মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক
Published: 14th, March 2025 GMT
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে সুজন বিশ্বাস নামে এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) মহেশপুর বিজিবির ভারপ্রাপ্ত কোয়াটার মাষ্টার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রেরিত এক ই-মেইল বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে মহেশপুরের রুলি গ্রামের মানিকতলা গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
সুজন বিশ্বাস ভারতের কুচবিহার জেলার হাজড়াপাড়া বাদের পাড় গ্রামের জগেশ বিশ্বাসের ছেলে।
বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর অধীনস্থ সামান্তা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার-৫৪/১-এস হতে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রুলি গ্রামের মোমিনতলা এলাকায় বিজিবির নায়েক সৈয়দ হুমায়ূুন কবিরের নেতৃত্বে নিয়মিত টহলের সময় ভারতীয় নাগরিক সুজনকে আটক করা হয়। শুক্রবার সকালে তাকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে মহেশপুরের মাটিলা বিওপি'র দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সীমান্ত পিলার ৫৩/এমপি’র নিকট সীমান্তের শূন্য রেখা বরাবর মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সৌজন্য সাক্ষাতে বিজিবি’র পক্ষে মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে.
সৌজন্য সাক্ষাতে বিজিবি-বিএসএফ সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, সীমান্ত পরিস্থিতি সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখা, সীমান্ত হত্যা না হওয়াা, মানব পাচার রোধ এবং মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হৃদ্যতাপূর্ণ আলোচনা হয়।
আলোচনা শেষে বিজিবি ও বিএসএফ সীমান্তের জিরো লাইন ধরে প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথ হেঁটে পরিদর্শন করেন।
ঢাকা/শাহরিয়ার/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৫৮ ব জ ব ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
৩ দিন পর বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
পঞ্চগড়ের অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিনের (৩৬) মরদেহ তিনদিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা সীমান্তের জিরো লাইনে পরিবারের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে তারা।
মরদেহ হস্তান্তরের সময় ভারতের রাজগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর অনুপম মজুমদার ও বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া থানার এসআই নরেশ চন্দ্র দাস, বিজিবি-বিএসএফ সদস্য, নিহত আল আমিনের বাবা সুরুজ মিয়াসহ তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
নেত্রকোণার ধনু নদ থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার
নাটোরে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৮ মার্চ (শনিবার) ভোরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন ভিতরগড় বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ৭৪৪ এর সাব পিলার ৭ হতে আনুমানিক ১৬০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ভাটপাড়া নামক স্থানে আল আমিনের মরদেহ পরে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ভারতের ৪৬ ভাটপাড়া বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদস্যদের গুলিতে নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় মরদেহ ফেরত চেয়ে ও প্রতিবাদ জানাতে গত সোমবার বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে ভারতের রাজগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার রাতে নিহতের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
তেঁতুলিয়া থানার এসআই নরেশ চন্দ্র দাস বলেন, “ভারতে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তিনদিন পর মঙ্গলবার রাতে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে আল আমিনের লাশ ফেরত দেয় ভারতীয় পুলিশ। পরে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শামসুদ্দিন এবং শফিকুল ইসলামের মাধ্যমে নিহতের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।”
ঢাকা/নাঈম/মাসুদ