Risingbd:
2025-03-14@10:50:27 GMT

রূপবতী জাদুকর সুহানী

Published: 14th, March 2025 GMT

রূপবতী জাদুকর সুহানী

১৯৯০ সালের ২৯ জানুয়ারি ভারতের জয়পুরে জন্মগ্রহণ করেন সুহানী শাহ। ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও তার খ্যাতি ছড়িয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার টিভি শোয়ে জাদু দেখিয়ে তাক লাগিয়েছেন ভারতীয় এই ‘মেন্টালিস্ট’।

এ শো চলাকালীন এক সঞ্চালকের ‘মন পড়ে’ তার গোপন প্রেমিকের নাম বলে দেন সুহানী। সঠিক নাম বলতে পারায় চমকে যান সেই সঞ্চালক। এরপর অন্য এক সঞ্চালকের ‘মন পড়ে’ তার আইফোনের লক খুলে দেন সুহানী। ৩৫ বছরের এই সুন্দরীর কীর্তি দেখে হাততালির ঝড় ওঠে। তার জন্য হইহই করে ওঠেন টিভি শোয়ের বিচারক থেকে দর্শকরাও। আর এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে অন্তর্জালে।

 

ভাইরাল ভিডিও দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ার ওই টিভি শোয়ে সুহানী এক সঞ্চালককে এমন একজনকে নিয়ে ভাবতে বলেন, যাকে তিনি মনে মনে ভালোবাসেন এবং তিনি তার পরিবারের সদস্য নন। এরপর সুহানী ওই মহিলা সঞ্চালকের গোপন প্রেমিকের নাম সঠিকভাবে বলে দেন। এরপরই তাকে অন্য সঞ্চালকের চার সংখ্যার পাসকোড সঠিকভাবে অনুমান করতে দেখা যায়।

 

সুহানীর এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বেড়ে গেছে তার জনপ্রিয়তা। অন্তর্জালে চর্চাও কম হচ্ছে না। তাকে জানার আগ্রহ প্রকাশ করছেন অনেকে। সুহানী সচ্ছল পরিবারের কন্যা। তার বাবার আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা ছিল। সেখানেই ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতেন তার মা। তবে ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল না সুহানীর। তার যাবতীয় আকর্ষণ তৈরি হয় জাদুবিদ্যার প্রতি।

 

 

দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াকালীন সুহানী স্কুল ছাড়েন। বাবা-মাকে রাজি করিয়ে জাদুবিদ্যার প্রশিক্ষণ নিতে থাকেন। শোয়ের জন্য সারা বিশ্বে সফরের কারণে সুহানী বাড়িতেই পড়াশোনা করতেন। তার কথায়— “একটি স্কুল যা শেখায় তারচেয়ে বেশি শেখায় অভিজ্ঞতা।”

 

১৯৯৭ সালের ২২ অক্টোবর, অর্থাৎ মাত্র সাত বছর বয়সে অহমেদাবাদের ঠাকুরভাই দেশাই হলে প্রথম শো করেন সুহানী। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। মহারাষ্ট্রের রাস্তায় চোখ বেঁধে গাড়ি চালানোর জন্য সুহানীকে জেলেও যেতে হয়েছিল। তখন তার বয়স আঠারোর গণ্ডি পেরোয়নি। সে সময় তাকে জুভেনাইল আদালতে তোলা হয়। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। জাদু দেখিয়ে বেশ কয়েকটি পুরস্কারও জিতেছেন সুহানী। ‘অল ইন্ডিয়া ম্যাজিক অ্যাসোসিয়েশন’-এর পক্ষ থেকে তাকে ‘জাদু পরি’ তকমাও দেওয়া হয়। সুহানীর লিঙ্কডইনের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশ-বিদেশে ৫ হাজারের বেশি শো করেছেন সুহানী।

 

মায়াজাল বুনতে পারদর্শী সুহানী। ‘মেন্টালিস্ট’ হিসেবেও নাম কামিয়েছেন। গোয়ায় ‘সুহানী মাইন্ডকেয়ার’ নামে একটি ক্লিনিক রয়েছে। সেখানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সম্মোহন করার কাজ করেন তিনি। সুহানী করপোরেট প্রশিক্ষক, লেখিকা এবং পরামর্শদাতা হিসেবেও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তার লেখা বইয়ের নাম— ‘আনলিশ ইয়োর হিডেন পাওয়ার্স’।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অভ্যুত্থানের সময় ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত শতাধিক ব্যক্তি শনাক্ত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২২ জন শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করা হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় হামলাসংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেন তথ্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল ইসলাম। উপাচার্যের কার্যালয়সংলগ্ন লাউঞ্জে প্রায় ৫৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি উপাচার্যের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

পরে কাজী মাহফুজুল ইসলাম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত হামলা হয়েছে, আমরা তার সবকিছু এ প্রতিবেদনে আনার চেষ্টা করেছি। সেখানে আমরা দেখেছি, ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে।’

মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘১২২ জন ঢাবি শিক্ষার্থী, যারা হামলায় জড়িত, তাদের প্রত্যক্ষ প্রমাণ আমরা পেয়েছি। এ ছাড়া বহিরাগতও অনেক শিক্ষার্থীর প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে। এ প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেট থেকে পাশ হয়ে এলে আমরা তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জানাব এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে। এ ছাড়া যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে বলা হয়েছে।’

আইন বিভাগের শিক্ষক মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘১৫ জুলাই বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় আমরা দেখেছি, মল চত্বরে যারা হামলা করেছে তাদের মাথায় সাদা ক্যাপ ছিল। এরপর যারা আহত হয়েছে তারা যখন ঢাকা মেডিকেলে গিয়েছে, তাদেরও হামলা করেছিল ছাত্রলীগ। এরপর ডাক্তারদের বলা হয়েছিল চিকিৎসা না দিতে, যেখানে আমাদের প্রশাসনেরও যোগসাজশ থাকতে পারে।’

কোন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা তদন্ত করার সময় বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ খুঁজতে গেলে সেখানে তার কোনো হার্ডডিস্ক পাইনি। সব হার্ডডিস্ক সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আমরা সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাছে একটা মেইল ও নম্বর পাঠিয়েছি। শিক্ষার্থীরা সেখানে জুলাইয়ে হামলার নানা ছবি-ভিডিও পাঠিয়েছে। এ ছাড়া আমরা ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল পত্রপত্রিকার সংবাদগুলো দেখেছি। সেটার ওপর ভিত্তি করে রিপোর্টটি করা হয়েছে।’

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চলাকালীন ৭০ জন শিক্ষককে পাওয়া গেছে, যাঁরা শিক্ষার্থীদের জামায়াত, শিবির, ছাত্রদল, রাজাকার বলে ট্যাগিং (তকমা) করেছেন, যেটা আন্দোলনে প্রভাব ফেলেছে। কেননা শিক্ষক দ্বারা শিক্ষার্থীরা প্রভাবিত হবে, সেটা স্বাভাবিক। এ বিষয়ে তাঁদের কাছে জানতে চাইলে অনেকে স্বীকার করেছেন এবং সেটার জন্য “সরি” বলেছে।’

প্রতিবেদনটি জমা দেওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সাইমা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট অন্য শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আছিয়াকাণ্ডে আসামিদের বাড়িতে আবারও ভাঙচুর-লুট
  • মার্চ তো বটেই, এপ্রিলের শুরুতেও বুমরাহকে পাবে না মুম্বাই
  • মাগুরায় আসামিদের বাড়িতে আবারও ভাঙচুর, মালপত্র লুটপাটের পর কাটা হচ্ছে গাছ
  • টাইব্রেকে দ্বিখণ্ডিত মাদ্রিদ
  • আলভারেজের টাইব্রেকার শট বিতর্কের জের, বদলাতে পারে পেনাল্টির নিয়ম
  • স্ত্রীকে ফোনে রেখে ‘বিদায়’ বলে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন যুবক
  • অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক আর নেই
  • কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মাগুরার শিশুটির গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
  • অভ্যুত্থানের সময় ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত শতাধিক ব্যক্তি শনাক্ত