২৬ মার্চ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সুপার ক্লাসিকোতে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। এই দুই দেশের ম্যাচ ঘিরে এখন থেকেই উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচ বলে কথা।

অন্য যেকোনো ম্যাচের চেয়ে এর গুরুত্ব একটু আলাদা। তবে এই ম্যাচের আগে বড় ধরনের বিপদে পড়ার শঙ্কা আছে ব্রাজিলের। যার ফলে আর্জেন্টিনা ম্যাচের আগেই ব্রাজিল হারাতে পারে দলের সেরা তারকাদের অনেককেই।

আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ব্রাজিল খেলবে কলম্বিয়ার বিপক্ষে। ২১ মার্চ সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে দুই দল মুখোমুখি হবে ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে। সেই ম্যাচে ব্রাজিলের ১০ ফুটবলার হলুদ কার্ডের খড়্গ নিয়ে খেলতে নামবেন।

আরও পড়ুন১৬ মাস পর ব্রাজিল দলে ফেরার খবর যেভাবে পেলেন নেইমার০৭ মার্চ ২০২৫

অর্থাৎ সেই ১০ জনের কেউ যদি কলম্বিয়‍ার বিপক্ষে ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেন, তাহলে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলতে পারবেন না। দক্ষিণ আমেরিকার অঞ্চলের (কনমেবল) বাছাইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, একজন ফুটবলার দুটি হলুদ কার্ড দেখলে তিনি পরের ম্যাচে আর খেলতে পারবেন না।

মেসি–নেইমারের লড়াই দেখার অপেক্ষা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে শ্রমিকদের জিম্মি করে লুট

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একটি ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ২০-২২ দুর্বৃত্ত আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে ১৮ শ্রমিককে মারধর পরে জিম্মি করে ব্যাটারি তৈরির সিসা, প্লেট, কানেক্টরসহ অন্তত ৫৫ লাখ টাকার সামগ্রী লুট করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এসব সামগ্রী ট্রাকে করে নিয়ে গেছে তারা।

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তাড়াশ-বারুহাঁস সড়কের পশ্চিম দিকে হেদার খালে ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তদের মারধরে কারখানার শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক হোসেন, শামীম হোসেনসহ অনন্ত আটজন আহত হয়েছেন। তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় কারখানার মালিক মো. শয়নুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

শয়নুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি বড় ট্রাকে ২০ থেকে ২২ জন কারখানায় আসে। তারা টিনের বেড়া ভেঙে কারখানায় ঢুকে আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক, শামীমসহ ছয়জনকে জিম্মি করে। তারা বাধা দিলে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। বিশ্রামাগারে ঘুমিয়ে থাকা আরও ১০-১২ শ্রমিককে জিম্মি করে লুটপাট শুরু করে।

প্রায় চার ঘণ্টায় তারা কারখানা থেকে তিন টন ব্যাটারি তৈরির সিসা, ৩৪০ টাকা কেজি মূল্যের ১ হাজার ২০০ কেজি কানেক্টর, ২৫০ টাকা কেজির ১৬ টন প্লেট, ৬৩ হাজার টাকার ৯টি পুরোনো ব্যাটারিসহ প্রায় ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের মালপত্র লুট করে ট্রাকে করে চলে যায়। তারা চলে গেলে শ্রমিকরা একে অপরের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে পুলিশে খবর দেন।

তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে দুই দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির সত্যতা পাওয়া গেছে। ডাকাতি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ