গাজীপুর মহানগরীর তেলিপাড়া এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন শ্রমিকরা। এর ফলে তিন ঘণ্টা পর এই মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। 

শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আন্দোলনরত শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে, আজ সকাল ৯টার দিকে ঈদুল ফিতরের বোনাসসহ কয়েকটি দাবিতে মহানগরীর তেলিপাড়ায় অবস্থিত ‘স্মাগ সোয়েটার’ নামে ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেন।

আরো পড়ুন:

ঈদ বোনাসের দাবি 
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ শ্রমিকদের, যান চলাচল বন্ধ 

ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আজ, ফিরতি টিকিট ২৪ মার্চ

পুলিশ ও শ্রমিকরা জানায়, আজ সকালে স্মাগ সোয়েটার নামের কারখানার দুই থেকে তিন শতাধিক শ্রমিক ঈদুল ফিতরের বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে দুুপুর ১২টার দিকে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিকরা। বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। 

গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার ওসি কায়সার আহমেদ বলেন, “কয়েকটি দাবি নিয়ে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে তাদেরকে বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরানো হয়েছে। এখন যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।” 

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন অবর ধ সড়ক অবর ধ ক অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটা প্রস্তুত

সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে চাঁদাবাজি ও দখলবাজির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কতটা শক্ত অবস্থান তারা নিতে পেরেছে, সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। সাম্প্রতিক কালে নারী নিগ্রহের ঘটনা এতটাই বেড়েছে যে অন্যান্য অপরাধ নিয়ে আলোচনা কম হচ্ছে। এ ছাড়া একশ্রেণির দুর্বৃত্ত দোকান-বাড়ি-অফিস দখলের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে।

ব্যবসায়ীরা ব্যবসা–বাণিজ্যের জন্য রোজা-ঈদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তাঁরা ভাবেন, বছরের অন্যান্য সময় ব্যবসা মন্দা হলেও ঈদের সময় বেচাকেনা ভালো হবে। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যবস্তু করছে। আবার এসব হামলার ঘটনায় ব্যবসায়ীকেও জীবন দিতে হচ্ছে। 

প্রথম আলোর খবরে জানা যায়, ঢাকার অদূরে সাভার উপজেলায় নয়ারহাট বাজারে ডাকাতেরা ৬ মার্চ রাতে ‘দিলীপ স্বর্ণালয়ে’ গচ্ছিত স্বর্ণালংকার লুটে নেয় এবং দোকানের মালিক দিলীপ দাসকে কুপিয়ে হত্যা করে। এই বাজারে ৩৫টি সোনার দোকান আছে।

ঘটনার পর সেখানকার ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁদের অভিযোগ, ২০২১ সালে বাজারের ১৭টি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। এরপর প্রিয়াংকা জুয়েলার্সে ৯ মাস আগে ডাকাতি হয়েছিল। দিলীপ দাসের হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা এবং ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার দাবিতে বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন ব্যবসায়ীরা। তথ্য–আলামত দেখে মনে হয়, দিলীপ হত্যার ঘটনাটি পরিকল্পিত। তিনি ওই দিন সন্ধ্যার পর দোকান থেকে চলে গিয়েছিলেন, এরপর দুই নারী ক্রেতা তাঁকে ডেকে দোকানে নিয়ে আসেন। ঘটনার সময় আতশবাজি-জাতীয় কিছু ফাটানো হয়েছিল। পুলিশ ওই দুই নারীসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

এদিকে বরিশালের উজিরপুরে বিএনপির দলীয় নেতাদের ছবিসংবলিত ব্যানার টানিয়ে প্রয়াত এক বীর মুক্তিযোদ্ধার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যুবদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

গত শুক্রবার রাজধানীর কলাবাগান থানার রাসেল স্কয়ার এলাকায় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও চাঁদাবাজির দায়ে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুক্তারুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সালমানসহ বিভিন্ন পদের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন। ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা এলাকায় পাঁচ দিনের ব্যবধানে ইটভাটাসহ দুই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি ও একাধিক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে।

ডেইলি স্টার–এর প্রতিবেদনে দেখা যায়, ঈদ সামনে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন টার্মিনালকেন্দ্রিক প্রতিদিন কোটি টাকার বেশি চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে। দেশের পরিবহন খাতে মাফিয়ারা চাঁদাবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে দুদকের তদন্তেও উঠে এসেছে। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, পরিবহন সাম্রাজ্য থেকে চাঁদাবাজির অবৈধ টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিদেশে পলাতক মাফিয়াদের কাছে। বিদেশে পলাতক কিছু শীর্ষ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে এ ধরনের তথ্য পেয়ে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে তারা।

এসব অপরাধের সঙ্গে কখনো রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মী, কখনো পেশাদার অপরাধীদের জড়িত থাকতে দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে যে আইন নিজস্ব গতিতে চলবে বলে যে আওয়াজ দেওয়া হয়েছে, তা কতটা কার্যকর হচ্ছে, সেটাই দেখার বিষয়। ঈদ সামনে রেখে ছিনতাইকারী ও ডাকাতদের দৌরাত্ম্য আরও বাড়বে। সে ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিও বাড়াতে হবে। ঢাকার বাসিন্দাদের প্রতি ঈদে বাড়িতে গেলে মালামাল নিজের হেফাজতে রেখে যাবেন, এই সদুপদেশ দিলেই তাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ন্যায়বিচারই এই নিষ্ঠুরতার একমাত্র জবাব
  • গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের নেতাদের নামে করা মামলা প্রত্যাহার দাবি
  • নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ–সমাবেশ
  • বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের মন্তব্য অযাথিত
  • এবার হল প্রভোস্টকে বহালের দাবিতে বিক্ষোভ, প্রশাসনিক ভবনে তালা
  • রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১৯৭
  • আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটা প্রস্তুত
  • প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
  • সড়ক দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহত, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ