বনশ্রীতে সড়কে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন মোটরসাইকেল আরোহী যুবক
Published: 14th, March 2025 GMT
রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী এলাকার সড়কে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
নিহত ব্যক্তির নাম সৌরভ খান (৩১)। তিনি রাজধানীর পল্টন এলাকায় অবস্থিত একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কর্মরত ছিলেন। স্বজন ও পুলিশের ধারণা, কোনো বেপরোয়া গতির গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী সৌরভ গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
সৌরভকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন তাঁর মামা সাইফুল ইসলাম। তিনি আজ শুক্রবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, সৌরভ গতকাল সকালে খিলগাঁওয়ের বাসা থেকে বেরিয়ে কর্মস্থলে যান। মধ্যরাতে তিনি মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফিরছিলেন। পথে বনশ্রী এ ব্লকের শান্তা টাওয়ারের বিপরীত পাশের সড়কে তাঁর মোটরসাইকেলটিকে কোনো গাড়ি ধাক্কা দেয় বলে তাঁর ধারণা। এতে সৌরভ ছিটকে রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে তিনি দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে সৌরভকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো.
রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাসানুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বেপরোয়া গতির কোনো ট্রাক বা অন্য কোনো গাড়ি সৌরভের মোটরসাইকেলটিকে জোরে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে গেছে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।
সৌরভের গ্রামের বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলায়। তাঁর বাবা মো. জাকির হোসেন। সৌরভের স্ত্রী ও তিন বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
গাজীপুরে প্রবল বর্ষণ উপেক্ষা করে বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার শ্রীপুরের জৈনাবাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নেমে আসেন তারা। এ সময় দুদিকের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন।
শ্রমিকরা প্রায় আড়াই ঘণ্টা ব্যস্ততম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখায় দুদিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেন। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শ্রমিকরা জানান, এইচডিএফ অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার মালিকপক্ষ তাদের বেতন-বোনাস দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঈদের আগেই ছুটি দিয়ে দেয়। ছুটি শেষে তারা কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানা বন্ধ পান। ১২ দিন ছুটি শেষে গত ১০ এপ্রিল কারখানা খোলার কথা ছিল। কিন্তু কাজ না থাকার অজুহাত দেখিয়ে মালিকপক্ষ ছয় দিন ছুটি বাড়িয়ে ১৭ এপ্রিল খোলার ঘোষণা দেয়।
বৃহস্পতিবার সকালে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকরা দেখেন, ছুটি বাড়িয়ে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। তারা বলছেন, ঈদুল ফিতরের বোনাস, দুই মাসের বকেয়া বেতন ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে তারা বিক্ষোভ করেছেন।
এইচডিএফ অ্যাপারেলস কারখানার মালিক হুমায়ুন চৌধুরী বলেন, ‘কারখানায় কাজ না থাকায় সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এমন খবর পেয়ে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। আমরা অল্প সময়ের মধ্যে তাদের সব দাবি পূরণ করব।’ শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেষ্টায় আড়াই ঘণ্টা পর শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন।