ঝালকাঠিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মাগুরায় ধর্ষণের ঘটনায় নিহত শিশু আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) জুমা নামাজ শেষে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ জামে মসজিদ মাঠে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। 

এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝালকাঠি জেলার আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহবায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, সদস্য সচিব রাইয়ান বিন কামাল, যুগ্ম সদস্য সচিব ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতিসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানাজায় অংশ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, “আমরা এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। ধর্ষকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশ্যে শাস্তি দিতে হবে, যাতে কেউ আর এ ধরনের অপকর্ম করার সাহস না পায়।”

গত ৫ মার্চ রাতে মাগুরায় বোনের বাড়িতে ৮ বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার হয়। ৮ মার্চ তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

ঢাকা/অলোক/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে শ্রমিকদের জিম্মি করে লুট

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একটি ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ২০-২২ দুর্বৃত্ত আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে ১৮ শ্রমিককে মারধর পরে জিম্মি করে ব্যাটারি তৈরির সিসা, প্লেট, কানেক্টরসহ অন্তত ৫৫ লাখ টাকার সামগ্রী লুট করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এসব সামগ্রী ট্রাকে করে নিয়ে গেছে তারা।

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তাড়াশ-বারুহাঁস সড়কের পশ্চিম দিকে হেদার খালে ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তদের মারধরে কারখানার শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক হোসেন, শামীম হোসেনসহ অনন্ত আটজন আহত হয়েছেন। তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় কারখানার মালিক মো. শয়নুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

শয়নুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি বড় ট্রাকে ২০ থেকে ২২ জন কারখানায় আসে। তারা টিনের বেড়া ভেঙে কারখানায় ঢুকে আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক, শামীমসহ ছয়জনকে জিম্মি করে। তারা বাধা দিলে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। বিশ্রামাগারে ঘুমিয়ে থাকা আরও ১০-১২ শ্রমিককে জিম্মি করে লুটপাট শুরু করে।

প্রায় চার ঘণ্টায় তারা কারখানা থেকে তিন টন ব্যাটারি তৈরির সিসা, ৩৪০ টাকা কেজি মূল্যের ১ হাজার ২০০ কেজি কানেক্টর, ২৫০ টাকা কেজির ১৬ টন প্লেট, ৬৩ হাজার টাকার ৯টি পুরোনো ব্যাটারিসহ প্রায় ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের মালপত্র লুট করে ট্রাকে করে চলে যায়। তারা চলে গেলে শ্রমিকরা একে অপরের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে পুলিশে খবর দেন।

তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে দুই দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির সত্যতা পাওয়া গেছে। ডাকাতি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ