গ্যালারিয়া ডি দিবার কর্ণধার সাবিকুন্নাহার দিবা সব সময় কালারফুল পোশাক পছন্দ করেন। শুরুতে টাই-ডাই পণ্য নিয়ে কাজ করলে ধীরে ধীরে ফেব্রিক ও নকশায় বৈচিত্র্য যোগ করেছেন। এবার ঈদে সমৃদ্ধ কালেকশন রয়েছে তার।
থ্রিপিসের মধ্যে রয়েছে, পিওর কটন স্কিন প্রিন্ট থ্রিপিস, ইয়োক লেইজ কাজ করা বাটিক থ্রিপিস, কটন ব্লক প্রিন্ট থ্রিপিস, পিওর খাদি কটন স্কিন প্রিন্ট থ্রিপিস এবং এমব্রয়ডারী কামিজ ও স্লিভস। শাড়ির সমৃদ্ধ কালেকশনে রয়েছে শিবুরি টাই- ডাই সিল্ক শাড়ি, শিবুরি টাই- ডাই কোটা শাড়ি, টাঙ্গাইল কাতান শাড়ি, কটন উডব্লক শাড়ি, টাঙ্গাইলের তাঁত কটন শাড়ি ইত্যাদি। গরমে আরামের কথা চিন্তা করে কটনকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তবে উৎসবের ভাইবটা যাতে থাকে এজন্য কটন, কোটা কিংবা উডব্লকের জমিনে যাতে জমকালো নকশা থাকে সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে। অন্যদিকে উৎসবের বিকেলে এবং রাতে ক্যারি করার জন্য উপযুক্ত পোশাক হিসেবে থাকছে সিল্ক ফেব্রিকের প্রাধান্য।
কোন ফেব্রিকের চাহিদা বেশি? এই প্রশ্নের জবাবে দিবা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘এই বছর সিল্কের শাড়ি,থ্রিপিস, টুপিস এগুলোতে ভালো সাড়া পাচ্ছি।’’
আরো পড়ুন:
ঈদে তাঁতের শাড়ির পসরা সাজিয়েছেন ফাহমিদা ও কাকলী
ফায়জার ঈদ পোশাকে ‘প্রতিবাদ’
গ্যালারিয়া ডি দিবার থ্রিপিসের দাম ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত। শাড়ির দাম ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত।
ঈদের দিন কেমন পোশাক বেছে নেবেন এই উদ্যোক্তা, জানতে চেয়েছিল রাইজিংবিডি। সাবিকুন্নাহার দিবা বলেন, আমার উদ্যোগ ‘Galleria de Diba’ র কটনের থ্রিপিস পরবো সকালে আর বিকেলে পরবো সিল্কের শাড়ি।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শাল-গজারি বনে রং ছড়িয়ে বিদায় নিচ্ছে বসন্ত
প্রকৃতি থেকে বসন্ত বিদায় নিচ্ছে। আসছে গ্রীষ্ম। বসন্তের বিদায়বেলায় বিস্তৃত সবুজ শাল-গজারি বনে বাসন্তী রং ছড়াচ্ছে হলদে শাল-গজারি ফুল। গাজীপুরের অধিকাংশ এলাকাজুড়ে এখন বসন্তের এই রং উৎসব চলছে। বিশেষ করে শ্রীপুর, গাজীপুর সদরের একাংশ, কাপাসিয়ার একাংশ ও কালিয়াকৈর উপজেলার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে চলছে এই রঙের উৎসব।
শ্রীপুরের কর্ণপুর থেকে বরমী কিংবা হায়াতখার চালা থেকে গোসিংগা আঞ্চলিক সড়কের মতো অনেকগুলো সড়ক ভ্রমণ এখন যে কাউকে এক ব্যতিক্রমী বসন্তের অভিজ্ঞতা দেবে। বিশেষ করে এ সময় মাওনা থেকে কালিয়াকৈর উপজেলায় যাতায়াতের সড়কপথের পুরোটাই ফুলে ছেয়ে থাকে। এসব সড়কে ভ্রমণ করলে দেখা যায়, দুই পাশে শুকনা পাতার ওপর ছড়িয়ে আছে কাঁচা হলুদ রঙের শাল-গজারি ফুল। সঙ্গে আছে মোহনীয় গন্ধ।
শাল-গজারি বনের কোনো একটি গাছের মাথায় উঠে চারদিকে তাকালে মনে হবে, বনের গাছপালার ওপর কেউ যেন হলুদ রঙের মাদুর বিছিয়ে রেখেছে। ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে মৌমাছিসহ নানা কীটপতঙ্গ। পাখিদের ওড়াউড়িতে বনজুড়ে যেন এক মহোৎসব চলছে। পাখির ডানা ঝাপটানো কিংবা হঠাৎ একটু দমকা বাতাসে গাছ থেকে নিচে ঝরে পড়ে হলুদ শাল-গজারি ফুল। বসন্তে গাছের সব পাতা ঝরে যাওয়ার পর গাছে থাকা হলুদ ফুলগুলো এক অনন্য সৌন্দর্য ছড়ায়।
প্রতিবছর বসন্তের মাঝামাঝি থেকে শাল-গজারিগাছে ফুল ফুটতে শুরু করে। এরপর গাছ থেকে অপরিণত অবস্থায় বেশির ভাগ ফুল নিচে ঝরে পড়ে। থেকে যাওয়া ফুলগুলো বড় হয়। বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এসব ফুল পরিণত হয়ে যায়। তখন এর রং হয় কিছুটা বাদামি।
পরিণত ফুলের আবার অন্য রকম সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্য আছে। এসব ফুলের এক পাশে থাকে বীজ। আর অন্য পাশে ফুলের পাপড়ির মতো ছড়ানো বড় বড় পাতলা পাপড়ি। একসময় গাছ থেকে বীজসহ এসব ফুল ঝরে পড়ে। তখন বীজের এক পাশে থাকা পাপড়ির মতো অংশ বাতাসে ঘুরতে ঘুরতে এলোমেলোভাবে দূরদূরান্তে বীজগুলোকে ছড়িয়ে দেয়।
বসন্তের এ সময় শাল-গজারি বনে বিভিন্ন ফুল ফোটে। এগুলোর মধ্যে আছে কনকচাঁপা, জারুল, শিমুল, শেফালি, শিরীষ, মান্দার, কামিনী, অতসী, দাঁতরাঙা, কাঞ্চন, বেলি, শটি, রঙ্গনসহ নানা ফুল।
শাল-গজারি বনের বর্ণিল বিভা বসন্তের সৌন্দর্যে যোগ করে নতুন মাত্রা