামের দোকানটি সেই সময়ে গুলশানের বিভিন্ন অফিস বিশেষ করে দূতাবাসভিত্তিক ফার্নিচার ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন ডিজাইনের আধুনিক আসবাবপত্র তৈরি শুরু করলে সব ধরনের ক্রেতার কাছে বেশ গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে প্রতিষ্ঠানটি। ক্রেতাদের চাহিদা এবং পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভাই ভাই ফার্নিচারের কর্নধার ১৯৮০ সালে ছোট ভাই ইলিয়াছ সরকারকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে রাখেন ‘ব্রাদার্স ফার্নিচার লিমিটেড’। দুই ভাইয়ের বলিষ্ঠ নেতৃত্বই ব্রাদার্স ফার্নিচারকে দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত করেছে। পরবর্তী সময়ে শরিফুজ্জামান সরকার ব্রাদার্স ফার্নিচারের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে প্রতিষ্ঠানটি।
ছোট একটি উদ্যোগ হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ছিল স্থানীয় বাজারে উচ্চমানের আসবাব তৈরি করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ক্রমাগত নতুনত্ব এবং গুণগত মানের ওপর জোর দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রাথমিক পর্যায়ে ঐতিহ্যবাহী কাঠের আসবাবপত্র তৈরি করে তারা দ্রুত গ্রাহকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। দেশীয় সংস্কৃতি এবং আধুনিক নকশার সংমিশ্রণে প্রতিষ্ঠানটি এমন সব আধুনিক এবং আরামদায়ক আসবাব তৈরি করতে শুরু করে, যা প্রতিটি ঘরে এনে দেয় আভিজাত্যের ছোঁয়া। বর্তমানে ব্রাদার্স ফার্নিচার কেবল দেশেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাজারেও তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
পণ্যের বৈচিত্র্যের দিক দিয়ে ব্রাদার্স ফার্নিচারের রয়েছে নিজস্বতা ও আধুনিকতার মেলবন্ধনে বিশাল সমাহার। লিভিং রুম আসবাবপত্রের মধ্যে রয়েছে সোফা সেট, টি–টেবিল, বুকশেলফ এবং শোকেসসহ বিভিন্ন ধরনের আধুনিক এবং ঐতিহ্যবাহী ডিজাইনের পণ্য। বেডরুম আসবাবপত্রের তালিকায় আছে ডাবল এবং সিঙ্গেল বেড, ড্রেসিং টেবিল, ওয়ার্ডরোব এবং বেডসাইড টেবিলের মতো ফাংশনাল এবং স্টাইলিশ আসবাব। ডাইনিং রুমকে আকর্ষণীয় করে তুলতে রয়েছে ডাইনিং টেবিল, চেয়ার এবং কেবিনেটের মতো টেকসই এবং মার্জিত ডিজাইনের পণ্য। এ ছাড়া অফিসকে নান্দনিক করে তুলতে তাদের রয়েছে অফিস ডেস্ক, চেয়ার, ফাইল ক্যাবিনেট এবং কনফারেন্স টেবিলের মতো অফিস উপযোগী আসবাবপত্র।
শরিফুজ্জামান সরকার, পরিচালক, বিক্রয় ও বিপণন বিভাগ, ব্রাদার্স ফার্নিচার লিমিটেড.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আসব বপত র সরক র আসব ব
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়ানডেতে দুই বলের খেলার শর্ত পরিবর্তনের কথা ভাবছে আইসিসি
ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই প্রান্ত থেকে দুটি নতুন বল ব্যবহার করায় খেলাটাকে আরও বেশি করে ব্যাটসম্যানদের খেলা বানিয়ে দিয়েছে। এমন অভিযোগ অনেক আগে থেকে করে আসছেন বোলাররা।
আইসিসির বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই প্রান্ত থেকে দুটি নতুন বলে খেলা শুরু হয়। তাতে একেকটি বলে ২৫ ওভার করে খেলা হয়। ফলে বল পুরোনো হয় না। রিভার্স করার সুযোগ পান না বোলাররা। যা ব্যাটসম্যানদের জন্য খেলাটাকে আরো সহজ করে দিয়েছে।
ব্যাট এবং বলের মধ্যে কিছুটা ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ওয়ানডেতে বিদ্যমান দুই বলের খেলার নিয়ম পরিবর্তনের কথা বিবেচনা করছে আইসিসি। এই সপ্তাহে হারারেতে আইসিসির সভায় ইনিংসের ৩৫তম ওভার থেকে মাত্র একটি বল ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
টিভিতে আজকের খেলা
নববর্ষকে রাঙাতে হাডুডু খেললেন মানিকগঞ্জের প্রবীণরা
সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বাধীন আইসিসি পুরুষ ক্রিকেট কমিটি বোর্ডের প্রধান নির্বাহীদের কাছে এই সুপারিশ করেছে। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী, ফিল্ডিং দলকে ৩৪তম ওভারের পরে কোন বলটি দিয়ে খেলতে চান তা নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়া হবে, যখন দুটি বলই ১৭ ওভারের পুরনো হবে। যে বলটি বেছে নেওয়া হবে না তা প্রয়োজনে অতিরিক্ত বল হিসেবে রাখা হবে।
ক্রিকেট কমিটি ২৫ ওভারের পর বল পরিবর্তনের কথা আগেই ভেবেছিল। কিন্তু কমিটির মধ্যে খুব বেশি সমর্থন পাওয়া যায়নি। তারা মনে করে ১৭ ওভারের জন্য বল ব্যবহার করার আগে কোনটি ব্যবহার করা বেশি উপযুক্ত তা সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বোর্ড এই মাসের শেষের দিকে এই পরিবর্তনের বিষয়ে তাদের মতামত জানাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদি ঐক্যমত্য হয়, তাহলে জুলাই মাসে আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভায় এটি আনুষ্ঠানিকভাবে রূপ দেওয়া হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন