তুচ্ছ ঘটনায় সিলেট সদর উপজেলার নাজিরেরগাঁও ও নয়াখুররমখলা গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে দুই গ্রামের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে আটজনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
 
সংঘর্ষের খবর পেয়ে প্রথমে এসএমপির জালালাবাদ থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।  

পুলিশ জানায়, একটি দোকানে চা পান নিয়ে দুই জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে তুই গ্রামের বাসিন্দারা তাদের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।  

আহতরা হলেন, জালালাবাদ থানার নয়াখুররমখলা ওয়ারিস (৫৫), তকদির ইসলাম (৩৫), তছির আলী (৬০), নাজিরগাঁও গ্রামের সাহব আলী, আতাউর (৫২), আব্দুস সামাদ, সুমন মিয়া (৩৫) ও উত্তরবাগ এলাকার দীপক গরাইটকে (২৪) ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হারুনুর রশিদ জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় আজ শুক্রবার সকাল ১১ টা  পর্যন্ত কোন পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রলীগ নেতার লাঠির আঘাতে বিএনপিকর্মী খুন

কক্সবাজারের মহেশখালীতে তুচ্ছ ঘটনার জেরে আব্দুর রশিদ (৫০) নামে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম অমিত হাসান। তিনি স্থানীয় কালারমারছাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক।

আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

নিহত রশিদ কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তরনলবিলা এলাকার লাল মিয়ার ছেলে। দলীয় পদপদবী না থাকলেও তিনি বিএনপির কর্মী  বলে জানা গেছে।

এদিকে ঘটনার পর দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কামরুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণে করেছে পুলিশ।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত রশিদ নিজ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় একই এলাকার ছাত্রলীগ নেতা অমিত হাসানের সঙ্গে সরকার পতন ও দলীয় বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় রশিদকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন অমিত। এতে মাটিতে লুটে পড়েন রশিদ। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিতে গেলে পথেই তার মৃত্যু হয়।

নিহত রশিদের ভাতিজা জাহেদুল ইসলাম জানান, তার চাচার সঙ্গে কোনো পূর্ববিরোধ ছিল না অমিতের। তবে অভিযুক্ত অমিতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কাইছার হামিদ জানান, প্রতিপক্ষের হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও মূল অভিযুক্ত অমিতকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ