সিলেটের দরজিপাড়ায় ঈদের আগেও কাজের চাপ কম, মজুরি নিয়ে অসন্তোষ
Published: 14th, March 2025 GMT
ঈদ সামনে রেখে বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিলেটের দরজির দোকানের কারিগরেরা। রমজান মাস শুরুর পর থেকেই এমন ব্যস্ততা বেড়েছে দোকানে দোকানে। কাজের চাপ কিছুটা বাড়লেও আগের বছরগুলোর তুলনায় তা কম বলে জানিয়েছেন কারিগরেরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকার কয়েকটি দরজির দোকান ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। টেইলার্স মালিক ও কারিগরেরা বলছেন, একসময় ঈদের ১৫ দিন আগেই নতুন জামা তৈরির ফরমায়েশ (অর্ডার) নেওয়া বন্ধ করা হতো। কয়েক বছর ধরে চাপ কম। এবার ঈদের দুই দিন আগ পর্যন্তও নতুন ফরমায়েশ নেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া কাপড় সেলাইয়ের মজুরি নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে। গ্রাহকেরা বলছেন, আগের তুলনায় জামা তৈরির খরচ বেড়েছে। তবে কারিগরেরা বলছেন, টেইলার্স মালিক মজুরি বাড়ালেও কারিগরেরা খুব একটা বাড়তি মজুরি পাচ্ছেন না।
প্রায় ২৩ বছর আগে একটি টেইলার্সে কারিগর হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন আবদুল মতিন। বর্তমানে জিন্দাবাজার এলাকার শুকরিয়া বিপণিবিতানের আলীম পাঞ্জাবি টেইলার্স নামের তার নিজের টেইলার্স রয়েছে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর দোকানে বর্তমানে পাঁচজন কারিগর কাজ করেন। এখানে শুধু পাঞ্জাবি প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। আগে বৈদ্যুতিক সেলাইযন্ত্র ছিল না, তখন কারিগর বেশি ছিল। এখন বৈদ্যুতিক যন্ত্র থাকায় কম কারিগর দিয়ে কাজ করাতে পারছেন। তবে কাজ আগের তুলনায় কমেছে। দুই–তিন বছর আগেও ১০ রমজানের পর থেকে বিপণিবিতানগুলোতে হাঁটাচলা করতে ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি লেগে যেত। এখন এমন চিত্র দেখা যায় না।
দরজির দোকানগুলো ঘুরে জানা গেছে, তরুণ–তরুণী ও শিশুদের বিভিন্ন কাপড় ২০০ থেকে ২০০০ টাকায় সেলাই করা হচ্ছে দোকানগুলোতে। এর মধ্যে ছেলেদের বেশির ভাগই পাঞ্জবি ও শার্ট। নারীদের ক্ষেত্রে থ্রি–পিস, ব্লাউজ ও টপসের ফরমায়েশ বেশি আসছে।
সিলেটের বিভিন্ন টেইলার্সে নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগরেরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকায়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত কিশোরের বিচারের দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন উপজেলার ছাত্র-জনতা। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের ধানগড়া পুরোনো চৌরাস্তা মোড়ে সমাবেশের ডাক দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সমাবেশে অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন অংশগ্রহণকারী ছাত্র–জনতা। এতে নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে অনেকেই ধর্ষণবিরোধী ও অভিযুক্তের শাস্তি দাবিসংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করেন। পরে মিছিলটি ধানগড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুনসিরাজগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা৫ ঘণ্টা আগেবক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি সাইমুজ্জামান শ্রাবণ, শেখ রিয়াদ, আশিক আহমেদ প্রমুখ। তাঁরা দ্রুত অভিযুক্ত ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।
ওই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে রায়গঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। এতে ১৪ বছরের এক কিশোরকে আসামি করা হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, মামলা হওয়ার পর আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।