হোয়াটসঅ্যাপে আসছে মেসেজ থ্রেড, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
Published: 14th, March 2025 GMT
তাৎক্ষণিক বার্তা বা ছবি আদান-প্রদানের পাশাপাশি সহজে কথা বলা ও ভিডিও কল করার সুযোগ থাকায় ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের কাজে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। বিষয়টি অজানা নয় হোয়াটসঅ্যাপের কাছেও। আর তাই এবার অন্য ব্যক্তিদের কাছে পাঠানো সব বার্তা দ্রুত দেখার সুযোগ দিতে ‘মেসেজ থ্রেড’ নামের নতুন সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে মেটার মালিকানাধীন মেসেজিং অ্যাপটি।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ডব্লিউএবেটাইনফো জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের অ্যান্ড্রয়েড বেটা ২.
অনলাইনে প্রকাশিত স্ক্রিনশটে দেখা গেছে, মেসেজ থ্রেডে থাকা বার্তাগুলো আলাদা পপ-আপ ভিউতে প্রদর্শন করা হবে। এর ফলে গ্রুপে আলোচনার সময় পাঠানো রিপ্লাইগুলো একসঙ্গে দেখা যাবে। তবে থ্রেড ভিউতে মূল বার্তাটি থাকবে কি না, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি।
আরও পড়ুনআলো কম থাকলে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল করবেন যেভাবে৩১ জানুয়ারি ২০২৫ডব্লিউএবেটাইনফোর তথ্যমতে, মেসেজ থ্রেড সুবিধাটি বর্তমানে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে থাকলেও শিগগিরই ব্যক্তিগত, গ্রুপ চ্যাটসহ কমিউনিটি এবং চ্যানেলে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য জানায়নি হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: দ্য ভার্জ
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প
এছাড়াও পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে নলি বিলে মাছ ধরার উৎসব
বর্ষার সময় বিভিন্ন পদ্ধতিতে মাছ ধরা হলেও অল্প পানিতে দলবদ্ধ হয়ে মাছ শিকার কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের নলি বিল এলাকায় এক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। গত শুক্রবার এই বিলে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় মাছ ধরার এক ব্যতিক্রমী আয়োজন।
সকালের আলো ফুটতেই স্থানীয় শত শত মানুষ ঠেলা জাল, টেঁটা, ঝাঁকি জালসহ নানা উপকরণ নিয়ে নেমে পড়েন বিলে। কেউ আবার কাদাপানিতে হাত ডুবিয়ে ধরেন দেশি প্রজাতির মাছ। আশপাশের গ্রাম ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে অনেকে এসে যোগ দেন এ আয়োজনে। দেশি প্রজাতির মাছের চাহিদা বেশি থাকায় নলি বিলে মাছ শিকারে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো।
সরেজমিনে দেখা যায়, উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে হাঁটুসমান পানিতে নানা বয়সী মানুষ দেশি প্রজাতির মাছ ধরছেন। নানা রকমের জাল ছাড়াও অনেকে কাদাপানিতে হাতড়ে ধরেন দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ। প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করেও সবার মধ্যে ছিল উৎসবের আমেজ। এ সময় শিকারিদের অনেকেই বলেন, গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে উৎসবের আগেই মাছ ধরে নিয়েছেন বিলের ইজারাদাররা। সে জন্য ছোট মাছ মিললেও বড় মাছ তেমন পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ মিয়া বলেন, ‘নলি বিলে মাছ ধরার দিনটি এখন আমাদের এলাকার মানুষের কাছে এক উৎসবে পরিণত হয়েছে।’ মাছ ধরতে আসা ফজলু মিয়া জানান, লোকমুখে খবর পেয়ে সকালে ঝাঁকি জাল নিয়ে চলে আসেন বিলে। দুপুর পর্যন্ত মাছ ধরলেও বড় মাছ তেমন পাননি। তবে এতে তাঁর কোনো আফসোস নেই, বরং এমন ঐতিহ্যে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত।
নেত্রকোনা থেকে ধান কাটতে আসা আবুল কাশেমও শখের বসে মাছ ধরায় অংশ নেন। তিনি বলেন, এত মানুষের একসঙ্গে মাছ শিকার দেখে শখের বসে তিনিও ধান কাটা রেখে মাছ শিকারে নেমে পড়েন। কয়েকটি তাজা বাইন মাছ ধরেছেন। পার্শ্ববর্তী খয়রত গ্রামের আবদুল হাই নামের আরেকজন বলেন, একসঙ্গে মাছ শিকারে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। কয়েক গ্রামের শৌখিন মাছশিকারিরা একসঙ্গে মাছ শিকার করেন।