আড়াইহাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্য আহত
Published: 14th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে রাতে দায়িত্ব পালনকালে সড়ক দুর্ঘটনায় ছয় পুলিশ সদস্য ও তাদের বহনকারী গাড়ির চালক আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ৩টার দিকে আড়াইহাজার উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বগাদী এলাকায় আড়াইহাজার-গোপালদী আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন—উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহাবুব ইসলাম, কনস্টেবল সাইফুল, মোশাররফ, আল আমিন, আজিজুল ও আলামিন এবং গাড়িচালক রিয়াদ।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। পরে গুরুতর আহত চার জনকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনায়েত হোসেন জানিয়েছেন, ৫ আগস্টের পর পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ায় থানায় গাড়ির স্বল্পতার কারণে বাইরে থেকে রিকুইজিশন করা লেগুনা দিয়ে ডিউটি করতে হয় পুলিশ সদস্যদের। রাতে ওই গাড়িতে ছয় জন পুলিশ সদস্য ছিলেন। গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে তারা আহত হন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ল শ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে শ্রমিকদের জিম্মি করে লুট
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একটি ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ২০-২২ দুর্বৃত্ত আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে ১৮ শ্রমিককে মারধর পরে জিম্মি করে ব্যাটারি তৈরির সিসা, প্লেট, কানেক্টরসহ অন্তত ৫৫ লাখ টাকার সামগ্রী লুট করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এসব সামগ্রী ট্রাকে করে নিয়ে গেছে তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তাড়াশ-বারুহাঁস সড়কের পশ্চিম দিকে হেদার খালে ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তদের মারধরে কারখানার শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক হোসেন, শামীম হোসেনসহ অনন্ত আটজন আহত হয়েছেন। তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় কারখানার মালিক মো. শয়নুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শয়নুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি বড় ট্রাকে ২০ থেকে ২২ জন কারখানায় আসে। তারা টিনের বেড়া ভেঙে কারখানায় ঢুকে আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক, শামীমসহ ছয়জনকে জিম্মি করে। তারা বাধা দিলে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। বিশ্রামাগারে ঘুমিয়ে থাকা আরও ১০-১২ শ্রমিককে জিম্মি করে লুটপাট শুরু করে।
প্রায় চার ঘণ্টায় তারা কারখানা থেকে তিন টন ব্যাটারি তৈরির সিসা, ৩৪০ টাকা কেজি মূল্যের ১ হাজার ২০০ কেজি কানেক্টর, ২৫০ টাকা কেজির ১৬ টন প্লেট, ৬৩ হাজার টাকার ৯টি পুরোনো ব্যাটারিসহ প্রায় ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের মালপত্র লুট করে ট্রাকে করে চলে যায়। তারা চলে গেলে শ্রমিকরা একে অপরের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে পুলিশে খবর দেন।
তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে দুই দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির সত্যতা পাওয়া গেছে। ডাকাতি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান আছে।