চার দিনের বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা ইস্যু ও অগ্রাধিকারবিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ৯টায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তাদের সাক্ষাৎ হয়।

এ সময় দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান এবং অন্যান্য অগ্রাধিকারমূলক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করা হয়। উভয় পক্ষ পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ এবং ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন।

সকাল ১০টায় শেষ হয় এ বৈঠক। এরপর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে বের হয়ে যান জাতিসংঘ মহাসচিব। ওই বৈঠক শেষে ১১টায় বিশেষ বিমানে করে কক্সবাজারে যান প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিব।

প্রথমে নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন তারা। এদিন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব উখিয়ায় প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার করবেন।

ঢাকা/হাসান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৩

ইয়েমেনের রাস ইসা তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে এই হামলায় আরো ৮০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল মাসিরাহ টিভি।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, মার্কিন বাহিনী এ পর্যন্ত ইয়েমেনে যে কয়টি হামলা চালিয়েছে এটি তার মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হতে পারে।

ইয়েমেনের হোদেইদাহ স্বাস্থ্য অফিসের বরাত দিয়ে আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে এই হামলা চালানো হয়।

মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হুতি যোদ্ধাদের জ্বালানির উৎস বন্ধ করার জন্যই হামলা চালানো হচ্ছে। লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের উপর এই গোষ্ঠীর আক্রমণ বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা ইয়েমেনে হুতিদের অবস্থানগুলিতে আক্রমণ চালিয়ে যাবে।

মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড এক্স-এ  একটি পোস্টে বলেছে, “এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল হুতিদের ক্ষমতার অর্থনৈতিক উৎসকে হ্রাস করা, যারা তাদের দেশবাসীকে শোষণ করে চলেছে এবং তাদের উপর প্রচণ্ড যন্ত্রণা বয়ে আনছে।”

জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি অনুসারে, রাস ইসাতে একটি তেল পাইপলাইন এবং বন্দর রয়েছে, যা ইয়েমেনের ‘গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিবর্তনীয় অবকাঠামো।’ ইয়েমেনের প্রায় ৭০ শতাংশ আমদানি এবং এর ৮০ শতাংশ মানবিক সহায়তা রাস ইসা, হোদেইদাহ এবং সালিফ বন্দর দিয়ে যায়।

গত মাসে হুতিদের বিরুদ্ধে বৃহৎ পরিসরে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।

ওপেন সোর্স গোয়েন্দা সাইট জিওপলিটিকাল মনিটর অনুসারে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুতিরা ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজগুলোর ওপর শতাধিক আক্রমণ চালিয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ