বিদ্যালয়ের দপ্তরি ও তাঁর স্ত্রী পেটালেন শিক্ষককে, গ্রেপ্তার ১
Published: 14th, March 2025 GMT
বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের সামনে এক শিক্ষককে পেটান চাকরিচ্যুত দপ্তরি ও তাঁর স্ত্রী। এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন হামলাকারী দম্পতির ছেলে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষক এ ঘটনায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দপ্তরিকে গ্রেপ্তার করে।
ফেনীর দাগনভূঞা এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম হুমায়ন কবির (৪৮)। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত বুধবার দুপুরে উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে, বিদ্যালয় থেকে ওই দপ্তরিকে চাকরিচ্যুত করার জেরে শিক্ষককে পিটুনি দেওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও সরকারি শিশু জরিপ তথ্য হালনাগাদের জন্য বুধবার সকালে বিদ্যালয়ে যান ওই শিক্ষক। দুপুর ১২টার দিকে শ্রেণিকক্ষের সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় হঠাৎ স্কুলের চাকরিচ্যুত দপ্তরি হুমায়ন কবির (৪৮), তাঁর স্ত্রী নাহার বেগম (৩৮) এবং ছেলে মো.
এ ঘটনায় রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষক বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হুমায়ন কবিরকে গ্রেপ্তার করে।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মামলার পর অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া এক আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবারের মতো বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে জবি
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রথমবারের মতো বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
‘বিপ্লবের সিঁড়ি বেয়ে আসুক নেমে আলো, নববর্ষে মুক্ত জীবন থাকুক আরো ভালো’— স্লোগান ধারণ করে গোটা ক্যাম্পাস রঙে, প্রাণে, উৎসবে মুখরিত হয়ে উঠেছে। দিনভর চলা এ আয়োজন সবার প্রাণে ছড়িয়ে দিয়েছে বাঙালিয়ানার উষ্ণতা।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে নববর্ষ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনটির আনুষ্ঠানিকতা। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষ্কর্য চত্বর থেকে যাত্রা শুরু করে রায়সাহেব বাজারের ঐতিহাসিক ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।
‘বাংলার ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ সংস্কৃতি’ থিমকে কেন্দ্র করে আয়োজিত শোভাযাত্রায় প্রদর্শিত হয় গরুর গাড়ি, পাখি ও পশুর প্রতিকৃতি, ফুলের কারুকাজসহ নানা গ্রামীণ উপকরণ। পুরো আয়োজনই যেন এক টুকরো গ্রামবাংলাকে নগরসভায় টেনে এনেছে।
শোভাযাত্রার শেষে বিজ্ঞান অনুষদের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, “নববর্ষের এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের সংস্কৃতিচর্চা ও সৃজনশীল বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই চর্চাই আমাদের জাতিসত্তার ভিত্তি মজবুত করবে।”
শোভাযাত্রা শেষে শুরু হয় দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, মুক্তমঞ্চ ও রফিক ভবনের নিচে শতাধিক স্টল সাজানো হয় হস্তশিল্প, পিঠা-পুলি, গয়না, গ্রামীণ খেলনা, বই এবং প্রকাশনা সামগ্রী দিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো বৈশাখী মেলা হওয়ায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা যেন ফিরে পেয়েছেন শেকড়ের টান।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত শিল্পীরা। পরিবেশিত হয় সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি এবং পালা নাটক ‘ভেলুয়া সুন্দরী’।
দিনশেষে বিকেল ৪টা থেকে আয়োজনের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয় ব্যান্ড কনসার্ট।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী