গাজীপুরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ইফতারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ জামায়াতের
Published: 14th, March 2025 GMT
গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ইফতার মাহফিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে জামায়াতে ইসলামী। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের খলাপাড়া খাজা মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে জামায়াতের দুই কর্মীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর সদরে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হলেন ঈশ্বরপুর এলাকার আসলাম (২৬) ও খলাপাড়া এলাকার হাফিজ উদ্দিন (৩৫)। এ ছাড়া জামায়াতের আর তিন কর্মীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন খলাপাড়া এলাকার মোবারক সরকার (২৬), কাজী আবদুল্লাহ (২৪) এবং দক্ষিণ খলাপাড়ার আজিজুল হক (৪১)। এ ঘটনায় জামায়াতের এক নেতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত আয়োজনের অংশ হিসেবে গতকাল খলাপাড়া খাজা মার্কেট এলাকায় একটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামী। বাহাদুরসাদী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুমন মিয়া জানান, ইফতারের আগে স্থানীয় বিএনপির কর্মী আপেল, নুর ইসলাম, আকরামসহ ১০ থেকে ১৫ জন সেখানে গিয়ে জানান, এলাকাটিতে কোনো ইফতার মাহফিল করা যাবে না। এরপর কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাঁরা ইফতারের খাবার ফেলে দেন এবং কিছু খাবার নিয়ে চলে যান। জামায়াতের কর্মীরা অন্য স্থানে ইফতার ও নামাজ শেষে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান বিএনপির কর্মীরা।
এ বিষয়ে বাহাদুরসাদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘কেউ যদি আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালান, তাহলে কি আমরা রক্ষা করব না? জামায়াতের নেতা-কর্মীরা আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন, এতে আমাদের প্রায় সাত থেকে আটজন আহত হয়েছেন।’ তবে তাৎক্ষণিক তিনি আহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় দিতে পারেননি।
কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তারিকুল ইসলাম জানান, গতকাল রাত ৯টার দিকে জামায়াতের পাঁচজন কর্মীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দুজনকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় জামায়াতের স্থানীয় নেতা সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র র কর ম ইফত র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে চীন ও রাশিয়ার বৈঠক
চীন, রাশিয়া ও ইরানের কূটনীতিকদের মধ্যে আজ শুক্রবার বৈঠক হয়েছে। বেইজিংয়ের আশা, এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে থাকা আলোচনা নতুন করে শুরু করা যাবে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৫ সালে চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করেছিল ইরান। এ চুক্তির মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে দায়িত্বপালনকালে ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। তিনি নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন।
ওয়াশিংটনের সরে যাওয়ার পরও এক বছর ধরে তেহরান ওই চুক্তি মেনে চলেছিল। পরে তারাও তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসতে শুরু করে। চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা তখন থেকে ভেস্তে যায়।
বেইজিং বলেছে, তারা আশা করে, কম সময়ের মধ্যে ওই আলোচনা নতুন করে শুরু করতে যে তৎপরতার প্রয়োজন, তা আজকের আলোচনার মধ্য দিয়ে দৃঢ় হবে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভিতে এ বৈঠক সম্পর্কে বলা হয়, তিন কূটনীতিক ইরানের পারমাণবিক ইস্যু এবং অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করেছেন। চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মা ঝাওজু, রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম গারিবাবাদি।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমটিতে এ আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।
ইরানের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় অংশ নিতে রাজি নয় তেহরান।
চলতি সপ্তাহে ট্রাম্প ইরানকে পারমাণবিক আলোচনার আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ইরান প্রত্যাখ্যান করলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার তেহরান বলেছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বরাবর লেখা চিঠিটি তারা এখন পর্যালোচনা করছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি গতকাল দেশটির সরকারের আনুষ্ঠানিক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের উচিত, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া।’
আরাগচি আরও বলেন, চাপ ও হুমকিমুক্ত থাকলে এবং জনগণের জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষার নিশ্চয়তা পেলেই কেবল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসবেন তাঁরা।