বগুড়ার রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাকচাপায় একজন নিহত
Published: 14th, March 2025 GMT
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় মহাসড়কে ট্রাকের চাপায় একটি হাইওয়ে রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় উপজেলার ছোনকা এলাকায় ঢাকা বগুড়া মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম শাহজাদা খান (৫৫)। তিনি ছোনকা এলাকার নাবিল হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের প্রোডাকশন ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার সাদাদপুর গ্রামে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, মহাসড়ক পারাপারের সময় ঢাকাগামী অজ্ঞাতনামা একটি ট্রাক শাহজাদা খানকে চাপা দেয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার পর নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অজ্ঞাতনামা ট্রাকের সন্ধানে কাজ শুরু করেছেন তাঁরা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মতো শিল্পপতিদেরই চায়
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুসংবাদ আমাকে খুবই ব্যথিত করেছে। তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। তিনি ছিলেন দেশের একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি এবং তাঁর দক্ষতা ও নীতিনিষ্ঠা সর্বজনবিদিত। সমাজের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা ছিল। শুধু তা–ই নয়, দুবার (১৯৯৬ ও ২০০১) তিনি ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা।
দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি নিয়ে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর সুস্পষ্ট ধারণা ছিল। তিনি ছিলেন অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তাঁর নানামুখী প্রজ্ঞা রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অনেক সহায়ক ছিল। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর থাকাকালে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) পরিচালক ছিলেন। ব্যাংক খাতের উন্নতি, এ খাতের সুশাসন, খেলাপি ঋণের হার নিয়ন্ত্রণে তাঁর পরামর্শ আমরা কাজে লাগিয়েছি। এ ছাড়া বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী ফোরাম এমনকি বাজেট প্রণয়নেও তাঁর জ্ঞানগর্ভ সুপারিশ অর্থ মন্ত্রণালয় পেয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
সানবিমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল প্রতিষ্ঠাসহ শিক্ষা খাত এবং বিভিন্ন সামাজিক কাজে যুক্ত ছিলেন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। তাঁর সঙ্গে সামাজিক ফোরামে যখনই দেখা হয়েছে, আমি দিলখোলাভাবে কথা বলেছি, গল্প করেছি। তিনি ছিলেন একজন অমায়িক ও পরিশীলিত ভদ্রলোক।
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর ছেলে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুরকে অ্যাপেক্স গ্রুপের দায়িত্ব দিয়েছেন অনেক আগেই। এটাও তাঁর একটি সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত। এবার যখন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন, আমি খোঁজ নিয়েছি। আশা ছিল, সুস্থ হয়ে ফিরে দেশে ফিরে আসবেন।
ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ফেরত না দেওয়া, কাগজপত্রের ভিত্তিতে ব্যাংকঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করা, বিদেশে অর্থ পাচার করা ইত্যাদি কাজ করে থাকেন দেশের একশ্রেণির ব্যবসায়ী। এর বিপরীতে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মতো শিল্পপতিরাও তৈরি হয়েছেন, যাঁরা দেশের সম্পদ। এ ধরনের শিল্পপতিদেরই বাংলাদেশ চায়। আমি মনে করি কর্ম, নিষ্ঠা, সাফল্য ও সততার দিক থেকে যেকোনো ব্যবসায়ী বা শিল্পপতির জন্যই আদর্শ হতে পারেন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী।
লেখা: সালেহউদ্দিন আহমেদ, অর্থ উপদেষ্টা