রাজশাহীর তানোরে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জেলা বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মিজানুর রহমান তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র। এ ছাড়া তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মুজিবুর রহমানকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ (চাঁদ), যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ দুজনকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

এর আগে মঙ্গলবার পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। ওই ইফতারে প্রধান বক্তা হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান। আর প্রধান অতিথি ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও রাজশাহী-১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মেজর জেনারেল (অব.

) শরীফ উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে শরীফ উদ্দিন আসার আগে তাঁকে বরণ করে নিতে বিএনপির দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা কৃষ্ণপুর মোড়ে অপেক্ষা করছিলেন। ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোমিনুল হকের অনুসারীরা প্রধান অতিথিকে বরণ করতে চাইলে বাধা দেন বর্তমান সভাপতি মুজিবুর রহমানের অনুসারীরা। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।ওই সময় মোমিনুল হকের ছোট ভাই গানিউল ইসলাম আহত হন। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত বুধবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় গতকাল মিজানুর রহমান ও মুজিবুর রহমানসহ ৩৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়। এরপরই দুই নেতাকে বহিষ্কার করল জেলা বিএনপি।

এ বিষয়ে কথা বলতে আজ শুক্রবার সকালে মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। আগের দিন মামলা করার পর মিজানুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই একবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে গেছে। পরে ইফতার করে চলে এসেছি। বাসায় আসার পর এ ঘটনা শুনলাম। আমাকে কেন আসামি করল বুঝতে পারছি না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে এটা করতে পারে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম জ ন র রহম ন ব এনপ র স ঘর ষ সদস য ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন শিল্পে গ্যাসের মূল্য ৩৩% বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের

নতুন শিল্পে গ্যাসের মূল্য ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধির নিন্দা জানিয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, বিনিয়োগের পরিবেশ ও সাধারণ মানুষের জীবনমানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করে সংগঠনটি।

আজ সোমবার রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, করোনা মহামারি থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি ধারাবাহিক সংকটে জর্জরিত। এ সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সরকার ‘সার্বিক বিনিয়োগ বাড়ানোর’ অঙ্গীকার করলেও গ্যাসের দাম বাড়িয়ে শিল্প খাতকে চাপের মুখে ফেলেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) স্বীকার করেছে, তারা মূল্যবৃদ্ধির পক্ষে কোনো স্পষ্ট অর্থনৈতিক বা রাজস্বভিত্তিক যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেনি। কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘রাজস্ব চাহিদা’ বিবেচনা না করে মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সরকারের প্রতিশ্রুত স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থার পরিপন্থী।

এ অবস্থায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—শিল্প খাতসহ সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সহনীয় মূল্যকাঠামো নির্ধারণ করা, জ্বালানি খাতের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং দুর্নীতি ও অপচয় রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া, ‘নতুন’ ও ‘পুরোনো’ শিল্পের মধ্যে বৈষম্য দূর করে একই মূল্যনীতি চালু করা এবং ভবিষ্যতে কোনো নীতি প্রণয়নের আগে সব স্তরের অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা ও তাদের সম্মতি নিশ্চিত করা।

আরও পড়ুননতুন শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ল ৩৩ শতাংশ, পুরোনো শিল্পে বাড়তি ব্যবহারে নতুন দাম১৩ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ