নাটোরের লালপুরে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ইভটিজিংয় করায় থানায় অভিযোগ দেন মেয়েটির বাবা। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে শুভ (২০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে উপজেলার এবি ইউনিয়নের শালেশ্বর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। 

আহত রতন আলী (৩৭) একই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের যুবক শুভর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।  

আরো পড়ুন:

মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম

তরুণীকে উত্ত্যক্ত, প্রতিবাদ করায় ২ জনকে গুলি 

স্কুলছাত্রীর মা বুলবুলি খাতুন বলেন, ‍“গত কয়েক মাস ধরে স্কুলে যাওয়া-আসার সময় শুভ আমার মেয়েকে ইভটিজিং করছে। সম্প্রতি থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকে শুভ ও তার পরিবারের লোকজন বিভিন্নভাবে আমাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বাড়ি ফেরছিলেন আমার স্বামী। এসময় শুভসহ তার লোকজন হামলা চালিয়ে আমার স্বামীর মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনা অভিযোগ দায়ের না করার জন্য হুমকি দিচ্ছে শুভর পরিবার।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে শুভর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

লালপুর থানার ওসি মো.

নাজমুল হক বলেন, “এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ ইভট জ

এছাড়াও পড়ুন:

নাটোরে যুবকের দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন 

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ইসরাফিল নামে এক যুবককে কুপিয়ে দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করেছে দুর্বৃত্তরা। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সিংড়া উপজেলার হাতিয়ানদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইসরাফিল ওই এলাকার তাইজুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ইসরাফিলের বাবা তাইজুল ইসলাম বহুদিন পূর্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সিংড়া উপজেলার হাতিয়ানদহ এলাকায় এসে বাড়ি করেন। তারা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী ইসরাফিলের চিৎকারে এগিয়ে গিয়ে তাকে রাস্তার ধারে দুই হাত কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতাল এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নাটোর সদর হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. সুব্রত বলেন, “রোগীর দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন ছিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে বলে মনে হলো। সকাল ৭টার দিকে রোগীকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।”

সিংড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, “রাজনৈতিক কোনো বিষয় নিয়ে ঘটনাটি ঘটেনি। পরকীয়া সংক্রান্ত একটা বিষয় থাকতে পারে, সেই বিষয়টাও যাচাই-বাছাই করছি। যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদেরকে শনাক্তসহ গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।”

ঢাকা/আরিফুল/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ