টিভি কিংবা ইউটিউব নাটকে নিলয়-হিমি এখন ভরসার নাম। তাদের নাটক মানেই মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ। তাই উৎসব মানেই নিলয়-হিমি জুটির নাটক প্রচার হয় ডজন ডজন। ইতোমধ্যে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ডজন খানেক নাটকের শুটিং করে ফেলেছেন তারা। এসব নাটকের মধ্যে বিশেষ একটি নাটক হচ্ছে ‘সামার ভ্যাকেশন’। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভার্সেটাইল মিডিয়ার ব্যানারে নির্মিত নাটকটি পরিচালনা করেছেন মাহমুদ হাসান রানা। চিত্রনাট্য করেছেন অর্ক মোস্তফা। 

নাটকটি মূলত কিছুটা কমিডি ঘরানার। কিন্তু তাতে নেই ভাড়ামি। গল্পে অজপাড়া গায়ের সুন্দর একটি গল্প চিত্রায়িত হয়েছে। যেখানে দেখা যাবে অজপাড়া গায়ের মেয়ে তাহমিনা। মেধাবী ও লক্ষী। গ্রাজুয়েশন করেছে। তবে যথা সময়ের বিয়ে না করায় গ্রামে তাকে সবাই আইবুড়ো মেয়েই বলে। বিয়ে না করায় তাহমিনার উপর জ্বীনের আছর আছে বলেও ছড়ানো হয়।  কিন্তু এসবের বাইরে তাহমিনার বড় একটা পরিচয় আছে।  যে পরিচয় কেউ জানে না।  অন্যদিকে জয়নাল উড়নচণ্ডী স্বভাবের ছেলে।  সারাদিন বন্ধুদের সাথে ঘুড়ে বেড়ায়, বাবার টাকা ওড়ায়।  বাবা সরকারি চাকরিজীবী, ঘুষ ও দুর্নীতির টাকায় বাড়ি-গাড়ি করেছেন। জয়নাল গরমের ছুটি কাটাতে আসে মামা বাড়িতে অজপাড়া গায়ের ফিল নিতে। এখানে এসে  মামাতো ভাইদেরর সঙ্গে গভীর রাতে পিকনিক করার জন্য এর ওর বাড়িতে মুরগি চুরি করে।  তাহমিনাদের বাড়িতে চুড়ি করতে  এসেই দেখতে পায় তাহমিনাকে এবং প্রেমে পড়ে যায়তার। ঘটতে থাকে নানা নাটকীয় ঘটনা। যে নাটকীয়তায় সুন্দর সমাপ্তি আছে। আছে সামাজিক মূল্যবোধের বার্তাও। 

নাটকটি নিয়ে নির্মাতা মাহমুদ হাসান রানা বলেন, নিলয় আর হিমি নাটকের সফল জুটি। যে কোনো গল্পের কাজ করে তাদের উপর ভরসা করা যায়। সামার ভ্যাকেশন সুন্দর একটি গল্পের নাটক। যে গল্পে কমেডি আছে, গল্প আছে আছে সামাজিক বার্তাও।  আমার বিশ্বাস গল্পটি দর্শকদের কাছে আনন্দদায়ক হবে। 

নিলয় হিমি ছাড়াও নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়  করেছেন সাবরিনা রনি,জুলফিকার চঞ্চল, ইমরান আজান, আশরাফুল ইসলাম বাবু, মোহিত তমালসহ অনেকেই। 

‘সামার ভ্যাকেশন’ নাটকটি ভার্সেটাইল মিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে  ঈদুল ফিতরের আয়োজনে উন্মুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন ন টকট

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবিতে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম খুঁজতে তদন্ত কমিটি

আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনামলে (২০০৯-২৪) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতিতে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গত ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত ঢাবির সিন্ডিকেট সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়। রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিষয়টি জানাজানি হয়েছে।

কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও রসায়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক তাজমেরী এসএ ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম পরিবর্তন করায় ঢাবি শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ, লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আকা ফিরোজ আহমদ, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ঈকরামুল হক এবং বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার মুন্সী শামস উদ্দীন আহমেদ। 

কমিটি প্রয়োজন মনে করলে বহিঃস্থ/অভ্যন্তরীণ আরো তিনজন সদস্য তাদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে বলে বিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ