মাগুরায় শিশু ধর্ষণে দেশজুড়ে ঘৃণা ক্ষোভ ধিক্কার
Published: 14th, March 2025 GMT
মাগুরায় বোনের শ্বশুরবাড়িতে ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। রাজনৈতিক-সামাজিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আছিয়ার মৃত্যুর খবর শোনার পর অনেকেই নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ও পেজে আছিয়াকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট দেন। ধর্ষণে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিও জানান তারা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক শোকবার্তায় ধর্ষকের প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়ার আইন পাসের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অনৈতিক শাসনেরই ধারাবাহিকতা। এখন এই প্রথা ভেঙে রাষ্ট্রকে একটি নৈতিক জায়গায় আনতে হবে। একটি বৈধ সংসদে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে শাস্তির আইন পাস করতে হবে।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম লেখেন, আছিয়ার ধর্ষণের বিচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে ধর্ষকদের শাস্তির এক দৃষ্টান্ত স্থাপন হোক। বিচারহীনতা, বিচারে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও দীর্ঘসূত্রতা দেশের বিচার ব্যবস্থাকে যে ধ্বংসের প্রান্তে নিয়ে গেছে; শিশু আছিয়ার ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার মাধ্যমে সেই বিচার ব্যবস্থা আবার জেগে উঠুক। পুরো বাংলাদেশ বোন আছিয়ার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, লজ্জিত। এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহও একই পোস্ট দেন। এ ছাড়া সন্ধ্যা ৭টায় মাগুরার নোমানী ময়দানে আছিয়ার জানাজা শেষে খাটিয়া কাঁধে করে নিয়ে যান তারা।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির তাঁর ফেসবুকে লেখেন, ‘নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। নারী ও শিশুদের অরক্ষিত রেখে কোনো উন্নয়ন বা সংস্কার অর্থবহ হবে না। তিনি আরও লেখেন, ‘এই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সমগ্র জাতির বিবেককে নাড়া দিয়েছে। আমাদের সবাইকে কাঁদিয়েছে। অতি দ্রুত ধর্ষক ও খুনিচক্রের ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।’
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম ফেসবুকে লেখেন, ‘আছিয়া মরে গিয়ে বেঁচে গেল। রেখে গেল অনেক প্রশ্ন!’ জারিন তাসনিম মাহি নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ফেসবুক স্টোরিতে লেখেন, ‘আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি না। আল্লাহ আমাদের ধৈর্য ধরার শক্তি দিন। আমাদের ক্ষমা করে দিও, আছিয়া।’
ঢাবিতে গায়েবানা জানাজা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা হয়। ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ’ আয়োজিত এ জানাজায় অংশ নেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, সাধারণ শিক্ষার্থী, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী। জানাজা পড়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব তারেকুল ইসলাম। এর পর শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
জানাজা শেষে উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ বলেন, আছিয়ার মৃত্যু আমাদের নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। দ্রুত সময়ে এই ভয়াবহ হত্যার বিচার হবে; ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের, ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মানসুরা আলম প্রমুখ। এ সময় ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের পক্ষ থেকে এক মাসের মধ্যে আছিয়ার ধর্ষকদের বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ নিশ্চিতসহ পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
এ ছাড়া দেশব্যাপী ধর্ষণের ঘটনার বিচার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ, আছিয়া হত্যার বিচারসহ একাধিক দাবিতে সন্ধ্যায় ঢাবি ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট।
ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিতে সারাদেশে বিক্ষোভ
কুমিল্লা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, শিশু আছিয়ার স্মরণে কুমিল্লায় মোমবাতি প্রজ্বালন করেছে ধর্ষণবিরোধী ছাত্র সমাজ। এ ছাড়া ধর্ষকদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে তারা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় পূবালী ব্যাংকের সিঁড়িতে মোমবাতি প্রজ্বালন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। নগরীর বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এদিকে সারাদেশে শিশু ও নারীদের প্রতি যৌন সহিংসতা ও নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে ২৬টি এনজিও (বেসরকারি সংস্থা)। শিশু সুরক্ষা এবং শিশু অধিকারে কাজ করা এনজিওগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ‘শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ নেটওয়ার্ক’ গতকাল এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানায়। বিবৃতিতে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারকে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। বিশেষ করে, শিশু আছিয়ার ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় তারা।
বেরোবি প্রতিনিধি জানান, আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) গায়েবানা জানাজা ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এ কর্মসূচি হয়।
পিরোজপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দেশব্যাপী নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ধর্ষণ, নিপীড়ন, অনলাইনে হেনস্তার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, আছিয়ার মৃত্যুর পর আসামিদের শাস্তি দাবিতে নারায়ণগঞ্জে কাফন মিছিল হয়েছে। ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ’ ব্যানারে বিকেলে শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে মিছিলটি শেষ হয়।
রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, ‘সাধারণ শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনগণ, রাজবাড়ী’র ব্যানারে গতকাল বিকেলে রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে প্রতিবাদী মানববন্ধন হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে।
রাঙামাটি অফিস জানায়, সম্প্রতি সারাদেশে শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে সিএইচটি অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের উদ্যোগে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন হয়। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, আছিয়ার দাফনের আগে ধর্ষকদের দাফন চেয়ে ময়মনসিংহে মানববন্ধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর শহীদ ফিরোজ জাহাঙ্গীর চত্বরে ‘শোকার্ত ময়মনসিংহবাসী’র ব্যানারে এ কর্মসূচি করা হয়।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার ও শাস্তি দাবিতে ঝিনাইদহ শহরে মশাল মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। সন্ধ্যায় শহরের ওয়াজির আলী স্কুল মাঠ থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় জননিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন অংশগ্রহণকারীরা।
কুবি সংবাদদাতা জানান, আছিয়ার ধর্ষকদের অতিদ্রুত বিচারের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা মৌন মিছিল ও মোমবাতি প্রজ্বালন করেছে। গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে মোমবাতি প্রজ্বালন ও মুক্তমঞ্চ থেকে প্রধান ফটক পর্যন্ত মৌন মিছিল করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম আম দ র ফ সব ক ম মব ত র স মন গতক ল র ঘটন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক কাউন্সিলর বাদলের সহচর ছাত্র হত্যা মামলার আসামি সাজুর হাত থেকে রক্ষা পেতে মানববন্ধন
শামীম ওসমানের ঘনিষ্টজন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক অহ্বায়ক ও নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের অন্যতম সহচর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি শাহজাহান সাজুর বিরুদ্ধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জমি দখলের অভিযোগে মানববন্ধন করেছে ভূক্তভোগীরা।
আওয়ামী সরকারের শাসনামলে শাহজালাল বাদলের ছত্রছায়ায় সাজু “সাজু ডেভেলপার” নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে শামীম ওসমানের প্রভাব খাটিয়ে ওই জমি দখল করে নেয়।
এরপর থেকে ওই জমি প্লট করে বিক্রি করে আসছে। আওয়ামী শাসনামলের অবসান ঘটলেও থেমে নেই বাদলের সহচর সাজুর জমি বিক্রির কার্যত্রম।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর সাজু বিএনপির অসাধু নেতকর্মীদের নিয়ে এই অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এর প্রতিবাদে বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানারপাড় বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় বৃহত্তর সানারপাড় এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্যে ভূক্তভোগী মো. ইমরান হোসেন বলেন, আমাদের মালিকানা জমিকে রাস্তা হিসেবে চলমান বিএস রেকর্ড করতে নিষেধ করায় সাজু ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের লোকজন ৫ জন জমির মালিককে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
পাশাপাশি আমাদের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মিথ্যা অভিযোগ করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানাসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরে।
আওয়ামী লীগের দোসর জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার আসামি শাহজাহান সাজুর পালিত ক্যাডররা এখনো তৎপর থাকার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও তাদের গ্রেপ্তার দাবি করছি।
স্থানীয় বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, খোর্দ্দঘোষপাড়া মৌজায় সানারপাড় এলাকায় ১১১ নং দাগে ৩৮৬ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়। এ জমি ফেলে রেখে ওইসব হিন্দু সম্প্রদায় ১৯৪৭ সালে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যায়।
তখন থেকেই এসব জমি পরিত্যক্ত ছিল। তার মধ্যে ৭২ শতাংশ সরকার খাস হিসেবে রেকর্ডভূক্ত করেন। বাকি ৩ একর ১৪ শতাংশ জমি ২০০৫ সাল থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি দখল শুরু করেন।
পরে তাদের কাছ থেকে ২০১০ সালের দিকে বিডিডিএল নামক একটি কোম্পানি এ জমি নামমাত্র মূল্যে কিনে নেয়। কিন্তু কাগজপত্র ঠিক না থাকায় দখলে টিকতে না পেরে ২০২২ সালে নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শাহজালাল বাদলের ঘনিষ্ট সহচর শাহজাহান সাজুর মালিকানাধিন সাজু ডেভেলপারের কাছে হস্তান্তর করেন।
পরে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসস সদস্য শামীম ওসমানের প্রভাব খাটিয়ে বাদল ও সাজু বিশাল বাহিনী নিয়ে কমপক্ষে শতাধিক বসতীকে উচ্ছেদ করে জমির দখল নিয়ে নেয়।
যারা জমির দখল ছাড়তে রাজি ছিলনা তাদের ধরে নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি ও মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। পরে জমিতে বালু ভরাট করে প্লট তৈরি করে বিক্রি শুরু করে। যা এখনো চলমান রয়েছে।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা ভুমিদস্যু সাজুর হাত থেকে রক্ষা পেতে আইনশৃংখলাবাহিনী ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্মতাগণের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মানববন্ধনে ভূক্তভোগীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আনোয়ারা বেগম, দ্বীন ইসলাম, আল ইসলাম, ভানু বেগম, ঝুমা আক্তারসহ প্রমুখ।