Risingbd:
2025-04-16@00:28:31 GMT

আমির খানের চমকপ্রদ সাত তথ্য

Published: 14th, March 2025 GMT

আমির খানের চমকপ্রদ সাত তথ্য

ধরাবাঁধা ছকে কখনো আবদ্ধ থাকেননি বলিউড অভিনেতা আমির খান। রোমান্টিক-অ্যাকশন— সব রূপেই রুপালি পর্দায় হাজির হয়ে দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বিচিত্র চরিত্রে প্রমাণ করতে নিজেকে নানাভাবে ভেঙেছেন আমির।

১৯৬৫ সালের ১৪ মার্চ তৎকালীন বোম্বেতে (মুম্বাই) তাহির হোসেন-জিনাত হোসেন দম্পতির ঘর আলো করে জন্ম নেন আমির খান। শুক্রবার (১৪ মার্চ) ষাট পূর্ণ করে একষট্টিতে পা দিতে যাচ্ছেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট। চলুন জেনে নিই আমির খানের চমকপ্রদ সাত তথ্য—

বাবা-মায়ের অবাধ্য আচরণ
বলিউড অভিনেতা আমির খান অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়ুক, তা চাননি তার বাবা-মা। বরং বিরোধিতা করেছিলেন। কারণ এই অঙ্গনের অস্থিরতার ব্যাপারটি তারা খুব ভালোভাবেই জানতেন। আমির খানের বাবা তাহির হোসেনের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ছিল। ব্যবসায়ীকভাবে লোকসানের মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয় আমিরের পরিবারে। যার কারণে আমিরের বাবা-মা চাইতেন, ছেলে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হোক। তাদের আপত্তির পরও অভিনয়ে পা রাখেন আমির খান।

আরো পড়ুন:

গৌরির সঙ্গে প্রেম, স্বীকার করলেন আমির

২০ বছর ধরে অভিনেতা হিসেবে পারিশ্রমিক নিই না: আমির খান

খুদে তারকা
মাত্র ৭ বছর বয়সে ‘ইয়াদো কি বারাত’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন আমির খান। এটি পরিচালনা করেন তার চাচা নাসির হোসেন। কিশোর বয়সে ৪০ মিনিট দৈর্ঘ্যের একটি নীরব চলচ্চিত্র ‘প্যারানোয়া’-তে অভিনয় করেন আমির। সিনেমাটিতে অভিনয়ের পরই অভিনয়কে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে বেশি আগ্রহী হন। তারপর থিয়েটারে যোগ দেন।

 আমির কেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট
আমির খানকে ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ বলা হয়। কারণ প্রতিটি চরিত্র নির্ভুলভাবে রূপায়নের চেষ্টা করেন; যা তার সূক্ষ্ম দৃষ্টিভঙ্গির বর্হিপ্রকাশ। চিত্রনাট্যের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণরূপে উৎসর্গ করেন। প্রতিটি বিবরণ নিখুঁতভাবে সম্পাদনা করেন। ‘দঙ্গল’ সিনেমার চরিত্রের জন্য আমির খান শারীরিকভাবে ব্যাপক রূপান্তর ঘটান। মাত্র পাঁচ মাসে ২৮ কেজি ওজন বৃদ্ধি করেন; শুটিংয়ের পর পাঁচ মাসে এই ওজন ঝরিয়ে ফেলেন তিনি। পরিচালক নীতেশ তিওয়ারি ভারি দৃশ্যের জন্য ‘বডি স্যুট’ ব্যবহারের পরামর্শ দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করেন আমির খান। ‘রাজা হিন্দুস্তানি’ সিনেমায় চরিত্রকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে শুটিং সেটে ভদকা পান করেছিলেন তিনি।
 
টেনিস চ্যাম্পিয়ন আমির
খেলাধুলার প্রতি দারুণ আগ্রহ আমির খানের। বিশেষ করে টেনিসের প্রতি আগ্রহটা অতিমাত্রায়। কারণ আমির খান স্টেট লেভেলে টেনিস চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। খেলাধুলার প্রতি তার এই আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই; যা তার শিক্ষাজীবনকে ছাপিয়ে যায়। ২০১৪ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার টেনিস লিগের সময়ে সুইস টেনিস কিংবদন্তি রজার ফেদেরারের সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলেন, যা খেলাধুলার প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করে।

বিদেশে কোনো সম্পদ নেই
ভারতের জনপ্রিয় অনেক তারকা বিদেশে বাড়ি কিনেছেন। এ বাবদ শত শত কোটি রুপি ব্যয় করেছেন তারা। তবে নিজ দেশ ছাড়া বিদেশে বাড়ি বা কোনো সম্পদ নেই আমির খানের। বরং মুম্বাইয়ে তার তিনটি বাড়ি রয়েছে।   

গোসলে আগ্রহ নেই
পারকফেশনিস্ট হলেও এটাই সত্যি যে, আমির খান গোসল করতে চান না। করন জোহর সঞ্চালিত ‘কফি উইথ করন’ অনুষ্ঠানে আমির খানের প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাও জানান, গোসল করতে পছন্দ করেন না আমির খান। বরং কয়েক দিন গোসল না করে কাটাতেই ভালোবাসেন। তবে তার খাবার খাওয়ার ব্যধি রয়েছে।

দিনে ১০০টি পান খেতেন আমির
আমির খানের ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ একটি সিনেমা ‘পিকে’। সিনেমাটিতে নিজের চরিত্র সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে প্রচুর পরিমাণে পান খান আমির। প্রতিটি দৃশ্যের শুটিংয়ের আগে ১০-১৫টি পান খেতেন তিনি। এভাবে প্রতিদিন ১০০টি করে পান খেয়েছেন আমির; যার ফলে তার ঠোঁটে দাগ পড়ে গিয়েছিল।

তথ্যসূত্র: ফিল্মফেয়ার

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র খ ন আম র খ ন র ন আম র খ ন

এছাড়াও পড়ুন:

১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অনুমোদন পাওয়া ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।

আজ রোববার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান। তিনি জানান, বাতিল হওয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে পাঁচটি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল।

আশিক চৌধুরী বলেন, আজ প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বেজার গভর্নিং বোর্ডের সভায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে ১০টিকে চূড়ান্তভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বাতিল হওয়া সরকারি পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হলো কক্সবাজারের সোনাদিয়া ইকোট্যুরিজম পার্ক, বাগেরহাটের সুন্দরবন ট্যুরিজম পার্ক, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল, গাজীপুরের শ্রীপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল।

আর বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত বিজিএমইএ পোশাকশিল্প পার্ক, সুনামগঞ্জের ছাতক অর্থনৈতিক অঞ্চল, বাগেরহাটের ফমকম অর্থনৈতিক অঞ্চল, ঢাকা জেলার সিটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ অর্থনৈতিক অঞ্চল।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। তবে এক দশকের বেশি সময়ে কয়েকটি বেসরকারি অঞ্চল ছাড়া সফল কোনো অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হয়নি।

এমন বাস্তবতায় অন্তর্বর্তী সরকার এসে অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিকল্পনা পুনর্মূল্যায়ন শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত জানুয়ারি মাসে বেজার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের বদলে আপাতত পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার স্বল্পমেয়াদি ও সময় নির্দিষ্ট পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। দুই বছরের মধ্যে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ওই সময় জানান, এই পাঁচ অর্থনৈতিক অঞ্চল সফলভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে সবার মধ্যে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। তাতে দুই বছরের মধ্যে ৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১৩৩টি শিল্পকারখানা নির্মাণ, ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ এবং প্রায় ২ লাখ ৩৮ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আশিক চৌধুরী আগে জানিয়েছিলেন, ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়টি একেবারে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে তা থাকবে। কিছু অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন বাতিলও হতে পারে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ বেজার গভর্নিং বোর্ডের সভায় ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিলের ঘোষণা এল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেন মায়ের সঙ্গে প্রতিদিন ফোনে কথা বলবেন, গবেষণা জানাচ্ছে চমকপ্রদ তথ্য
  • ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার