বাহুবলে গাছে বেঁধে আগুন, ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 14th, March 2025 GMT
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন ও শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহেদুল আলমের আদালতে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী জাহেদ মিয়া (২৮)।
আরো পড়ুন: মোবাইল চুরির অভিযোগে যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন
আরো পড়ুন:
এবার সিরাজগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ইউএস অ্যাগ্রিমেন্টে ৮৭ লাখ টাকা প্রতারণা
বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা এফআইআরভুক্ত করার জন্য বাহুবল মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। জাহেদ মিয়ার আইনজীবী কুতুব উদ্দিন জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহত জাহেদ মিয়া উপজেলার বনদক্ষিণ গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।
আসামিরা হলেন- বনদক্ষিণ গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ, আব্দুল মালিক, ছালিক মিয়া, মোজাহিদ মিয়া, আমীর আলী, আলমগীর এবং যমুনাবাদ গ্রামের রুয়েল মিয়া, সোহেল মিয়া, কবির মিয়া, কাজল মিয়া, তাজল মিয়া, সুমন মিয়া ও জামাল মিয়া।
বাহুবল উপজেলায় লামাতাশি ইউনিয়নের যমুনাবাদ গ্রামে এ ঘটনার একটি ভিডিও গত বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় উঠে।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি উপজেলায় লামাতাশি ইউনিয়নের যমুনাবাদ গ্রামের আবদুল কাইয়ুমের বাড়ি থেকে দুইটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। সন্দেহভাজন হিসেবে একই উপজেলার তারাপাশা গ্রামের কিম্মত আলীর ছেলে শহীদুল মিয়াকে (৩০) আটক করে মারধর করা হয়। পরে বনদক্ষিণ গ্রামের জাহেদ মিয়াকে উত্তেজিত লোকজন ডেকে নিয়ে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে তার শরীরে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। এ সময় চুরির দায় স্বীকার করতে চাপ দেওয়া হলেও জাহেদ তা অস্বীকার করেন।
নির্যাতন বন্ধের জন্য বারবার আকুতি জানান জাহেদ মিয়া। দীর্ঘক্ষণ নির্যাতনের পর তার পরিবারের লোকজন মোবাইল ফোনের মূল্য পরিশোধের শর্তে তাকে ছাড়িয়ে নেন। পরে জাহেদ মিয়াকে ভর্তি করা হয় হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
জাহেদ মিয়ার আইনজীবী কুতুব উদ্দিন জুয়েল বলেন, “ছেলেটি মোবাইল ফোন চুরি করেনি। তিনি দর্জির কাজ করে জীবিকানির্বাহ করের। তারপরও তাকে যেভাবে নির্যাতন করা হল- তা মধ্যযুগীয় কায়দার এবং এ যুগে নজিরবিহীন। আদালত ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় মামলা এফআইআরভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন।”
বাহুবল মডেল থানার ওসি মো.
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব হ বল উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোস্তফা রিমান্ডে, নদী কারাগারে
রাজধানীর কলাবাগান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের শাহবাগ থানা শাখার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা কামালের (৪৩) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এছাড়া, ধানমন্ডি থানার পৃথক সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নিশীতা ইকবাল নদীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক তারেক মোহাম্মদ মাসুম আসামি মোস্তফা কামালের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে মোস্তফা কামালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৩ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন পান্থপথের আল বারাকা রেস্টুরেন্টের সামনে পাকা রাস্তার ওপর এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতপরিচয় ১০০-১৫০ জন আসামি একত্রে সমবেত হয়ে ছাত্রলীগের ব্যানার ব্যবহার করে জনসম্মুখে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের উদ্দেশে মিছিল বের করেন। আসামিরা মিছিল থেকে বিভিন্ন উসকানিমূলক স্লোগান দেন।
অপরদিকে, গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে নদীকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ঢাকা/মামুন/রাজীব