আবুল মনসুর আহমদ মশহুর রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে যে কয়টা অল্প নজির রয়েছে, যাঁরা একাধারে রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পরিসরে সমভাবে সফলতার মুখ দেখেছিলেন, তাঁদের মধ্যে আবুল মনসুর আহমদ অন্যতম। দেশভাগ-পূর্ববর্তী পাকিস্তান আন্দোলন থেকে শুরু করে বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর নির্বাচনহ পুরো পাকিস্তান আমল এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশ হওয়ার পরও রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক দুই পরিসরে তিনি ছিলেন সক্রিয়। তাঁর প্রবন্ধ-নিবন্ধ এবং আত্মজৈবনিক রচনাগুলো বাংলাদেশের ইতিহাসচর্চার অন্যতম আকর উপাদান।

বাংলাদেশের আরও বহু বিখ্যাত রাজনৈতিক নেতার মতো আবুল মনসুর আহমদও পাকিস্তান আন্দোলন এবং পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পর এমন সব আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন, যা দিন শেষে পাকিস্তানকে ভেঙে নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটিয়েছিল। ২০-২৫ বছরের মধ্যে দুটি রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আবুল মনসুর আহমদ কীভাবে এই দুটি ঘটনাকে বিচার করেছিলেন, তার সংক্ষিপ্ত অনুসন্ধানে তাঁর দুটি প্রবন্ধের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।  

পাকিস্তান নামক ধারণা বা কল্পনাকে তিনি কীভাবে দেখেছিলেন, তার সাক্ষ্য পাওয়া যায় ১৯৪২ সালে লিখিত ‘পাকিস্তানের বিপ্লবী ভূমিকা’ শীর্ষক এক প্রবন্ধে; অন্যদিকে ১৯৭২ সালে তাঁর আরেকটা লেখা পাওয়া যায় (শেরে বাংলা হইতে বঙ্গবন্ধু বইয়ের ভূমিকা) যেখানে তিনি পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে ব্যাখ্যা করেছিলেন।   

আবুল মনসুর আহমদ ১৯৪২ সালে ‘পাকিস্তান’কে ‘রাষ্ট্র-বিপ্লব’ এবং ‘ভাব-বিপ্লব’ বলে সাব্যস্ত করেছিলেন। সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সাম্যবাদের বৈশ্বিক লড়াইয়ের অংশ হিসেবে যেমন পাকিস্তান নামক ধারণাকে দেখেছিলেন, তেমনি দেখেছিলেন ‘অখণ্ড ভারতের’ সাম্রাজবাদী বাসনার প্রতিবাদ হিসেবে। এই সাম্রাজ্যবাদী বাসনাকে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন ইউরোপের ‘শাসন ও ব্যাপারীগিরি’র প্রবণতার সঙ্গে তুলনা করে। 

তাঁর মতে, ভারতবর্ষেও তখন ‘অখণ্ড ভারত’ নামক একটা বিশাল সাম্রাজ্যবাদী মুখও সবাইকে গ্রাস করতে চেয়েছিল। সেই মুখ ‘বর্ণে, চেহারায়, খাদ্যে, পোশাকে, ধর্মে, ভাষায় সম্পূর্ণ গরমিল চল্লিশ কোটি আদম-সন্তানকে “একজাত” বলে ঘোষণা করা হচ্ছে; তাদেরকে রাজধানী থেকে শাসন করার দাবি করা হচ্ছে।’ তারাও এক জায়গার সম্পদ নিয়ে আরেক জায়গায় ইমারত গড়তে চায়, এক জাতির টাকা দিয়ে আরেক জাতিকে চাকরি দিতে চায় এবং এক জাতির মাতৃভাষাকে অপর জাতির রাষ্ট্রভাষারূপে চালিয়ে দিতে চায়। এই জবরদস্তির নাম দেওয়া হয়েছে ‘জাতীয়তা’ ও ‘দেশপ্রেম’।

এই একজাতীয়তার বিরুদ্ধে ‘পাকিস্তান’–এর অবস্থান, আবুল মনসুর আহমদের যুক্তি মোতাবেক, গণতন্ত্র এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাঁর অবস্থানের সপক্ষে একটি ধর্মতাত্ত্বিক ব্যাখ্যাও হাজির করেছেন তিনি। তাঁর মতে, ফ্যাসিবাদ ও গণতন্ত্রের বিরোধ যেখানে, সর্বশক্তিমান আল্লাহ ও সর্বশক্তিধারী স্বৈরশাসকের বিরোধও সেখানে। খোদা দুনিয়াকে একরূপী না করে, ‘পয়দা করেছেন বিচিত্র দুনিয়া, আর বহুরূপী আদমজাতি’। দুনিয়ার স্বৈরশাসক সেই বৈচিত্র্যকে ভেঙে একরূপী করতে চাইলেও, তার ‘একরূপিত্বের সাম্যটা শুধু বাইরের খোলস, আসলে সেটা দাসত্ব’। তাঁর মতে, স্বৈরশাসকের মতলব ‘সাম্য প্রতিষ্ঠা নয়, স্রেফ নকল-নবিসীর প্রতিষ্ঠা। আরো সোজা কথা, গোলামির প্রতিষ্ঠা। অতএব, একরূপিত্বের জবরদস্তী খোদায়ী আইনের—সুতরাং গণতন্ত্রেরও বিরোধী।’

অর্থাৎ ‘অখণ্ড ভারত’ ধারণার মধ্যে যে ‘একরূপিত্বে’র বাসনা আছে, সেটা আবুল মনসুরের মতে, ফ্যাসিবাদী, সাম্রাজ্যবাদী ও স্বৈরাচারমূলক। তার বিপরীতে পাকিস্তান ধারণা সাম্যবাদী, ভ্রাতৃত্বমূলক ও গণতান্ত্রিক—সেটা ধর্মীয় বিচারেও। তাঁর মতে, এখানেই আসলে পাকিস্তানের ‘বামপন্থী বিপ্লবী’ ভূমিকা। তাঁর কাছে ‘জাতি’ আসলে নির্মিত এক ধারণা, নানাবিধ প্রপঞ্চের মাপকাঠি বা সাপেক্ষে এটি তৈরি হয়। ফলে যখন পাকিস্তানিরা হিন্দু-মুসলিম দুই ‘জাতি’ত্বের কথা বলেন, তখন সেটাকে কেবল গোড়ার কথা বা সাময়িক যুক্তি দিয়ে না দেখে ‘বিষয়বস্তু ও সম্ভাব্য পরিণাম’ দিয়ে বিচার করাই উচিত বলেই তিনি মনে করেন। পাকিস্তানের মূলকথা শুধু ধর্মীয় ভিত্তি নয়, কেননা ‘ধর্মের সঙ্গে সঙ্গে কৃষ্টি, ভাষা ও সভ্যতার কথাও অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়ানো রয়েছে’। 

আবুল মনসুর আহমদ যখন পাকিস্তানকে ‘বিপ্লব’ বলে ঘোষণা দিচ্ছেন, তাঁর যুক্তি দাঁড়িয়ে আছে ‘অখণ্ড ভারত’-এর কাল্পনিক একরূপিতার জবরদস্তিমূলক শাসনের ওপর। তিনি পাকিস্তানকে কল্পনা করছেন একরূপিতার জবরদস্তিমূলক বন্দোবস্তের বিপরীতে গণতান্ত্রিক ও সাম্যবাদী ধারণা হিসেবে। 

‘পাকিস্তান’-এর যে কল্পনা আবুল মনসুর আহমদ করেছিলেন, তার ‘অভাব’ই যে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভাঙনের কারণ হয়ে উঠেছিল, সেটা তিনি বাহাত্তরের জানুয়ারি মাসে লিখিত প্রবন্ধে বলেছিলেন। তাঁর কাছে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কোনো আকস্মিক বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এই ‘নবলব্ধ আজদি অতীত সংগ্রামসমূহের সমষ্টিগত ফল’। 

কিন্তু এই যে পাকিস্তান ভেঙে গেল, এটা কেন হলো? পাকিস্তান ভাঙার অন্যতম উপাদান হিসেবে তিনি দেখছেন ‘দুনিয়ার জঘন্যতম গণহত্যা ও গৃহযুদ্ধ’। আবুল মনসুর আহমদ যখন ‘পাকিস্তান’ ধারণা নিয়ে ১৯৪২ সালে লেখেন, তখনো গণতন্ত্র ছিল তাঁর অন্যতম চাবিধারণা। ১৯৭২ সালে এরই ধারাবাহিকতায় বলছেন, ‘গণতন্ত্রের অভাবেই ১৯৪৭ সালের পরিকল্পিত “এক অখণ্ড পাকিস্তান” টিকিল না।’ 

তাঁর মতে, জিন্নাহ পাকিস্তানের গণপরিষদে যে ‘বুনিয়াদী ওসিয়ত সেকিউলার গণতন্ত্রের’ ঘোষণা করেছিলেন, জিন্নাহর মৃত্যু-পরবর্তী শাসকেরা সেই গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়েছিলেন বলেই সেখানে স্থান নিয়েছিল আমলাতান্ত্রিক সামরিক শাসন, সাম্প্রদায়িক পীড়ন ও আঞ্চলিক শোষণ। অর্থাৎ গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিই পাকিস্তান ভাঙার অন্যতম কারণ হিসাবে আবুল মনসুর আহমদ চিহ্নিত করেছিলেন। 

এরপর তাঁকে আরও তিনটি প্রশ্ন সামাল দিতে হয়েছে। প্রথমত, লাহোর প্রস্তাব কি ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে? দ্বিতীয়ত, দেশভাগ বা দেশ বাঁটোয়ারার উদ্দেশ্য কার দোষে ব্যর্থ হয়েছে? এবং তৃতীয়ত, মুসলিম লীগের দ্বিজাতিতত্ত্ব কি ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে? প্রথম প্রশ্নের উত্তরে আবুল মনসুর আহমদ জানাচ্ছেন, লাহোর প্রস্তাবে দুটো মুসলিম-মেজরিটি রাষ্ট্রের কথা ছিল। সেটাকে বরখেলাপ করে দুটো রাষ্ট্রকে এক রাষ্ট্র বানিয়ে এবং একটাতে বসে আরেকটা শাসনের যে চেষ্টা করা হয়েছিল, আদতে সেটা ব্যর্থ হয়েছিল। অর্থাৎ প্রথম প্রশ্নের আবুল মনসুর আহমদের জবাব হচ্ছে, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ‘লাহোর প্রস্তাবের নির্ভুলতা প্রমাণিত হইয়াছে’। 

পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের এই যে সমালোচনা, ‘একটি রাষ্ট্রে বসিয়া অপরটি শাসন করিবার চেষ্টা’, সেটার সিলসিলা বিয়াল্লিশে তাঁর ‘পাকিস্তান’ কল্পনার মধ্যেই পাওয়া যায়। যে যুক্তিতে তিনি অখণ্ড ভারতের সমালোচনা করেছিলেন, সেই যুক্তির ভেতরেই রয়েছে তার অখণ্ড পাকিস্তানের সমালোচনার বীজ। 

দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে তিনি জানাচ্ছেন, সাতচল্লিশের দেশভাগ বা ভারত বাঁটোয়ারার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল, তাঁর মতে, ‘হিন্দু-মুসলিম সমস্যা সমাধান’। কিন্তু পাকিস্তান রাষ্ট্রের শাসকেরা বাঁটোয়ারার এই ‘স্পিরিট’ ও উদ্দেশ্যকে ভুলে গিয়ে সেকুলার গণতন্ত্রের পথ বিসর্জন করেছিলেন। দেশ বাঁটোয়ার উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছিল পাকিস্তানের শাসকদের দোষেই। তাঁর মতে, পাকিস্তানের শাসকেরা এই সেক্যুলার গণতন্ত্রের পথ বর্জন করে ইসলামি রাষ্ট্রের স্লোগান দিয়ে দিয়ে পাকিস্তানের অমুসলমানদের যেমন বিপন্ন করেছিলেন, তেমনি ভারতের মুসলমানদেরকেও বিপন্ন করেছিলেন। ফলে দেশ বাঁটোয়ারার উদ্দেশ্য ব্যর্থ হলেও তার কারণ উবে যায়নি; এবং এই ‘অসাফল্যের জন্য বাঁটোয়ারা দায়ী নয়, বাঁটোয়ারা প্রয়োগের ত্রুটিই এই ব্যর্থতার জন্য দায়ী’।  

এরপরে আসে তৃতীয় প্রশ্ন: স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মাধ্যমে কি ‘দ্বিজাতিতত্ত্ব’ মিথ্যা বা ভুল প্রমাণিত হয়েছে? আবুল মনসুর আহমদের উত্তর হচ্ছে, না; দ্বিজাতিতত্ত্ব মিথ্যা প্রমাণিত হয়নি, মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে ‘ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র’। ইসলামের দোহাই দিয়ে দূরবর্তী ভৌগোলিক, ভাষিক ও কৃষ্টিক দেশকে এক রাষ্ট্রে বাধার যে চেষ্টা, সেটা ব্যর্থ হয়েছে। 

তাঁর মতে, সাতচল্লিশের বাঁটোয়ারাটা ধর্মের ভিত্তিতে হয়নি, ধর্মাবলম্বীদের ভিত্তিতে হয়েছিল। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ও মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ নিয়েই দ্বিজাতিতত্ত্ব বলা হতো। এই স্লোগানেও, তাঁর মতে, মুসলিম লীগের ভুল ছিল। কেননা, লাহোর প্রস্তাব ভারতবর্ষকে হিন্দু ও মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে ভাগের কথা বললেও, সেখানে ‘তিনটি নেশন স্টেট’–এর কল্পনা ছিল। মুসলিম লীগের নেতারা তিন নেশনের জায়গায় দুই নেশনের থিওরি প্রয়োগ করাই তাদের মতবাদ ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে আসলে লাহোর প্রস্তাবই সত্য প্রমাণিত হয়েছে।  

পাকিস্তান আন্দোলন ও বাংলাদেশ আন্দোলন নিয়ে পূর্ববঙ্গের জনগোষ্ঠীর যে পৃথক লড়াই ও কল্পনা ছিল, তার খুব স্পষ্ট করেই আবুল মনসুর আহমদের জবানে ধরা পড়ে। ১৯৭১ সালে কলকাতার বিদ্বৎসমাজে এবং বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী প্রভাবশালী ইতিহাসচর্চায় এই দুই আন্দোলনকে পরষ্পরবিরোধী হিসেবে দেখা হয়। কখনো কখনো মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তান আন্দোলনের ভ্রমসংশোধন ও থিসিসি বা অ্যান্টিথিসিস আকারেও দেখা হয়ে থাকে। এমনতর প্রভাবশালী রেওয়াজের বিপরীতে আবুল মনসুর আহমদের ভাষ্য এক নতুন ধরনের ইঙ্গিত প্রদান করছে। বাংলাদেশ নামক জনগোষ্ঠীর পৃথক রাষ্ট্রকল্পনা, এমনকি সেটা পাকিস্তান আন্দোলনের কালেও, বিদ্যায়তনিক জগতেও খুব একটা অস্বীকৃত নয়। আবুল মনসুর আহমদের কাছে দেখা যাচ্ছে, পার্টিশন বা বাঁটোয়ারা বা দ্বিজাতিতত্ত্ব বা পাকিস্তান ধারণা কোনোটাই ভুল ছিল না, বরঞ্চ এগুলো
তৎকালীন সমস্যার সমাধান হিসেবেই হাজির হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান রাষ্ট্র যে ওয়াদা নিয়ে গঠিত হয়েছিল, তা আর ধারণ করতে পারেনি, অথবা পাকিস্তানি শাসকেরা সেই ওয়াদা
রাখতে পারেননি। তার পরিণতি হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়।

আবুল মনসুর আহমদের এই যে বিচার, সেটাও আচানক নয় আমাদের সাহিত্যে। যদিও বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয়তাবাদী ইতিহাসচর্চায় এই বয়ান এখনো উপেক্ষিত, কিন্তু সে সময়ের প্রায় সব জাতীয়তাবাদী নেতা, অথবা যেসব নেতা ও ব্যক্তিত্বকে পরবর্তী জাতীয়তাবাদীরা উদ্‌যাপন করেন, তাঁদের মধ্যেও এই ধরনের সুর পাওয়া যায়। যাঁরা পাকিস্তান আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পর ধীরে ধীরে বাংলাদেশে আন্দোলনের দিকে ধাবিত হয়েছিলেন, তাঁরা প্রায় সবাই একই ধরনের কথা বলেছিলেন। একটা স্বপ্ন থেকে পাকিস্তান আন্দোলনে যুক্ত হওয়া এবং ধীরে ধীরে সেই স্বপ্নের ভাঙনের ধারাবিবরণী শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে  প্রবলভাবেই পাওয়া যায়। 

রণাঙ্গণে মুক্তিযোদ্ধারা, ১৯৭১.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ ব জ ত তত ত ব গণতন ত র র র জন ত ক কর ছ ল ন একর প ত ম সলম ন প রবন ধ হয় ছ ল র র জন

এছাড়াও পড়ুন:

‘আইসিটির কার্যক্রম সময়সীমাবদ্ধ ও ফলাফলভিত্তিক হতে হবে’

আইসিটির কার্যক্রম সময়সীমাবদ্ধ ও ফলাফলভিত্তিক হতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে আইসিটির কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

মতবিনিময়ের সভার শুরুতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পক্ষ থেকে সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ সহকারী আরো বলেন, “আপনাদের ম্যানেজারের পাশাপাশি লিডার হিসেবে দেখতে চাই। আপনারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করুন। এক্ষেত্রে নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করবেন না।”

‘আইসিটি সম্পর্কে দেশের মানুষের একটি নেতিবাচক ধারণা আছে। মানুষের সেই ধারণাকে পরিবর্তন করে আইসিটিকে মানুষের স্বার্থে এবং দেশের উন্নয়নে কিভাবে কাজে লাগানো যায় সে দায়িত্ব আপনাদের। এজন্য আপনাদের এক‌ই সাথে ম্যানেজেরিয়াল রোল এবং লিডারশিপ রোল প্লে করতে হবে,’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

আইসিটির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “ডিজিটাল ইকোনমি সমৃদ্ধের মাধ্যমে তারুণ্যের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা আপনাদের কাজ। তাই সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।”

বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালক, উপপ্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “প্রকল্পের কোয়ালিটি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।”

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তারা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর নির্দেশনা অনুযায়ী বিভাগের সুনাম ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”

মতবিনিময় সভায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তারা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাস্তি পেতে যাচ্ছেন ঢাবির শতাধিক নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা
  • ‘যত বেশি সংবাদ প্রকাশিত হবে, গণতন্ত্র তত উন্নত হবে’  
  • ‘আইসিটির কার্যক্রম সময়সীমাবদ্ধ ও ফলাফলভিত্তিক হতে হবে’
  • জাতিসংঘ মহাসচিবের ৪ দিনের সফরসূচিতে কী কী থাকছে
  • ড. কামালের সেই চিঠি: আওয়ামী লীগের পরাজয়ের কারণ অতিবিশ্বাস ও আত্মম্ভরিতা
  • বৈঠকে গুরুত্ব পাবে গণতন্ত্রে উত্তরণ মানবাধিকার, রোহিঙ্গা
  • সংসদীয় গণতন্ত্র নাকি ‘মৌলিক গণতন্ত্রের’ পুনঃপ্রবর্তন
  • রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে সংস্কারে লাভ নেই: আমীর খসরু
  • ‘প্যাক্স আমেরিকানা’ শেষ, গণতন্ত্রের নতুন নেতা জার্মানি, জাপান?